ইস্টবেঙ্গল
Super Cup 2024: ২-০ গোলে জামশেদপুর এফসিকে উড়িয়ে দিয়ে সুপার কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল
সৌমজিৎ দে, ভুবনেশ্বর: বৃষ্টিস্নাত কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে তখন সবে সুপার কাপের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল বনাম জামশেদপুর এফসির প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়েছে। হিজাজি মাহিরের গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে লাল-হলুদ ব্রিগেড। হঠাৎ দেখা গেল সব ফুটবলার ড্রেসিংরুমে চলে গেলেও জামশেদপুর টিম ম্যানেজমেন্টের একজন দ্বিতীয়ার্ধে যে দিকে দুর্গ সামলাবেন প্রভসুখন, সেখানে সাইড লাইনের ধারে একটি নীল রুমাল রেখে এলেন। স্বভাবতই বোঝা গেল এই নির্দেশ এসেছে দলের হেড কোচ খালিদ জামিলের কাছ থেকেই। ভারতীয় ফুটবলে এমন কথা প্রচলিত আছে যে, খেলার মাঝে এমন তুকতাক প্রায়ই করে থাকেন খালিদ। এদিন আদৌ তিনি সেই কাজ করেছিলেন কিনা, তা খালিদই বলতে পারবেন, তবে তা একেবারেই কাজে এল না। এদিন মাঠে লাল হলুদের তেজ এতটাই প্রখর ছিল যে তাতে পুড়ে ছারখার হয়ে গেল জামশেদপুর এফসি। ক্লেইটন সিলভার পেনাল্টি মিস সত্ত্বেও ২-০ গোলে জিতে ডুরান্ড কাপের পরে এবারে সুপার কাপেরও ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচের শুরুতে তিন মিনিটের মাথায় একটি জোরালো পেনাল্টির আবেদন করে ইস্টবেঙ্গল। সেট পিস থেকে একটি আক্রমণের সময় বক্সের মধ্যে সিভেরিও পড়ে গেলেও সেই আবেদন নাকচ করে দেন রাহুল কুমার গুপ্তা। তবে এরপর থেকে ধীরে ধীরে মাঝ মাঠে নিজেদের লোক বাড়াতে থাকে লাল-হলুদ ব্রিগেড। বক্সের মধ্যে একের পর এক আক্রমণের ঝড় তুলতে থাকেন ক্লেইটন, ক্রেসপোরা। শেষমেষ ১৯ মিনিটে সেট পিস থেকে ম্যাচের প্রথম গোল তুলে নেয় ইস্টবেঙ্গল। ক্লেইটন কর্নার নিলে তাতে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন সিভেরিও। বল পান সল ক্রেসপো। তিনি বক্সের মধ্যে থাকা হিজাজি মাহেরকে মাপা বল বাড়ালে, ঠান্ডা মাথায় তা গোলে ঠেলেন জর্ডনের এই ডিফেন্ডার। যদিও এরপরে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরতে থাকে জামশেদপুর। ৩৩ মিনিটের মাথায় সমর্থকদের হৃদস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন গিল। তাচিকাওয়ার দূরপাল্লার শট তার হাতে থাকলেও মাঠ ভিজে থাকার কারণে বল ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষকের হাত থেকে ছিটকে বেরিয়ে প্রায় গোলে ঢুকে যাচ্ছিল। কোনওরকমে আবার বলের নাগাল পেয়ে বিপদ এড়ান গিল। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে দারুন কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ম্যাচের দ্বিতীয় গোল তুলে নেওয়ার দারুন সুযোগ ছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। তবে বিষ্ণুর শট দারুণভাবে বাঁচিয়ে দেন জামশেদপুর গোলরক্ষক রেহেনেশ টিপি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ৪৭ মিনিটের মাথায় ম্যাচের দ্বিতীয় গোল তুলে নেয় ইস্টবেঙ্গল। ওভারল্যাপে নন্দকুমারকে লক্ষ্য করে দারুন একটি বল বাড়ান নিশু কুমার। সেই বল নন্দ আবার নিশুকে দিলে তা তিনি বক্সের মধ্যে থাকা সিভেরিওকে বাড়ান। সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি তিনি। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। ৮১ মিনিটে পরিবর্ত হিসেবে নামা সায়ন ব্যানার্জিকে বক্সের মধ্যে ফাউল করা হলে পেনাল্টি পায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। অধিনায়ক ক্লেইটন সিলভা জোরালো শট নিলেও তা সোজা ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। এরপর গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে জামশেদপুর। ৮৫ মিনিটের মাথায় এলসিনহোর হেড কোনওরকমে আঙুল ছুঁইয়ে বারের উপর দিয়ে পাঠান লাল-হলুদ গোলরক্ষক প্রভসুখন গিল। ২-০ গোলে জামশেদপুর এফসিকে উড়িয়ে দিয়ে সুপার কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা।
