Connect with us

মোহনবাগান

মোহনবাগান দিবসে মোহনবাগান রত্ন পেতে চলেছেন গৌতম সরকার, জীবনকৃতী সম্মানে সম্মানিত হবেন শঙ্কর ব্যানার্জি

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্কঃ ২৯শে জুলাই মানেই সাজো সাজো রব মোহনবাগান ক্লাবের অভ্যন্তরে। প্রতিবছর এই দিনটিকে মোহনবাগান দিবস হিসেবেই পালন করা হয়। এই বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে ২৯ শে জুলাই মহরম। তাই এই বিশেষ দিনটির কথা মাথায় রেখে দুইদিন ধরে পালিত হবে এই বছরের মোহনবাগান দিবসের অনুষ্ঠান। ২৯শে জুলাই দুপুর ১:৩০ মিনিটে থাকছে প্রাক্তনীদের ফুটবল ম্যাচ। দুপুর ৩:৩০ মিনিটে শ্রী সুব্রত ভট্টাচার্যের আত্মজীবনী প্রকাশ, “ষোলো আনা বাবল”। ৩০শে জুলাই মোহনবাগান দিবস উপলক্ষে মোহনবাগান রত্নে সম্মানিত হবেন প্রাক্তন ফুটবলার শ্রী গৌতম সরকারের হাতে। জীবনকৃতি সম্মানে সম্মানিত করা হবে প্রাক্তন ফুটবলার শ্রী শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

গত মরশুমের শ্রেষ্ঠ ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন মোহনবাগানের আইএসেল জয়ী দলের গোল রক্ষক বিশাল কাইথ। বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পাবেন অর্ণব নন্দী। ২০২২-২৩ মরশুমের সেরা ফরওয়ার্ডের পুরস্কার পেতে চলেছেন দিমিত্রি পেত্রাতোস এবং সেরা যুবক খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাবেন এংসন সিং। সম্মাননা প্রদান ছাড়াও এই দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী শ্রীমতি লোপামুদ্রা মিত্র এবং বাবুল সুপ্রিয়। তাদের সুরের ঝংকারে পালিত হবে এই বছরের মোহনবাগান দিবস।

ফুটবল

ঘরে ফিরছেন প্রীতম কোটাল

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: ডুরান্ড কাপ ফাইনালে হারের পর বাগান জনতার মনে একটাই প্রশ্ন, মোলিনার দলের রক্ষণ সামলাবে কে? দুই তারকা নিদেশি ডিফেন্ডারকে এনেও দলের রক্ষণ ভরাট হয়নি। আনোয়ার আলি চলে যাওয়ার পর থেকেই মোহনবাগান রক্ষণের ভরাডুবি চোখে পড়েছে। দলে ভারতীয় ডিফেন্ডারের অভাব ছিলই। চলতি ডুরান্ড কাপে তিন ম্যাচে সাত গোল হজম করেছে বাগান রক্ষণ। এই অবস্থায় যে নামটা সবচেয়ে বেশি আলোচনায় উঠে আসছিল সেটা হলো প্রীতম কোটাল। মোহনবাগানের ঘরের ছেলে।

গত কয়েকদিন ধরেই তাকে নিয়ে জল্পনা চলছে। দল গঠনের সময় থেকেই প্রীতমকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী ছিল মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। তাকে দলে নেওয়ার জন্য একাধিক অপশন খুঁজছিল বাগান ম্যানেজমেন্ট। যদিও সেগুলো দ্বিতীয় বা তৃতীয় পছন্দ। কারণ শুরু থেকেই মোহনবাগানের প্রথম পছন্দ ছিল প্রীতম কোটাল। অন্যদিকে, কেরালা ব্লাস্টার্সের প্রয়োজন ছিল একজন মাঝমাঠের ফুটবলার। যেখানে শোনা যায় দীপক টাংরি বা অভিষেক সূর্যবংশীকে পেতে আগ্রহী ছিল কেরালা। পরবর্তীতে কেরালার মাঝমাঠে আর ফুটবলারের প্রয়োজন নেই মনে হলে প্রীতম কোটালের ডিল টা থমকে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে প্রীতম কোটাল এর সঙ্গে কথাবার্তা কখনোই বন্ধ করেনি বাগান ম্যানেজমেন্ট।

