ফুটবল
AFC Asian Cup 2023: ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ বের করতে চান স্টিমাচ
সৌরভ রায়, দোহা: ঝাঁ চকচকে প্রেস কনফারেন্স এরিয়া। সেই ঝলমলে পরিবেশেও আলাদা করে চোখ টানছিল ইগর স্টিমাচের হাসিটা। কী হল? প্রথম ম্যাচে তাঁর দল হেরে গেছে। তারপরও তাঁর মুখে যে আত্মবিশ্বাসের হাসি। আত্মবিশ্বাস। স্টিমাচের সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতিটা ছত্র ছিল আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। সে আত্মবিশ্বাস লড়াইয়ের। সে আত্মবিশ্বাস ফুটবলারদের হার না মানা মানসিকতার।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হারের ধাক্কা ভুলে উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে কামব্যাক করতে চাইছে ভারত। ভীষণভাবে। যদিও উজবেকিস্তানকে যথেষ্ট সমীহ করছেন ভারতের কোচ ইগর স্টিমাচ। তিনি মনে করছেন যতই কঠিন হোক লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত তাঁর দলের ফুটবলাররা। তিনি বললেন “এটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচ হতে চলেছে। গত ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আমার দলের ছেলেরা যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে সেটা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও একটা কঠিন ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করে আছি আমরা।” তিনি আরও যোগ করেন “উজবেকিস্তানকে কোনওভাবেই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। শেষ কয়েক বছরে ভালো ছন্দে রয়েছে দলটি। আগামীকাল ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই আমাদের উপর চাপ আসবে। তবে সেই চাপ সামলানোর জন্য আমার দল প্রস্তুত।”
উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে প্রতিপক্ষের শক্তি এবং দুর্বলতা নিয়ে খাতায়-কলমে কাজ সেরে রেখেছেন। স্টিমাচ বললেন “ওরা টেকনিকালি আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে। ফুটবলাররা ইউরোপ, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং গ্রিসের মত দেশে ফুটবল খেলে। আমাদের অনেকবেশি সংঘবদ্ধ ফুটবল খেলতে হবে। আক্রমণের সময় কোনরকম ভুল করলে চলবে না।” উজবেকিস্তান তাদের প্রথম ম্যাচে সিরিয়ার বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করেছে। সুতরাং তারাও চাইবে এই ম্যাচে তিন পয়েন্ট তুলে নিতে। আগের ম্যাচের প্রসঙ্গে স্টিমাচ বললেন “সিরিয়ার বিরুদ্ধে যথেষ্ট চাপ তৈরি করেছিল উজবেকিস্তান। সিরিয়ার রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ তুলে এনেও গোল করতে পারেনি তারা।”
মোহনবাগান ফুটবলার সাহাল আব্দুল সামাদ চোট পেয়েছিলেন আইএসএলে। দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকার পরেও তাকে ভারতীয় দলের সুযোগ দিয়েছিলেন স্টিম্যাচ। কিন্তু তিনি নিজেই জানালেন প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও দলে থাকবেন না সাহাল। তিনি এখনও মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত নয় এমনটাই জানালেন ভারতীয় দলের কোচ। সাহালের অনুপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে সমস্যায় পড়তে হয়েছে ভারতকে। তবে উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে দলে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে বলেই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন ইগর স্টিমাচ।
গত ম্যাচে গুরপ্রীত সিং সান্ধুর পারফরম্যান্স আশানুরূপ হয়নি। তবুও অভিজ্ঞতার ভারে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন গুরপ্রীত। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভারতের গোলরক্ষক অমরিন্দর সিং। অমরিন্দর বললেন “আমরা জানি উজবেকিস্তান সিরিয়ার বিরুদ্ধে কেমন খেলেছে। তাই আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে। আগামীকাল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচ হতে চলেছে।” আগামীকাল প্রথম একাদশে কাকে দেখা যাবে তা নিয়ে বিশেষ ভাবতে চান না অমরিন্দর। তিনি বললেন “আমি এবং গুরপ্রীত দুজনেই জাতীয় দলের জন্য মাঠে নামি। আমদের লক্ষ্য দলকে জেতানো। তাই নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে হবে আমাদের।”
ইস্টবেঙ্গল
AFC CHALLENGE LEAGUE: নেজমেকে হারাতে নিজেকে উজাড় করে দেবেন নন্দ…
সৌরভ মুখার্জী ও শুভম মন্ডল, থিম্পু: ইতিমধ্যেই হারের খরা কাটিয়ে, জয়ের সরণিতে ফিরেছে ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা কিংসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে, এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার আশা জিইয়ে রেখেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেখানে গোল পেয়েছেন তারকা উইঙ্গার নন্দকুমার সেকারও। ম্যাচের পর বুধবার সকালে রে স্পোর্টজকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নন্দকুমার। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তার সমস্ত বক্তব্য:
প্রশ্ন: প্রথম ম্যাচে ভাল ছন্দে না থাকলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে বাম প্রান্ত থেকে যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলে দলকে জিতিয়েছেন। এর পিছনের রহস্য কী?
