ক্রিকেট
রাজস্থানকে হারিয়ে ফাইনালে হায়দ্রাবাদ
রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে তৃতীয়বারের জন্য আইপিএল ফাইনালে পৌছাল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থানের জন্য ১৭৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে হায়দ্রাবাদ। দুর্দান্ত বোলিং করে রাজস্থানকে ১৩৯ রানে আটকে দিল প্যাট কামিন্সের দল। ৩৬ রানে রাজস্থানকে হারিয়ে ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।
টসে জিতে প্রথমে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে ব্যাটিং করতে আমন্ত্রণ জানান রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। প্রথম ওভারেই অভিষেক শর্মাকে (১২) ফিরিয়ে দিয়ে হায়দ্রাবাদকে বড় ধাক্কা দেন ট্রেন্ট বোল্ট। পাওয়ার প্লে-এর মধ্যেই আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন তিনি। বিধ্বংসী হয়ে ওঠা রাহুল ত্রিপাঠী ফিরে যান মাত্র ৩৭ রান করে। এদিন মার্করামকে (১) থিতু হতে দিলেন না বোল্ট। ম্যাচের দশম ওভারে ট্রাভিস হেড (৩৪) ফিরতেই ভেঙে পড়ে হায়দ্রাবাদের ইনিংস। একা কুম্ভ লড়াই করলেন অধিনায়ক হেনরিক ক্লাসেন। তাঁর অর্ধশতরানের সুবাদে সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছায় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ১৭৫ রান তোলে তারা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। তবে উল্টো দিক থেকে উইকেট পড়তে থাকে। মাত্র ১০ রান করে কামিন্সের শিকার হন টম ক্যাডমোর। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই আউট হয়ে যান যশস্বী (৪২)। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও ১০ রানের বেশি করতে পারেননি। ম্যাচের যাবতীয় চাপ গিয়ে পড়ে রিয়ান পরাগের উপর। তবে এদিন ব্যর্থ হলেন রিয়ান (৬)। বড় শট খেলতে গিয়ে শাহবাজের বলে অভিষেক শর্মার হাতে ধরা পড়েন তিনি। অশ্বিন, হেটমায়াররা ব্যর্থ হলে, এদিন একাই দলকে টানলেন তরুণ ধ্রুব জুরেল। জুরেলের ব্যাটে রাজস্থান যখন ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে, তখন বল হাতে জ্বলে ওঠেন নটরাজন। ১৮ তম ওভারে একটা নিখুঁত স্লোয়ারে ফেরত পাঠিয়ে দেন পাওয়েলকে (৬)। ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন ধ্রুব জুরেল। দুর্দান্ত বোলিং করলেন শাহবাজ আহমেদ। একাই নিলেন তিনটি উইকেট। একটি করে উইকেট নিলেন কামিন্স এবং নটরাজন। তবে রাজস্থান রয়্যালসের ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন এই মরসুমের জন্য অধরাই থেকে গেল।
ক্রিকেট
AUS vs IND: অস্ট্রেলিয়ায় নতুন রেকর্ড গড়লেন বুমরাহ
সৌরভ রায়, পার্থ: বর্ডার গাভাস্কার ট্রফির প্রথম টেস্টে ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জসপ্রীত বুমরাহ। তবে অধিনায়কত্বের পাশাপাশি নিজের চেনা ছন্দ বজায় রেখেছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫০ রানের মধ্যে ভারতের খেলা গুটিয়ে গেলেও প্রায় একার হাতেই গোটা দলকে কামব্যাক করান বুমরাহ। অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারকে প্রায় দুরমুশ করে ছাড়েন তিনি।