প্রাথমিকভাবে প্রীতম কোটালকে ছাড়তে রাজি ছিল না কেরালা ব্লাস্টার্স। কিন্তু পরবর্তী কালে তার বাবার শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি পরিবারের কাছাকাছি থাকতে চাইছিলেন। পাশাপাশি মোহনবাগানের প্রতি তার একটা আলাদা টান রয়েছে। প্রীতম কটাল কেরালা ব্লাস্টার্সের পরিকল্পনা তে থাকলেও, বাগান কোচ হোসে মোলিনা দলে চাইছেন প্রীতমকে। সব মিলিয়ে প্রিতমের ঘরে ফেরার রাস্তা আরও খানিকটা চওড়া হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে মোহনবাগান দলে একাধিক মিডফিল্ডার থাকায় দীপক টাংরিকে ছাড়তে রাজী হয় ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু শনিবারই ছিল ট্রান্সফার উইন্ডোর শেষ দিন। তার মধ্যে সই পর্ব সম্পূর্ণ না হওয়ায় সমস্যায় পড়ে মোহনবাগান। ফলে প্রীতমকে দল বদল করতে হলে তাকে ফ্রি প্লেয়ার হতে হত। তাই তড়িঘড়ি কেরালা ব্লাস্টার্সের সঙ্গে মিউচুয়ালি চুক্তি ভঙ্গ করেন প্রীতম।

অন্যদিকে, প্রীতমের পরিবর্তে সোয়্যাপ ডিলে মোহনবাগানকে একটা প্লেয়ার দিতে হত। তাই দীপক টাংরির সঙ্গেও মিউচুয়ালি সম্পর্ক ছিন্ন করে বাগান ম্যানেজমেন্ট। ডুরান্ড কাপের শেষ দুটি ম্যাচে মাঠে দেখা যায়নি দীপক টাংরিকে। ফলে বলাই যায় কোচ হোসে মোলিনা তার পরিকল্পনায় রাখতে চাইছেন না দীপক টাংরিকে। তাই তাকে রিলিজ দিতে খুব একটা সমস্যা হয়নি মোহনবাগানের। আর তাই সোয়্যাপ ডিলে প্রীতম কোটালকে ঘরে তুলতে চলেছে মোহনবাগান। মাঝে প্রীতম কোটাল এর বিকল্প হিসেবে বেশ কিছু নাম শোনা গেলেও, বাগান ম্যানেজমেন্ট কিন্তু প্রীতমকে দলে নেওয়ার রাস্তা থেকে সরে আসেনি। একেবারে শেষ মুহুর্তের কিছু কথাবার্তা চলছে। শেষ পর্যন্ত সোয়্যাপ ডিলের মাধ্যমেই ঘরের ছেলেকে ঘরে ফেরাতে চলেছে মোহনবাগান।

Continue Reading

ফুটবল

ট্রফি জিততে মরিয়া মোলিনা

Published

on

রে স্পোর্টজের প্রতিবেদন: শনিবার ঘরের মাঠে ট্রফি ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে নামছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমিফাইনালে তিন কাঠির নিচে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন বিশাল কাইথ। জোরা পেনাল্টি বাঁচিয়ে ম্যাচের নায়ক তিনি। জোভানোভিচের শট টা আটকে দিতেই, দর্শকদের উদ্দেশ‌্যে আকাশের দিকে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে বিশাল একটা লাফ দিলেন। আর তাতেই বোঝা গেল কতটা সন্তুষ্ট তিনি।

দলকে ফাইনালে পৌঁছে দিয়ে বিশাল বললেন “আমার কাজ গোল বাঁচানো, আমি সেই কাজটাই করেছি। টাইব্রেকারে আমি আছি ভেবে সতীর্থরা ভরসা পায়। আমি প্রতি মুহুর্তে উন্নতি করার চেষ্টা করছি।” পরপর দুই ম্যাচে পেনাল্টি বাঁচিয়ে কাইথ বললেন “টাইব্রেকারে আমার নিজের উপর বিশ্বাস ছিল। জানতাম একটা বা দুটো শট সেভ করতে পারলেই আমরা ম্যাচে ফিরতে পারব। আমি সেই কাজটাই করেছি।”

দিমিত্রি পেত্রাতস থেকে শুভাশিস বোস সকলেই বিশালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ম্যাচ শেষে শুভাশিস বললেন “বিশাল এই মুহুর্তে দেশের সেরা গোলরক্ষক। প্রতিনিয়ত ও মাঠে সেটা প্রমাণ করছে। আজ না হোক কাল, জাতীয় দলের জার্সিতে ওকে দেখা যাবেই।” মোহনবাগানের হয়ে প্রথম ট্রফি জিততে মরিয়া স্প্যানিশ কোচ জোসে মোলিনা। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতে, সাফল্যের কৃতিত্ব তিনিও বিশালকেই দিলেন। মোলিনা বললেন “বেঙ্গালুরুর মত শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিততে পেরে আমি খুব খুশি। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। ট্রফি জেতার জন্য আমরা মুখিয়ে রয়েছি।”