নন্দকুমার: আমরা যথেষ্ট ভাল দল। আমাদের কোচ এবং কোচিং স্টাফেরা আমাদের সব সময় ভাল খেলার জন্য উজ্জীবিত করেন। আমরা গত তিনটে ম্যাচেই ভাল ফুটবল খেলেছি এবং আশা করছি এমনভাবেই ভাল খেলব আগামীতেও এবং পরের ম্যাচ থেকেও তিন পয়েন্ট তুলে আনতে পারব।
প্রশ্ন: নতুন কোচের তত্ত্বাবধানে কি আপনি নিজের ফর্ম ফিরে পাচ্ছেন?
নন্দকুমার: অবশ্যই ফিরে পাচ্ছি। তিনি আমায় সেই স্বাধীনতাটা দিচ্ছেন খেলার এবং আমি সেটাকে কাজে লাগাচ্ছি।
প্রশ্ন: বসুন্ধরার বিরুদ্ধে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে জয় পেলেন। এই জয়টা কি শক্তিশালী নেজমেহর বিরুদ্ধে ম্যাচে বাড়তি সুবিধে দেবে?
নন্দকুমার: অবশ্যই। এছাড়াও ৪-০ গোলে জয়ের পাশাপাশি মরশুমের প্রথম ক্লিনশিটও পেয়েছি আমরা। দলের বাকি ফুটবলাররাও তৈরি রয়েছে নেজমে ম্যাচে ভাল ফুটবল খেলার জন্য।
প্রশ্ন: সমর্থকদের জন্য কী বার্তা দিতে চান?
নন্দকুমার: অবশ্যই সমর্থকরা মাঠে আসুন। আমাদের সমর্থন করুন। পরের ম্যাচটা আমরা জিতলে চ্যালেঞ্জ লিগের পরের রাউন্ডে যোগ্যতা অর্জন করব। তাই সমর্থকেরা আসুন এবং আমাদের সমর্থন করুন।
প্রশ্ন: অনেক সমর্থকেরা ভুটান থেকে ফিরে গেছেন। শেষ ম্যাচে মাঠে সমর্থকেরা অনেক কম ছিল। তাদেরকে কি মিস করছেন?
নন্দকুমার: সমর্থকেরা শেষ ম্যাচটা মিস করেছেন। তাছাড়া শুধু খারাপ সময়তেই নয় আমরা চাই আপনারা আমাদের ভাল সময়তেও আমাদের পাশে থাকুন। আমরা নিজের ২০০% দেওয়ার চেষ্টা করব এবং পরের ম্যাচে ভাল ফল করে আপনাদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করব।
আন্তর্জাতিক ফুটবল
রোনাল্ডোর পেনাল্টি মিসে কিংস কাপ থেকে বিদায় আল নাসেরের
রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: এর আগে আল নাসেরের হয়ে প্রতিটি পেনাল্টিতেই গোল করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। ফলে কিংস কাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে, আল তাউনের বিরুদ্ধে ০-১ গোলে ম্যাচ হেরে গেল আল নাসের। অপরদিকে রোনাল্ডোর মারা পেনাল্টি শটে ভেঙেছে এক সমর্থকের মোবাইল ফোনও।
এখনও অবধি আল নাসেরের হয়ে কোনও বড় ট্রফি জেতেনি রোনাল্ডো। মঙ্গলবার কিংস কাপেও সেই ভাগ্য বদল হল না। ম্যাচের ২০ মিনিটে ওয়ালিদ আল-আহমাদের গোলে এগিয়ে যায় আল তাউন। কিন্তু ম্যাচের সংযোজিত সময়ে সেই আল-আহমাদই বক্সে ফাউল করে পেনাল্টি দেন আল নাসেরকে। সেই পেনাল্টি মারতে আসেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তার সেই শট চলে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। অপরদিকে তাঁর পেনাল্টির মুহূর্ত ভিডিও করছিলেন এক সমর্থক। তবে রোনাল্ডোর জোড়ালো শট গিয়ে সোজা সেই সমর্থকের ফোনে লাগায় ভেঙে যায় তাঁর ফোন।
নতুন কোচ স্টেফানো পিয়োলির অধীনে এটাই প্রথম হার আল নাসেরের। তবে এখনও ট্রফি জেতার সুযোগ রয়েছে বলেই মনে করেন তিনি। সৌদি লিগে তাঁর দল শীর্ষে থাকা আল হিলালের থেকে আট পয়েন্টে পিছিয়ে রয়েছে। অপরদিকে এই ম্যাচে হেরে কোচ পিয়োলি জানিয়েছেন, “আমরা ম্যাচটা ভাল খেলেও জিততে পারলাম না।” এছাড়াও এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট অর্জন করেছে আল নাসের।
ইস্টবেঙ্গল
AFC CHALLENGE LEAGUE: মশাল জ্বলল ভুটানে, বসুন্ধরাকে নিয়ে ছেলেখেলা করে জিতল ইস্টবেঙ্গল…
