Connect with us

আন্তর্জাতিক ফুটবল

UCL: সহজেই সেমিফাইনালে লিভারপুল; অ্যাটলেটিকো-ম্যান সিটি ম্যাচ নিল কুরুক্ষেত্রের চেহারা…

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: বেনফিকার বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে প্রথম লেগে ৩-১ গোলে জয় পাওয়ার পরে একরকম নিশ্চিতই ছিল যে, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছছে লিভারপুল। তবে ঘরের মাঠে দেখা গেল অন্য ছবি। লিভারপুলের বিরুদ্ধে যথেষ্ট লড়াই করল বেনফিকা, তবুও ক্লপের দল হোম এবং অ্যাওয়ে মিলিয়ে ৬-৪ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছালো।

এদিন ঘরের মাঠে লিভারপুলকে প্রথমে কর্নার থেকে হেডে গোল করে এগিয়ে দেন ইব্রাহিমা কোনাটে। তবে এই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি লিভারপুল এবং গতির বিরুদ্ধে গোল করে বেনফিকাকে সমতায় ফেরান ফেরান রামোস। প্রথমার্ধ ১-১ গোলে শেষ হওয়ার পরে দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের খেলা আরও মেলে ধরে লিভারপুল। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষের উপর চাপ বাড়ায় রেডসরা। ৫৫ ও ৬৫ মিনিটে রবার্তো ফির্মিনো দুই গোল করে লিভারপুলকে ৩-১ লিড এনে দেওয়ার পর সহজেই সেমিতে পৌঁছে যাবে বলে মনে হচ্ছিল রেডসরা। তবে লড়াকু বেনফিকা হার মানতে একেবারেই রাজি ছিল না। অন্যদিকে অভিজ্ঞ ভার্জিল ভ্যান ডাইকের অনুপস্থিত কারণে বেশ ভঙ্গুর ছিল লিভারপুল ডিফেন্স। আর সেই সুযোগে ৭৩ মিনিটে ইয়ারেমচুক ও ৮১ মিনিটে ডারউইন নুনেস গোল করে ম্যাচে বেনফিকাকে সমতায় ফেরান। দুই গোলই প্রথমে অফসাইডের জন্য বাতিল হলেও, ভিএআরের সহায়তা সিদ্ধান্ত বদল হয়। নুুনেস ম্যাচের শেষের দিকে একেবারে জ্বলে উঠেন। তাঁর একটি শট দারুণভাবে বাঁচিয়ে দেন লিভারপুল গোলকিপার অ্যালিসন বেকার। আরেকটি শটে বল জালে জড়ালেও, তা অফসাইডে বাতিল হয়। কোনওক্রমে ম্যাচ ড্র করতে সক্ষম হয় জুরগেন ক্লপের দল। তবে দুই লেগ মিলিয়ে জিতে তারা পাঁচ মরশুমে তৃতীয়বার সেমির টিকিট পাকা করে।

অন্যদিকে স্পেনের দল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে মাত্র ১-০ গোলে জিতে থাকায় ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচটি ছিল বেশ কঠিন। আর এদিন অ্যাটলেটিকোও জেতার জন্য মরীয়া হয়ে চলছিল। যদিও এই ম্যাচে শৈল্পিক ফুটবলের বদলে দুই দলের খেলোয়াড়দের মাঠে শারীরিক লড়াই বেশি ছিল। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর, দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে ম্যান সিটি সময় নষ্ট করার ভাবনা নিলেই, দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে জোর লেগে যায়।

খেলার বয়স যখন ৯১ মিনিট তখন অ্যাটলেটিকো ডিফেন্ডার ফিলিপে রেড কার্ড দেখেন এবং তারপরই ১২ মিনিটের অতিরিক্ত সময় যোগ করেন মাঠে থাকা রেফারি। তবে এই অতিরিক্ত সময় এবং তারপরে দুই দলের মধ্যে মাথা গরম করা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। এমনকি মাঠ ছাড়ার পর টানেলের মধ্যেও হাতাহাতির ছবি ধরা পড়ে। শেষমেশ পুলিশ দিয়ে দুই দলের খেলোয়াড়দের আলাদা করতে হয়। তবে গোলশূন্য ম্যাচ থাকায় আরেক মাদ্রিদ দল রিয়ালের বিরুদ্ধে নিজেদের সেমিফাইনালের টিকিট পাকা করে নেয় সিটি। লিভারপুলও সেমিফাইনালে স্প্যানিশ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেই মাঠে নামবে। তারা খেলবে এ মরশুমের ‘সারপ্রাইজ প্যাকেজ’ ভিলারিয়ালের বিরুদ্ধে।