তবে ম্যাচ জিতলেও এদিনও দলের রক্ষণ চিন্তায় রাখল বাগান কোচকে। যদিও তা নিয়ে খুব একটা ভাবতে চাইছেন না মোলিনা। তবে সেমিতে রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বাগান কোচ। প্রথমার্ধে বেঙ্গালুরুর পেনাল্টি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। তবে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে নিজেদের কিছু ভুল ছিল বলেও মানছেন বাগান করছে। ফাইনালে মাঠে নামার আগে সেই ভুল দ্রুত শুধরে নিতে হবে বলেই মনে করছেন তিনি।

Continue Reading

ফুটবল

বিশাল ‘হাতে’ ফাইনালে বাগান

Published

on

সৌমজিৎ দে: আরও একটা পেনাল্টি শুটআউট এবং আরও একবার রক্ষাকর্তা সেই একজনই! বিশাল কাইথ। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে দুটি অনবদ্য সেভ করে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে ফের একবার ফাইনালে তুললেন গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। ম্যাচে একসময় ০-২ গোলে পিছিয়ে ছিল মোহনবাগান। তবে পেনাল্টি থেকে দিমিত্রি পেত্রাতোস ও ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে অনিরুদ্ধ থাপার অনবদ্য গোলে ম্যাচে ফেরে বাগান।

ম্যাচ শুরুর ১২ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যাওয়ার দারুণ একটি সুযোগ হাতছাড়া করে বেঙ্গালুরু। কাউন্টার অ্যাটাকে বল নিয়ে উঠে এসে গোলরক্ষক বিশাল কাইথকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। দারুণ দক্ষতায় তা বাঁচিয়ে দেন বিশাল। ম্যাচের ২৭ মিনিটে চোট পেয়ে উঠে যান বাগান অধিনায়ক শুভাশিস।

এরপরে একের পর এক আক্রমণ গড়ে তোলে বেঙ্গালুরু। এমন আক্রমণের মুহূর্তেই ৪১ মিনিটে পেনাল্টি পায় বেঙ্গালুরু। বাগান বক্সের ডানদিক থেকে বিনীত বেঙ্কটেশ বল নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন লিস্টন। তৎক্ষণাৎ পেনাল্টি দেন রেফারি। সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি সুনীল। ৪৫ মিনিটের মাথায় পরপর দুটি সুযোগ পায় বাগান। বক্সের বাইরে থেকে লিস্টন গোলার মতো শট নিলে তা বারে লাগে। ঠিক তার পরমুহুর্তেই দিমিত্রির কর্নার থেকে বল পেয়ে, কামিন্স বাঁ পায়ে ভলি নিলে তা অল্পের জন্য বাইরে যায়। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে আলবার্তোর একটি হেডও বারে লেগে বাইরে যায়। ৫১ মিনিটে আপুইয়ার ভুলে ব্যবধান বাড়ায় বেঙ্গালুরু। আপুইয়া গোলরক্ষককে লক্ষ্য করে ব্যাক পাস দিলে, তা পেয়ে যান পেরেরা দিয়াজ। বিশাল বক্সের মধ্যে তাঁর পা থেকে বল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে, দিয়াজ তা ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা বিনিথের উদ্দেশ্যে বাড়ালে তিনি ব্যবধান ২-০ করে দেন।

৬০ মিনিটে ম্যাচের অন্যতম সহজ সুযোগ নষ্ট করেন স্টুয়ার্ট। ৬৬ মিনিটে আশিস রাই বক্সের মধ্যে মনবীরকে বল বাড়ালে তাঁকে টেনে ফেলে দেন ভেকে। পেনাল্টি দেন রেফারি। সেখান থেকে গোল করেন পেত্রাতোস। ৮৪ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বুলেট শটে গোল করে ফলাফল ২-২ করে দেন অনিরুদ্ধ থাপা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ পেনাল্টি শুটআউটে গেলে দুটি অনবদ্য সেভ করে মোহনবাগানকে ফাইনালে তোলেন গোলরক্ষক বিশাল কাইথ।

Continue Reading

Trending