সৌরভ মুখার্জী ও শুভম মন্ডল, থিম্পু: এর আগে টানা আট ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি ইস্টবেঙ্গল। ইতিমধ্যে আইএসএলের “লাস্ট বয়” তাঁরা। ফলে মানসিক দিক থেকেও অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন ফুটবলাররা। অবশেষে নবম ম্যাচে এসে সেই যন্ত্রণার অবসান ঘটল। বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন দল বসুন্ধরা কিংসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে, এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে বহু কাঙ্খিত জয় তুলে নিলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। গোল করলেন দিমিত্রিয়স দিমানতাকোস, সৌভিক চক্রবর্তী, নন্দকুমার সেকর এবং আনোয়ার আলি।
ম্যাচের একেবারে শুরুতেই, ৩৩ সেকেন্ডে নন্দর ক্রস থেকে দিমানতাকোসের শটে প্রথম গোল তুলে নেয় ইস্টবেঙ্গল। ২০ মিনিট পরে সৌভিক চক্রবর্তীর বক্সের বাইরে থেকে জোড়ালো শট জালে জড়িয়ে দিয়ে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। দুই গোলে এগিয়ে এগিয়ে থেকেও আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। বামপ্রান্ত থেকে নন্দকুমার বক্সের ভেতরে ঢুকে অনবদ্য গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে দুর থেকে শট নিয়ে দলের চতুর্থ গোলটি করেন আনোয়ার আলি। ফলে প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে সাজঘরে ফেরে অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দলে একটি পরিবর্তন আনেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। দিমানতাকোসের জায়গায় তিনি মাঠে নামান ক্লেইটন সিলভাকে। অপরদিকে বসুন্ধরা কোচও মাঠে নামান তাদের মাঝমাঠের ফুটবলার মিগুয়েলকে। তারপর যথেষ্ট গোলমুখি আক্রমণ চালায় বসুন্ধরা। তবে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ তা সামাল দিতে সক্ষম হয়। মাঝে মধ্যে ইস্টবেঙ্গলও আক্রমণে উঠতে থাকে ব্যবধান বাড়ানোর জন্য। একটি গোলের সহজ সুযোগ মাঠে নেমেই হাতছাড়া করেন ক্লেইটন। এছাড়াও অনেক সুযোগ নষ্ট করায় ব্যবধান আর বাড়েনি। এই ম্যাচে জয় পেয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। পরবর্তী ম্যাচে তাঁরা মুখোমুখি হবে শক্তিশালী নেজমেহ এসসির বিরুদ্ধে এবং সেই ম্যাচেই বোঝা যাবে কোন দলটি যাবে পরবর্তী রাউন্ডের জন্য। অপরদিকে দুই ম্যাচ হেরে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেল বসুন্ধরা কিংস।
-
আইএসএল11 months ago
বড় ধাক্কা কেরালা ব্লাস্টার্সের
-
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট1 year ago
ICC CWC 2023: বিশ্বকাপে যুগ্ম দ্রুততম ১০০০ রোহিতের, ভাঙলেন ছয়ের রেকর্ড…
-
ফুটবল12 months ago
এএফসি কাপ আয়োজনের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে
-
ফুটবল11 months ago
এশিয়ান কাপের সম্ভাব্য দল ঘোষণা করল ভারত
-
ফুটবল1 year ago
কলকাতায় প্রাক মরশুম প্রস্তুতি শুরু করল ইন্টার কাশি
-
ইস্টবেঙ্গল1 year ago
দলে আমূল পরিবর্তন, তবুও সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচেই হার ইস্টবেঙ্গলের
-
ফুটবল11 months ago
ঘরের মাঠে অসহায় আত্মসমর্পণ, এএফসি কাপে স্বপ্নভঙ্গ মোহনবাগানের
-
ফুটবল1 year ago
ফিফা বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে ভারতের প্রথম দুটি হোম ম্যাচে আয়োজনের দায়িত্ব পেল ভুবনেশ্বর এবং গুয়াহাটি