আইএসএল
ISL 2024/25: ম্যাচ হারে অখুশি কুয়াদ্রাত
রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: শনিবার বেঙ্গালুরু এফসির কাছে প্রথম ম্যাচেই হারের মুখ দেখতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। আইএসএলের প্রথম ম্যাচ থেকে পয়েন্ট না পেয়ে একদমই খুশি নন লাল-হলুদ হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তবে এটাকে খেলার একটা অঙ্গ বলছেন তিনি।
ইস্টবেঙ্গলের দুর্বল রক্ষণকে কাজে লাগিয়ে, ম্যাচের ২৫ মিনিটের মাথায় গোল করেন বেঙ্গালুরুর তরুণ মিডফিল্ডার ভিনিথ ভেঙ্কটেশ। তাছাড়াও একাধিকবার তারা আক্রমণ তৈরি করে ইস্টবেঙ্গল অর্ধে। প্রথমার্ধে কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ। দ্বিতীয়ার্ধে মাদিহ তালালকে নামিয়ে আক্রমণ ধারালো করে ইস্টবেঙ্গল। তবে গোলের অনেক সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে পারেনি তারা।
ম্যাচের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বললেন, “ম্যাচের শেষে আমরা ১০ জনে খেলেছি। কিন্তু আমরা ম্যাচ থেকে পয়েন্ট পাওয়ার মানসিকতা নিয়েই মাঠে নেমেছিলাম। অনেক গোলের সুযোগ আসা সত্ত্বেও সেগুলো গোল করতে পারিনি আমরা। মহেশ আর নন্দকুমার দুটো উইং থেকে যথেষ্ট ভালো খেলেছেন। আমরা আশা রাখছি আমরা আরও উন্নতি করবো।” এই ম্যাচে তরুণ ফুটবলার আমন আর বিষ্ণুর খেলাতে মুগ্ধ কুয়াদ্রাত। তিনি বলেছেন, “ওরা সদ্য কলকাতা লিগ খেলে এসেছে তাই ওদের ফিটনেসও যথেষ্ট ভালো জায়গায় রয়েছে। ম্যাচের শেষের দিকে ওরা যথেষ্ট আক্রমণ তুলে এনেছে। ওদের খেলাতে আমি খুশি এবং আশা রাখছি ওরা ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলবে।”
অপরদিকে বেঙ্গালুরুর কোচ জেরার্ড জারাগোজা বলছেন, “ইস্টবেঙ্গল খুব ভালো দল। কিন্তু আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল ঘরের মাঠে ম্যাচটি জিতে পুরো ৩ পয়েন্ট অর্জন করা এবং সেটা করতে পেরে আমরা খুশি। গোলসংখ্যা আমাদের আরও বাড়তে পারতো, কিন্তু আমাদের পরবর্তী ম্যাচগুলোতে আরও ভালো ফুটবল খেলতে হবে, আরও উন্নতি করতে হবে।”
আইএসএল
ISL 2024/25: প্রথম ম্যাচে আবারও জয় অধরা ইস্টবেঙ্গলের
রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: আইএসএলের প্রথম ম্যাচে কখনও জয় পায়নি ইস্টবেঙ্গল। শনিবারও বেঙ্গালুরুর মাঠে সেই ঘটনার অন্যথা হল না। ভেঙ্কটেশের করা একমাত্র গোলে বেঙ্গালুরুর কাছে ম্যাচ হারল ইস্টবেঙ্গল।
এদিন ম্যাচের প্রথম থেকেই খুব একটা ভালো ফুটবল খেলতে পারছিল না ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখতে হয় নন্দকুমার, হেক্টর এবং লালচুংনুঙ্গাকে। সেইসঙ্গে ক্রমাগত আক্রমণ করতে থাকছিল বেঙ্গালুরু এফসি। সেই আক্রমণের ফলস্বরূপ ম্যাচের ২৫ মিনিটের মাথায় ভিনিথ ভেঙ্কটেশের করা গোলে পিছিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। এরপরও আরও অনেক সুযোগ পেয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি, কিন্তু সেগুলোকে গোলে রূপান্তর করতে পারেনি তারা। কিছু সময় ইস্টবেঙ্গলও আক্রমণে উঠে এলেও গোলের রাস্তা খুলতে পারেনি তারাও। জিকসন সিংহের একটা দূরপাল্লা শট সেভ করেন বেঙ্গালুরু গোলরক্ষক গুরপ্রীত। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে ড্রেসিংরুমে ফেরে ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে দিমানতাকোসকে তুলে মাদিহ তালালকে মাঠে নামান হেড কোচ কুয়াদ্রাত। ৭১ মিনিটে ক্লেইটন, আমান এবং বিষ্ণুকে মাঠে নামতেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক খেলা দেখা যায় লাল-হলুদের তরফ থেকে। অন্যদিকে ম্যাচের ৮৬ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান লালচুংনুঙ্গা। তারপর গোলমুখী আক্রমণ করা সত্ত্বেও গোল তুলে আনতে ব্যর্থ জয় কুয়াদ্রাতের দল।