প্রথম ইনিংসে মোট ১৮ ওভার বল করে মাত্র ৩০ রান দিয়ে বুমরাহ তুলে নেন ৫টি উইকেট। এই নিয়ে ১১ বার একই ইনিংসে পাঁচটি উইকেট তুলে নেওয়ার রেকর্ড গড়লেন বুমরাহ। আর তার সাথে সাথেই জায়গা পেলেন ইতিহাসের পাতায়। কপিল দেব, ভিনু মানকর, বিষান সিং বেদী এবং অনিল কুম্বলের পর অধিনায়ক হিসেবে এই কৃতিত্ব লেখা হল বুমরাহর নামে। এর সাথে সাথে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট নেওয়া ক্রিকেটার হিসেবেও ইতিহাস গড়লেন তিনি। মোট ১১ টি এরকম ইনিংসের মধ্যে ৭ টি এসেছে তার দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সেই তালিকায় আপাতত কপিল দেবের সাথে যুগ্মভাবে প্রথম স্থানে রয়েছেন বুমরাহ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
AUS vs IND: ব্যাটিং ব্যর্থতায় পার্থে ধরাশায়ী ভারত…
নিজস্ব প্রতিনিধি, পার্থ: বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি শুরু হতে না হতেই বেরিয়ে পড়ল ভারতের ব্যাটিং লাইন আপের কঙ্কালসার চেহারা। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামনে একরকম নাস্তানাবুদ হলেন ভারতের ব্যাটিং তারকারা। দেড়শো রানের মধ্যে গুটিয়ে গেল ভারতের ইনিংস। এমনকি টেনেটুনে ৫০ ওভারও খেলতে পারলেন না বিরাট কোহলিরা।
পার্থ মানেই ব্যাটারদের কাছে একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে বোলারদের কাছে একটা দারুণ সুযোগ। ঘাসে ঢাকা পিচ, তাতে বল লাফিয়ে উঠবে জোর গতিতে। আর ঠিক এই সুযোগকেই কাজে লাগালেন জশ হ্যাজেলউডরা। মাত্র দুটো সেশন এর মধ্যেই আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হল ভারত। টসে জিতে প্রথম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক বুমরাহ। কিন্তু খুব অল্প সময়ের মধ্যেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে ভারত। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে মিচেল স্টার্কের বলে আউট হন যশস্বী জয়সওয়াল। কেএল রাহুলের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন পাডিক্কল। কিন্তু রান আসেনি তাঁর ব্যাট থেকে। অন্যদিকে বিতর্কিতভাবে প্যাভিলিয়নের পথে ফিরে যান কেএল রাহুলও। তাঁর অবদান ২৬। মাত্র ১২ বল খেলে একটি বাউন্ডারি সহযোগে ৫ রান করে পার্থ টেস্টেও হতাশ করেন বিরাট কোহলি। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই ৫১ রানে চার উইকেট খুইয়ে নাজেহাল অবস্থা ছিল ভারতের। এরপর ব্যাট করতে নেমে পরপর আউট হন ওয়াশিংটন সুন্দর এবং ধ্রুব জুরেল। ঠিক এখানেই ভারতের হাল ধরেন ঋষভ পন্থ। সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন প্রথমবার টেস্ট খেলতে আসা নীতিশ রেড্ডি। দুজনে একসাথে গড়ে তোলেন ৪৮ রানের পার্টনারশিপ। অন্যদিকে প্রথমবার টেস্ট খেলতে আসা হর্ষিত রানা ৫ বলে ৭ রান করে আউট হন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি করে উইকেট তুলে নেন মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স এবং মিচেল মার্শ। অন্যদিকে মাত্র ২৯ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নিয়েছেন জশ হ্যাজেলউড।
ক্রিকেট
AUS vs IND: রাহুলের আউট ঘিরে তুমুল বিতর্ক, বিপাকে আম্পায়ার
সৌরভ রায়, পার্থ: বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে বরাবরই তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছে বারবার সুবিধে পায় আয়োজক দল। আর এবারেও সেই ঐতিহ্য বজায় রাখল এই প্রতিযোগিতা। পার্থের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনেই তুমুল বিতর্কের ঝড় উঠল কেএল রাহুলের আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে।
