Connect with us

ইস্টবেঙ্গল

Super Cup 2024: জামশেদপুর এফসিকে হারিয়ে সুপার কাপে ফাইনালে ওঠাই লক্ষ্য ইস্টবেঙ্গলের

Published

on

সৌমজিৎ দে, ভুবনেশ্বর: চলতি সুপার কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে না দেখলে অবাক হওয়ার মত বিষয়ই হবে। কারণ কুয়াদ্রাতের দল যে ছন্দে রয়েছে তাতে আশায় বুক বাঁধছেন লাল-হলুদ সমর্থকেরা। মঙ্গলবার ভুবনেশ্বরের ক্যাপিটাল ফুটবল এরিনায় ইস্টবেঙ্গল অনুশীলন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এএফসি এশিয়ান কাপে ভারতের ম্যাচ দেখে অনুশীলনে আসে লাল-হলুদ ব্রিগেড। অনুশীলন শুরুর আগে প্রায় আধঘন্টা কোচ এবং ফুটবলারদের মধ্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলে। সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে অনুশীলনে বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেল লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। এদিন পুরোদমে অনুশীলন করলেন ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের অন্যতম সেরা অস্ত্র মান্দার রাও দেশাই। যদিও বুধবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কার্ড সমস্যার জন্য বোরহাকে পাবেন না কুয়াদ্রাত। তার জায়গায় প্রথম একাদশে জায়গা করে নিতে পারেন বিষ্ণু।

দীর্ঘ ১২ বছর পর সর্বভারতীয় স্তরের কোন ট্রফি জিততে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল। সুপার কাপের গ্রুপ পর্বে যে ছন্দে দেখা গেছে লাল- হলুদ ব্রিগেডকে তাতে বড় অঘটন না ঘটলে ফাইনালে দেখা যাবে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দলকে। অন্যদিকে ডার্বি জিতে টগবগ করে ফুটছেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে কুয়াদ্রাত বললেন “আমরা শেষ তিনটে ম্যাচ নব্বই মিনিটেই জিতেছি। তাই আমাদের লক্ষ্য থাকবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ম্যাচ জেতার।” টানা আট ম্যাচ অপরাজিত রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তবুও নক আউটে বিপক্ষ জামশেদপুর এফসিকে যথেষ্ট সমীহ করছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। তিনি বললেন “জামশেদপুর খালিদ আসার পরে খুবই ভালো ফুটবল খেলছে। ওরা পিছিয়ে থেকেও অনেক ম্যাচে ফিরে এসেছে। খালিদ জামিল ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে অনেক বেশি ওয়াকিবহাল।” তবে নিজেদের শক্তি নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ইস্টবেঙ্গল কোচ। তিনি আরও যোগ করেন “আমরাও প্রতিপক্ষ দলগুলির থেকে ভালো বলেই, সুপার কাপের তিনটি ম্যাচ জিতেছি।” আইএসএলে তেমন গোল করতে না পারলেও সুপার কাপে ভালো গোল পাওয়ায় আশাবাদী লাল-হলুদের হেড স্যার। ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ যেভাবে প্রতিটি ম্যাচে অটুট থেকেছে তাতে বিপক্ষ দলকে গোল পেতে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে। তবে জামশেদপুর এফসির মত দলের বিরুদ্ধে জয় পেতে নব্বই মিনিট লড়াই করতে হবে বলেই মনে করছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত।

ইস্টবেঙ্গল

বেজে গেল ডুরান্ড কাপের দামামা

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: অলিম্পিক্সের আবহেই শুরু হচ্ছে ডুরান্ড কাপ, আসন্ন মরশুমের প্রথম সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপ শুরু হবে ২৭ জুলাই এবং চলবে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার ডুরান্ড কমিটির পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ডার্বি সহ তিন প্রধানের সব ম্যাচের টিকিট বন্টন নিয়ে বিস্তারিত ঘোষণা হল। ১৮ অগাস্ট ডুরান্ড কাপের ডার্বি। ইস্ট-মোহনের ডার্বি ম্যাচে দুই ক্লাবকে ৫ হাজার করে টিকিট দেওয়া হবে। পাশপাশি আইএফএকে দেওয়া হবে ১২০০ টিকিট। ডার্বি ছাড়াও যুবভারতীতে তিন প্রধানের খেলা থাকেলই একই সংখ্যক টিকিট বন্টন করা হবে। ২৭ জুলাই উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গল প্রথম ম্যাচে নামবে ২৯ জুলাই।

