Connect with us

ফুটবল

মোহনবাগানকে আজও মনে রেখেছেন কমরন তুরসুনভ…

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: বুধবার এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দুই-এর ম্যাচ খেলতে নামছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। প্রতিপক্ষ তাজিকিস্তানের দল এফসি রাভসন। এই ম্যাচে খেলতে নামার আগে, প্রাক্তন মোহনবাগান ফুটবলার কোমরন তুরসুনভকে তাঁর দেশের ক্লাব অর্থাৎ এফসি রাভসন এবং তাঁর পুরোনো ক্লাব মোহনবাগানকে নিয়ে কিছু প্রশ্ন করা হয় এবং সেই উত্তর তিনি দিয়েছেন রে স্পোর্টজকে। সেগুলি হল-

রে স্পোর্টজ: বুধবার আপনার পুরোনো ক্লাব মোহনবাগান খেলতে নামতে চলেছে আপনার দেশের ক্লাব এফসি রাভসনের বিরুদ্ধে। আপনি কোন দলকে সমর্থন করবেন?
কোমরন: সবথেকে শক্তিশালী দলটাই আমার কাছে কালকের বিজেতা।

রে স্পোর্টজ: এফসি রাভসন দলের কী শক্তি আছে বলে আপনি মনে করেন?
কোমরন: রাভসনের শক্তিশালী দল, আর ঘরের মাঠের প্রচুর সমর্থকই ওদের সবথেকে বড় সুবিধা ও শক্তি।

রে স্পোর্টজ: মোহনবাগান দলের কী শক্তি আছে বলে আপনি মনে করেন?
কোমরন: আমি এই ক্লাবে খেলেছি এবং ভারতীয় ফুটবলকে ৫ বছর ধরে জানি। আমি মনে করি এই দলটা ভারতের খুবই শক্তিশালী দল। এবং সব থেকে বড়, এই ক্লাবের লক্ষ্য লক্ষ্য সমর্থক রয়েছেন যারা এই দলটিকে সবসময় সমর্থন করেন। সেটাই তাদের সব থেকে বড় শক্তি।

রে স্পোর্টজ: আগামীকালের ম্যাচের রেজাল্ট কী হতে পারে বলে মনে করেন?
কোমরন: রাভসনের জন্য খেলাটা খুবই কঠিন হতে চলেছে কারণ তারা মোহনবাগানের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে। আমি চাইব দল যাতে ভালো খেলে।

রে স্পোর্টজ: মোহনবাগান এবং রাভসন দলের মধ্যে কি দুর্বলতা আছে বলে আপনি মনে করেন?
কোমরন:প্রত্যেক দলেরই শক্তি ও দুর্বলতা থাকে। সেটা খুঁজে বের করাটা কোচের কাজ।

রে স্পোর্টজ: মোহনবাগানের আক্রমণভাগ খুবই শক্তিশালী। আপনার কী মনে হয় তারা রাভসনের বিরুদ্ধে কতটা সুযোগ তৈরি করতে পারবে?
কোমরন: অবশ্যই সুযোগ তৈরি করতে পারে। মোহনবাগানের আক্রমণভাগ খুবই শক্তিশালী। ম্যাকলারেন, স্টুয়ার্ট ও পেট্রাটোসদের মতো খেলোয়াড়রা রয়েছে সেখানে। তবে রাভসন দলের রক্ষণভাগও খুবই শক্তিশালী বিশেষকরে তাদের গোলরক্ষক।

রে স্পোর্টজ: এই মোহনবাগান দলে আপনার পছন্দের ফুটবলারটি কে? এবং মোহনবাগান সমর্থকদের জন্য আপনি কি বার্তা দিতে চান?
কোমরন: আমার কাছে স্টুয়ার্ট খুব পছন্দের একজন খেলোয়াড়। এবং মোহনবাগানের জন্য বলতে চাই, আমার এখনো মনে আছে মোহনবাগানে কাটানো আমার সময়ের কথা। সব থেকে সুন্দর মুহূর্ত ছিল যখন আমরা আইলীগ জিতলাম। মোহনবাগানের জন্য আমার ভালবাসা সব সময় থাকবে। আমি চাই দল ভালো করে খেলুক। জয় মোহনবাগান।

ফুটবল

চানমারিকে হারিয়ে তৃতীয় ডিভিশন আই লিগ চ্যাম্পিয়ন ডায়মন্ড হারবার এফসি

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ভারতীয় ফুটবলে নতুন শক্তি হিসেবে উঠে আসছে ডায়মন্ড হারবার এফসি। ইতিমধ্যেই দুরন্ত ফুটবল খেলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশনে উঠে এসেছিল তারা। আজ নৈহাটি স্টেডিয়ামে চানমারি এফসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে আই লিগ তৃতীয় ডিভিশনের চ্যাম্পিয়ন হল কিবু ভিকুনার দল।