শুরুতে বেশ কিছুটা নড়বড়ে লাগছিল কেএল রাহুলকে। কিন্তু সময় যত এগোচ্ছিল তত অপ্টাস স্টেডিয়ামের চ্যালেঞ্জিং পিচের সাথে খাপ খাইয়ে নিচ্ছিলেন ভারতীয় ব্যাটার। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কিছুক্ষণের মধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে হয় তাঁকে। মিচেল স্টার্কের বলে মাত্র ২৬ রানে আউট হন রাহুল। কিন্তু এই আউট ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। স্টার্কের বল রাহুলের ব্যাটের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শোনা যায় একটি শব্দ, যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়েন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। কিন্তু অন ফিল্ড আম্পায়ার রিচার্ড লিঙওয়ার্ড এই বিষয়ে কোন রকম আগ্রহই প্রকাশ করেননি প্রথমে। ফলে রিভিউ এর সাহায্য নেয় অস্ট্রেলিয়া এবং বিষয়টি বেশ কয়েকবার খতিয়ে দেখেন থার্ড আম্পায়ার। স্পষ্ট দেখা যায় স্নিকোমিটারে স্পাইক যা নির্দেশ করে ব্যাট এবং বলের সংযোগ। কিন্তু ঠিক একই সময় ব্যাটারের প্যাডে বল লাগার ঘটনাও ধরা পড়ে ক্যামেরায়। ফলে নির্দিষ্ট কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো বেশ মুশকিল হয় আম্পায়ারের ক্ষেত্রেও। এই পরিস্থিতিতে থার্ড আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় শুধুমাত্র যে সোশ্যাল মিডিয়ার বিতর্ক শুরু হয় তাই নয়, এমনকি অস্ট্রেলিয়ার ধারাভাষ্যকার হিসেবে উপস্থিত থাকা ম্যাথিউ হেডেন অন ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে পাল্টে দেওয়ার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মুহূর্তের মধ্যে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ডিআরএসের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। কেউ মনে করছেন অ্যাঙ্গেল থেকে দেখানো হয়নি শট, তো কেউ বলছেন সবকিছু জেনে শুনেও থার্ড আম্পায়ার পক্ষপাতিত্ব করেছেন। সবমিলিয়ে কেএল রাহুল যে একপ্রকার পরিস্থিতির শিকার তা বলাই যায়। তবে এদিন ঠান্ডা মাথার রাহুলকেও দেখা গেল বেশ কিছুটা উত্তেজিত হতে। মাঠ ছেড়ে প্যাভিলিয়নের দিকে যাওয়ার সময় অন ফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বচসা চলে তাঁর। খুব সম্ভবত বারবার বোঝাতে চাইছিলেন যে তার ব্যাট এবং বল এর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট গ্যাপ ছিল। যদিও তাতে সিদ্ধান্তের কোন বদল ঘটাননি আম্পায়ার।
-
আইএসএল12 months ago
বড় ধাক্কা কেরালা ব্লাস্টার্সের
-
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট1 year ago
ICC CWC 2023: বিশ্বকাপে যুগ্ম দ্রুততম ১০০০ রোহিতের, ভাঙলেন ছয়ের রেকর্ড…
-
ফুটবল1 year ago
এএফসি কাপ আয়োজনের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে
-
ফুটবল12 months ago
এশিয়ান কাপের সম্ভাব্য দল ঘোষণা করল ভারত
-
ফুটবল1 year ago
কলকাতায় প্রাক মরশুম প্রস্তুতি শুরু করল ইন্টার কাশি
-
ইস্টবেঙ্গল1 year ago
দলে আমূল পরিবর্তন, তবুও সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচেই হার ইস্টবেঙ্গলের
-
ফুটবল12 months ago
ঘরের মাঠে অসহায় আত্মসমর্পণ, এএফসি কাপে স্বপ্নভঙ্গ মোহনবাগানের
-
ফুটবল1 year ago
ফিফা বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে ভারতের প্রথম দুটি হোম ম্যাচে আয়োজনের দায়িত্ব পেল ভুবনেশ্বর এবং গুয়াহাটি