Continue Reading

ইস্টবেঙ্গল

নতুন মরশুমে মাঠ কাঁপাতে তৈরি ইমামি ইস্টবেঙ্গল

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: একদিকে সাউন্ড বক্সে বাজছে ইস্টবেঙ্গলের গান। অন্যদিকে, সিঁড়ি দিয়ে একের পর এক নেমে আসছেন লাল-হলুদ তারকারা। অভিনব কায়দায় আসন্ন মরশুমের দলকে প্রকাশ্যে আনলেন ইমামি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। এর আগে এমন দৃশ্য কলকাতা ফুটবল দেখেছে বলে মনে হয় না। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইমামি ইস্টবেঙ্গলের দুই কর্তা আদিত্য আগরওয়াল এবং বিভাস আগরওয়াল, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার এবং ক্লাব সচিব রূপক সাহা ছিলেন। এছাড়াও লাল-হলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতও উপস্থিত ছিলেন।

ইমামি ইস্টবেঙ্গলের এই গর্বের দিনে কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বললেন “সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। গত মরশুমে দলের সাফল্যটা ছিল সমর্থকদের কাছে একটা সারপ্রাইজ। কিন্তু এই বছর সমর্থকদের প্রত্যাশা বেড়েছে। আমরা আমাদের পূর্ণ শক্তি প্রস্তুত করছি। আমার কোচিং কেরিয়ারে ইস্টবেঙ্গল অন্যতম সেরা ক্লাব।”

ইমামি কর্তা আদিত্য আগারওয়াল বললেন “আমরা একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। সেই লক্ষ্যের দিকে আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের গৌরবময় অতিত ফিরিয়ে আনতে চাই আমরা। এই বছর অনেক শক্তিশালী দল গঠন করেছি আমরা। আশা রাখছি সাফল্য আসবেই।”

Continue Reading

ইস্টবেঙ্গল

সমর্থকদের ভালোবাসার মর্যাদা দেব: তালাল

Published

on

সৌমজিৎ দে: মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে তখন সবে ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলন শেষ হয়েছে। গাড়িতে বেরিয়ে গেছেন লাল-হলুদের হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত সহ বাকি সাপোর্ট স্টাফেরা। তারপরেই ধীরে ধীরে এগিয়ে আসতে দেখা গেল তাঁকে যার জন্য অধীর আগ্রহে অনুশীলনের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলেন বেশ কিছু ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। তিনি মাদিহ্ তালাল। হাসিমুখে মাঠ ছাড়ার সময় দাঁড়িয়ে থাকা সকল লাল-হলুদ সমর্থকদের সঙ্গে সেল্ফি তোলার পাশাপাশি, বেশ কিছু খুদের জার্সিতে সইও করলেন তিনি।

মঙ্গলবার প্রায় মধ্যরাতে কলকাতায় এসেও, এদিন বিকেলে মূল দলের সঙ্গে চুটিয়ে অনুশীলন করলেন তালাল। বিমানবন্দরে প্রচন্ড ভিড়ের কারণে কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলেও, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুশীলন শেষে রে স্পোর্টজের সঙ্গে একান্তে কথা বললেন লাল-হলুদের এই বিদেশি মিডফিল্ডার। তার কথা শুনে মনে হল বিমানবন্দরে পাওয়া দারুণ আতিথিয়তার ঘোর এখনও কাটেনি তালালের। তিনি বলেন,”আমি এমন অভ্যর্থনা কোথাও পাইনি। অত রাতেও এতজন মানুষ বিমানবন্দরে আমার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন। এই ভালোবাসা আমি কোনওদিন ভুলবো না। ওদের ভালোবাসার মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করব।”

এদিন অনুশীলনেও চূড়ান্ত ফিট লাগল এই ফরাসি প্লে-মেকারকে। সেই রহস্য ফাঁস করে তালাল নিজেই জানালেন,”আমি ফ্রান্সেও নিজের ফিটনেস ধরে রাখার জন্য নিয়মিত অনুশীলন করেছি। তাই জেট ল্যাগ থাকা সত্ত্বেও মাঠে নেমে পুরো অনুশীলন করলাম। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে নিজের সেরাটা দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য। এখন আমার প্রথম টার্গেট হল ডুরান্ড কাপ।” প্রসঙ্গত গত মরশুমে পঞ্জাব এফসির হয়ে নিজের শেষ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে অন্যতম বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তালাল। সেই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,”এখন আর ওসব মনে নেই। ওই ঘটনা আমার কাছে এখন অতীত। এবারে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে বাকিদের হারানোই আমার প্রধান লক্ষ্য।”

অন্যদিকে মঙ্গলবার অনুশীলনের শুরুতেই তালালকে বিশেষ অভ্যর্থনা জানান তাঁর নতুন সতীর্থরা। তারপরেই কিছুক্ষণ ফিজিকাল ট্রেনিং করে মূল দলের সঙ্গে জোরকদমে অনুশীলন শুরু করে দেন এই বিদেশি মিডফিল্ডার। সেট পিস থেকে বেশকিছু গোলও করতে দেখা যায় তাঁকে।

Continue Reading

Trending