অপরাজিত থেকেই তৃতীয় ডিভিশন আই লিগ জিতল ডায়মন্ড হারবার এফসি। রবিবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে কিবু ভিকুনার ছেলেরা। এর সুবাদেই ম্যাচের ৩০ মিনিটে রাঘব গুপ্ত গোল করে এগিয়ে দেন ডায়মন্ড হারবারকে। তারপর চানমারি দলের ফুটবলাররাও আক্রমণ তুলে আনতে শুরু করে, তবে প্রথমার্ধে ১-০ গোলেই শেষ হয় খেলা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই দুরন্ত ফুটবল খেলেন চানমারি ফুটবলাররা। তবে ম্যাচের ভাগ্য পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হন তাঁরা। দুরন্ত ফুটবল খেলেও কিবু ভিকুনার দলের বিরুদ্ধ হার স্বীকার করতে হয় তাদের। গতবছর দুরন্ত ফুটবল খেলেও দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগে উঠে আসতে পারেনি ডায়মন্ড হারবার। এবারে তৃতীয় ডিভিশন আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় ডিভিশনে নিজেদের জায়গা পাকা করলেন জবি জাস্টিনরা। এবার কিবু ভিকুনার কাছে লক্ষ্য হবে দ্বিতীয় ডিভিশনে ভালো ফুটবল খেলে সরাসরি প্রথম ডিভিশনে উঠে আসার।

Continue Reading

আইএসএল

ISL 2024/25: প্লেঅফ খেলা নিয়ে এখনও আশাবাদী বিনো জর্জ

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ইতিমধ্যেই আইএসএলে টানা চার ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গল দলকে। কার্লেস কুয়াদ্রাতের চলে যাওয়ার পর দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ বিনো জর্জ। তার তত্ত্বাবধানে শনিবার জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ভালো ফুটবল খেলেও ২-০ গোলে ম্যাচ হারতে হয় লালহলুদ ফুটবলারদের। তারই মাঝে খেলার শেষে ইতিবাচক বার্তা দিলেন ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান কোচ বিনো জর্জ।

দলের টানা চতুর্থ ম্যাচে হারের পরেও বিনো জর্জ বলছেন, “আমার দলের প্রতি আমার পূর্ণ ভরসা রয়েছে। এবং আমি আশাবাদী দল ঘুরে দাঁড়াবেই”। এমনিতেই অজস্র গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছে তার দল। সাউল ক্রেস্পো পেনাল্টি মিস করেন। অপরদিকে ক্লেইটন সিলভা এবং রক্ষণের খেলোয়াড় হেক্টর ইউস্তের শট বাড়ে লাগায়, সেই গোল থেকেও বঞ্চিত হয় তাঁরা। ম্যাচের শুরুতেই রেই তাচিকাওয়ার দূরপাল্লা শটে এবং দ্বিতীয়ার্ধে লালচাংনুংগার আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে তাঁর দল। তবে তিনি মনে করছেন সুযোগের সদ্ব্যবহার না করতে পারাতেই ম্যাচ থেকে হেরে ফিরতে হয় তাদেরকে।

তিনি বলেন, “জামশেদপুর ভালো ফুটবল খেলেছে। তবে তাঁরা তাদের সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে। ম্যাচে তারা যেই দুটো সুযোগ পেয়েছে সেই দুটো থেকেই গোল তুলে নিতে পেরেছে তাঁরা। তবে আমরা আজকে যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলেছি। বলের উপরে দখলও আমাদের অন্য ম্যাচের তুলনায় এই ম্যাচে বেশি ছিল। তবে হ্যাঁ, পয়েন্টটা দরকার যেটা আমরা পাইনি আজকের ম্যাচে”। অপরদিকে তিনি আরও বলেছেন, “ভাগ্যও একটা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। পেনাল্টি মিস করা, গোলের বল বাড়ে লাগা তার পাশাপাশি জামশেদপুর গোলরক্ষকও কিছু দারুন সেভ করেন। তবে আমরা যদি পেনাল্টি থেকে গোল করে দিতে পারতাম তাহলে আমরা ম্যাচে ফিরে আসতে পারতাম”।

তিনি আরও বলেন, “বাকি তিনটে ম্যাচের তুলনায় আমরা যথেষ্ট ভালো ফুটবল খেলেছি এবং আমি ১০০% আশাবাদী যে আমাদের দল এবারে প্রথম ছয়ে শেষ করবেই”। এছাড়াও কলকাতা লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতা জেসিন টিকে দলে থাকা সত্ত্বেও তাকে না খেলানো নিয়ে বিনো জর্জকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “জেসিনের এখন বয়স কম। আমাদের এটা বুঝতে হবে কলকাতা লীগ এবং আইএসএলের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। তাই ওকে আরও সময় দিতে হবে নিজেকে এই মঞ্চে খেলার উপযুক্ত করে তোলার জন্য। তাছাড়াও আমাদের দলে অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা রয়েছে যারা এই চাপের মুহূর্তে ম্যাচের রঙ পরিবর্তন করতে জানেন”।