এদিনের ম্যাচের পর ডিফেন্স এবং অজস্র কার্ড দেখা নিয়ে যথেষ্ট মাথা ব্যথা থাকবে লাল-হলুদ কোচের। এবারে দেখার কত দ্রুত এই সব কিছুর সমাধান করে জয়ের সরণিতে ফিরতে পারে ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ ২২ সেপ্টেম্বর, কোচিতে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে।
আইএসএল
জয় দিয়ে মরসুম শুরু করতে চান কুয়াদ্রাত
রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ইতিহাস বলছে আইএসএলের প্রথম ম্যাচে কখনও জয় পায়নি ইস্টবেঙ্গল। তবে চলতি মরসুমে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে চান কার্লেস কুয়াদ্রাত।
শনিবার ১১তম আইএসএল মরসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু এফসি। ঘরের বাইরে বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে খেলবে দল। ডুরান্ড কাপের ব্যর্থতা ভুলে জয় দিয়েই আইএসএল শুরু করতে তৈরি গোটা ইস্টবেঙ্গল দল।
শুক্রবার বেঙ্গালুরুর সাউথ ইন্ডিয়ান ফুটবল ক্লাবের মাঠে অনুশীলন করেছে গোটা ইস্টবেঙ্গল দল। গোটা দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন নন্দকুমারও। কলকাতায় শেষ অনুশীলনে পায়ে হালকা চোট পেয়েছিলেন তিনি। তবে তাঁকে অনুশীলন করতে দেখে বোঝাই গেল চোট সেরকম গুরুতর নয় এবং তিনি পুরো ফিট। খেলার আগেরদিন প্রেস কনফারেন্সে কার্লেস কুয়াদ্রাত জানিয়েছেন, “বেঙ্গালুরু যথেষ্ট ভালো দল। তবে আমরাও আশাবাদী আমরা এবছর আরও কঠিন লড়াই দেবো। এবছর আমাদের দল যথেষ্ট শক্তিশালী হয়েছে তবে অ্যাওয়ে ম্যাচে খেলতে এসে আমাদের লক্ষ্য থাকবে পুরো ৩ পয়েন্ট ঘরে তোলার।”
গতমরশুম বেশ কিছু ম্যাচে রেফারির খারাপ সিদ্ধান্তের জন্য পয়েন্ট নষ্ট করেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই প্রসঙ্গে কুয়াদ্রাত বলেছেন, “আশা করব এবছরের রেফারিং ভালোই হবে।” এছাড়াও দলের ডিফেন্ডার হিজাজি মাহের জানিয়েছেন, “আমরা গোটা বেঙ্গালুরু দলকে নিয়ে পরিকল্পনা করেছি, এবং আমরা আশাবাদী আমরা এই ম্যাচটি জিতে ফিরব।” এবারে দেখার প্রথমবারের জন্য মরসুমের প্রথম ম্যাচে জয় দিয়ে আইএসএল অভিযান শুরু করতে পারে কিনা লাল-হলুদ বাহিনী।
-
আইএসএল9 months ago
বড় ধাক্কা কেরালা ব্লাস্টার্সের
-
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট11 months ago
ICC CWC 2023: বিশ্বকাপে যুগ্ম দ্রুততম ১০০০ রোহিতের, ভাঙলেন ছয়ের রেকর্ড…
-
ফুটবল10 months ago
এএফসি কাপ আয়োজনের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে
-
ফুটবল9 months ago
এশিয়ান কাপের সম্ভাব্য দল ঘোষণা করল ভারত
-
ফুটবল1 year ago
কলকাতায় প্রাক মরশুম প্রস্তুতি শুরু করল ইন্টার কাশি
-
ইস্টবেঙ্গল12 months ago
দলে আমূল পরিবর্তন, তবুও সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচেই হার ইস্টবেঙ্গলের
-
ফুটবল10 months ago
ঘরের মাঠে অসহায় আত্মসমর্পণ, এএফসি কাপে স্বপ্নভঙ্গ মোহনবাগানের
-
ফুটবল1 year ago
ফিফা বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে ভারতের প্রথম দুটি হোম ম্যাচে আয়োজনের দায়িত্ব পেল ভুবনেশ্বর এবং গুয়াহাটি