আন্তর্জাতিক ফুটবল

গোলের বন্যা বায়ার্নের, জয় পেলো রিয়াল

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: জয় দিয়ে ইউসিএল অভিযান শুরু করল রিয়াল মাদ্রিদ এবং বায়ার্ন মিউনিখ। এমবাপে, এন্ড্রিক এবং রুডিগারের গোলে স্টুটগার্টকে হারাল রিয়াল। অপরদিকে প্রথম ম্যাচেই ডায়নামো জাগরেবকে ছারখার করে দিল বায়ার্ন মিউনিখ।

ঘরের মাঠে ডায়নামো জাগরেবকে একেবারে দুর্মুশ করে দিল বায়ার্ন মিউনিখ। ৯-২ গোলে বিরাট জয় দিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অভিযান শুরু করল বায়ার্ন। ম্যাচের প্রথম থেকেই ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে হ্যারি কেনরা। ম্যাচের ১৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোলটি করেন হ্যারি কেন। ৩৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন গুয়েরেইরো এবং ৩৮ মিনিটে গোল করেন অলিসে। প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বায়ার্ন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুটি গোল করে ম্যাচে ব্যবধান কমায় ডায়নামো জাগরেব। ৪৮ এবং ৫০ মিনিটে গোল করেন পেটকোভিচ ও ওগিওয়ারা। তার পর থেকে বায়ার্নকে আর ধরা সম্ভব হয়নি। আরও তিনটি গোল করেন হ্যারি কেন, এবং একাই এই ম্যাচে মোট চারটি গোল করেন তিনি। তার মধ্যে তিনটি গোল আসে পেনাল্টি থেকে। এছাড়াও একটি করে গোল করেন সানে এবং গোরেটজকাও। দুটি গোল করেন অলিসে। ইউসিএলের প্রথম ম্যাচে গোল সংখ্যা বাড়িয়ে রেখেই শুরু করলো ভিনসেন্ট কোম্পানির দল।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অন্যদিকে প্রথম ম্যাচেই জয় পেল রিয়াল। রিয়াল জিতল ৩-১ গোলে। শুরুর থেকেই খেলায় আধিপত্য তুলনামূলক বেশিই থাকে রিয়ালের। আক্রমণ প্রতিআক্রমণেই চলতে থাকে খেলা, কিন্তু প্রথমার্ধে গোলশূন্য অবস্থাতেই সাজঘরে যায় দুটি দল। দ্বিতীয়ার্ধের একদম শুরুর দিকে ৪৬ মিনিটে ইউসিএলে রিয়ালের হয়ে প্রথম গোলটি করে ফেলেন কিলিয়ান এমবাপে। তারপর ৬৮ মিনিটে উন্ডাভের গোলে সমতায় ফেরে স্টুটগার্ট। জয়ের লক্ষ্যে আক্রমণের চাপ বাড়ায় রিয়াল। তার ফলস্বরূপ ৮৩ মিনিটে আন্তোনিও রুদিগারের গোলে আবারও ম্যাচে এগিয়ে যায় তারা। অবশেষে সংযোজিত সময়ে এন্ড্রিকের করা গোল থেকে জয় পায় রিয়াল মাদ্রিদ।

Continue Reading

আন্তর্জাতিক ফুটবল

জিরোনাকে হারিয়ে লা লিগার শীর্ষে বার্সেলোনা

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: শোনা যায় ইয়ামালকে দলে নিতে পিএসজি ২৩০০কোটি টাকার অফার করেছিল বার্সেলোনাকে। কিন্তু সেই অফার ফিরিয়ে দেয় কাতালান ক্লাব। আর সেই লামিন ইয়ামালের জোড়া গোলেই ম্যাচ জিতে লা লিগার শীর্ষেই বিরাজমান থাকল বার্সেলোনা। লা লিগার ম্যাচে ৪-১ গোলে জিরোনাকে হারাল বার্সেলোনা।