Continue Reading

আইএসএল

ISL 2024/25: স্টুয়ার্ট জাদুতে ডার্বির রঙ সবুজ-মেরুন

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: দীর্ঘ অনেক বছর বাদে কলকাতা ডার্বিতে আবারও মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান এবং মহামেডান। ডার্বিকে ঘিরে দুই দলের সমর্থকদের উন্মাদনাও ছিল আকাশছোঁয়া। সেই ডার্বিতেই সাদা-কালো ব্রিগেডকে ৩-০ গোল উড়িয়ে দিল মোহনবাগান। গ্রেগ স্টুয়ার্টের অনবদ্য একটি গোল এবং জোড়া অ্যাসিস্টে, সমর্থকদের পুজোর আগে ডার্বি জয় উপহার দিলেন তিনি। গোল পেলেন জেমি ম্যাকলারেন এবং শুভাশিস বসুও।

দুই দলই প্রথম থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করে। কিন্তু ম্যাচের ৭ মিনিটেই গোল পেয়ে যান অস্ট্রেলিয়ান তারকা জেমি ম্যাকলারেন। দুরন্ত হেডে পদম ছেত্রীকে পরাস্ত করে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। তারপর ম্যাচের ১২ মিনিটে একটি দুরন্ত শটে মহামেডান গোলরক্ষককে পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। তারপরেও মোহনবাগান বহুবার আক্রমণ তুলে আনতে থাকে মহামেডান রক্ষণে। আবারও ম্যাচের ২১ মিনিটে জেমি ও লিস্টনের যুগলবন্দিতে প্রায় দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যাচ্ছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ম্যাচের ২৮ মিনিটে আশিস রাইয়ের বাড়ানো বল থেকে নিজের এবং দলের দ্বিতীয় গোলটি প্রায় তুলে ফেলেছিলেন জেমি ম্যাকলারেন। তার পরেই ফ্রি-কিক পায় মোহনবাগান। সেই ফ্রি-কিক থেকে ম্যাচের ৩১ মিনিটে গ্রেগ স্টুয়ার্টের ভাসানো বল থেকে হেড দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন দলের অধিনায়ক শুভাশিস বসু। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে আবারও গোল পায় মোহনবাগান। গ্রেগ স্টুয়ার্টের অসামান্য শটে পরাস্ত হন মহামেডান গোলরক্ষক। মাঝে মধ্যে সাদা-কালো ফুটবলাররাও আক্রমণে উঠে আসলেও গোল তুলতে পারেননি তাঁরা। আবারও প্রথমার্ধের শেষের দিকে গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন ম্যাকলারেন, কিন্তু তাঁকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয় মহামেডান রক্ষণের ফুটবলাররা। প্রথমার্ধে সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের দুরন্ত ফুটবলে ৩-০ গোল এগিয়ে থাকে হোসে মোলিনার দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফ্রাঙ্কার জায়গায় কোচ মাঠে আনেন মানজোকিকে। তবুও শুরু থেকে আক্রমণের ধার বেশিই থাকে মোহনবাগানের। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বেশ আক্রমণাত্মক মেজাজেই ফুটবল খেলতে দেখা যায় মহামেডান ফুটবলারদের। বেশ কয়েকবার সবুজ-মেরুন রক্ষণে ঢুকে পড়েন কাসিমভ, মানজোকিরা। তবে গোল তুলে আনতে ব্যর্থ হন তাঁরা। অপরদিকে ম্যাচের ৬৩ মিনিটে, লিস্টন কোলাসোর শট রুখে দেন মহামেডান রক্ষণের খেলোয়াড়রা। ৭৮ মিনিটে প্রায় গোল পেয়ে যাচ্ছিল মহামেডান। আলেক্সিসের বাড়ানো বল থেকে বিকাশের শট অল্পের জন্য বার উঁচিয়ে চলে যায়। অপরদিকে ম্যাচের ৮০ মিনিটে, বহুদিন পর চোট সরিয়ে আবারও মোহনবাগান জার্সি পরে মাঠে নামেন আশিক কুরুনিয়ান। এবং নেমেই ম্যাচের সংযোজিত সময়ে প্রায় গোলের সুযোগ তৈরি করে ফেলেছিলেন তিনি। তবে ব্যবধান আর বাড়েনি। অবশেষে ৩-০ গোলে মহামেডানকে হারিয়ে মরসুমের প্রথম কলকাতা ডার্বি জয় সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের।

Continue Reading

Trending