মাত্র ১৭ বছর বয়সেই বিশ্বফুটবল তথা বার্সেলোনা সমর্থকদের নয়নের মনি হয়ে উঠেছেন ইয়ামাল। ইতিমধ্যেই ইউরো কাপের মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। গত মরশুমটা বার্সেলোনার খুব একটা ভালো যায়নি। মরসশুম শেষে কোচের পদ থেকে সরেছেন ক্লাবের কিংবদন্তি খেলোয়াড় তথা কোচ জাভি। দ্বিতীয় স্থানে গত মরশুম শেষ করলেও, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের থেকে ১০ পয়েন্টে পিছিয়ে থাকে তারা।

গত মরশুমে এই জিরোনার কাছে দুটো ম্যাচেই হারের মুখ দেখতে হয়েছিল বার্সেলোনাকে। এবার জিরোনাকে তাদেরই ঘরের মাঠে ৪-১ গোলে হারিয়ে বদলা নিল বার্সেলোনা। ম্যাচের ৩০ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলটি করেন ইয়ামাল। তারপর ৩৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ইয়ামাল। বক্সের ভেতর ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বাঁ পায়ের বাঁকানো শট জালে জড়ান তিনি। এই গোলটি দেখামাত্রই সবার মনে পড়ে যায় ক্লাবের কিংবদন্তি খেলোয়াড় মেসির কথা।

ম্যাচের ৪৭ মিনিটে বার্সেলোনার হয়ে ব্যবধান বাড়ান ড্যানি ওলমো। চতুর্থ গোলটি করেন পেদ্রি ম্যাচের ৬৪ মিনিটে। জিরোনার স্টুয়ানি ৮০ মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করলেও তার অনেকক্ষণ আগেই ম্যাচের ফলাফল করে দিয়েছিলেন কাতালানদের তরুণ খেলোয়াড়েরা।

ইতিমধ্যেই লামিনে ইয়ামল লা লিগার চারটি ম্যাচে তিনটি গোল এবং চারটি অ্যাসিস্ট করে ফেলেছেন। স্বভাবত তাঁকে নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী বার্সেলোনার নতুন কোচ হান্সি ফ্লিকও। তাঁর পা থেকে আরও গোল দেখতে মুখিয়ে থাকবেন সারা বিশ্ব তথা বার্সেলোনা সমর্থকেরা।

Continue Reading

আন্তর্জাতিক ফুটবল

প্রত্যাবর্তনে জোড়া গোল করলেন মেসি

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: চোট সরিয়ে ২ মাস বাদে মাঠে ফিরলেন লিওনেল মেসি। আর মাঠে নেমেই জোড়া গোল এল তাঁর পা থেকে। নিজেদের ঘরের মাঠে ফিলাডেলফিয়াকে ৩-১ গোলে হারাল ইন্টার মিয়ামি।

কোপা ফাইনালে চোটের পর সুস্থ হয়ে আবারও এমএলএসে ফিরলেন লিওনেল মেসি। আর ফিরেই নিজের হার না মানা মানসিকতা দেখালেন তিনি। জুন মাসের ১ তারিখ এমএলএসে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন মেসি। তারপর চোট থেকে ফেরত এসে পুরো ৯০ মিনিট তিনি খেললেন। মিয়ামির ঘরের মাঠে ফিলাডেলফিয়া, মাইকেল উরহের গোলে গোলে এগিয়ে যায়। যদিও বেশিক্ষণ সেই গোল ধরে রাখতে পারেনি তারা। লুইজ সুয়ারেজের বাড়ানো বল থেকে ম্যাচের ২৬ মিনিটের মাথায় দলকে সমতায় ফেরান লিওনেল মেসি। ঠিক তার কিছুক্ষণ পরেই ম্যাচের ৩০ মিনিটের মাথায় জর্দি আলবার বাড়ানো বল থেকে আবারও গোল করেন সেই মেসি। ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে মেসির বাড়ানো বল থেকে গোল করে মিয়ামির জয় নিশ্চিত করেন লুইস সুয়ারেজ।

ইতিমধ্যেই লিগের ভালো জায়গায় রয়েছে মেসির দল। দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে ফিরে পাওয়াতে তাদের খেলা যে আরও ধারালো হবে সেটা বলাই যায়।

Continue Reading

Trending