Connect with us

ইস্টবেঙ্গল

Durand Cup: এবারের টুর্নামেন্টে প্রমাণ হবে আইএসএল না আই লিগের দল সেরা, জানালেন দীপেন্দু বিশ্বাস…

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: ঐতিহ্যশালী ২০২২ ডুরান্ড কাপ শুরু হতে আর এক মাসও বাকি নেই। ইতিমধ্যেই সূচি ঘোষণা হয়ে গেছে। কলকাতার দুই প্রধান এটিকে মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল কলকাতা ডার্বি দিয়ে আগামী ১৬ আগস্ট এবারের ডুরান্ড কাপে কাঠি পড়বে। ইস্টবেঙ্গল, এটিকে মোহনবাগান ছাড়াও এবারে এই টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট দল হল কলকাতার আরেক প্রধান মহামেডান স্পোর্টিং। তারা এবছর আরও নতুন নতুন সাইন করিয়ে নিজেদের দলের শক্তি গত মরশুমের তুলনায় অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছে। ডোগান কাপে নামার আগে তাই আত্মবিশ্বাসী মহামেডান স্পোর্টিংয়ের ফুটবল সচিব এবং প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস। তাকে ডুরান্ড কাপের তরফ থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল যার উত্তর দিয়েছেন দীপেন্দু। এক এক করে তাকে করা প্রশ্ন এবং তার উত্তর দেখে নেওয়া যাক।

১: এবছর লড়াইটা প্রধানত হতে চলেছে আই লিগ, আইএসএল এবং আর্মির দল গুলির মধ্যে। এটা নিয়ে আপনার মতামত?

দীপেন্দু: আপনার যদি মনে থাকে তাহলে গতবছরের ডুরান্ড কাপের ফাইনাল হয়েছিল আই লিগ এবং আইএসএল দলের মধ্যে। সেখানে মহামেডান ফাইনালে দারুন লড়াই করেছিল আইএসএলের দল এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। ‌ অতিরিক্ত সময়ের গোলে আমরা সেবার ফাইনালে হেরে যাই। যদিও এবছর আমি মনে করি সব টিম আরো বেশি প্রস্তুতি নিয়ে এই টুর্নামেন্টে নামতে চলেছে। তাই এই বছর এটা বোঝা যাবে যে কোন লিগের দল ভাল? আইএসএলের নাকি আই লিগের।

২: ডুরান্ড কাপ নিয়ে আপনার কোনও স্মৃতি আছে?

দীপেন্দু: ফুটবলার হিসেবে অবশ্যই অনেক স্মৃতি রয়েছে। ১৯৯৫-৯৬ মরশুমে আমি টাটা ফুটবল একাডেমির হয় ডুরান্ড কাপে অংশ নিই। সে বছর আমি সেমিফাইনালে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গোল করি। ওই ম্যাচটাই আমার ফুটবল জীবনের মোড় ঘোরানো বছর ছিল। তাই সেই বছরের ডুরান্ড কাপ থেকেই আমি ভারতীয় ফুটবলে প্রতিষ্ঠা পাই। সেই কারণেই ডুরান্ড আমার জীবনে সর্বদা একটা স্পেশাল টুর্নামেন্ট হয়ে থাকবে।

৩: ডুরান্ড কাপে সবথেকে কঠিন প্রতিপক্ষ কে ছিল?

দীপেন্দু: যখন আমি ডুরান্ড কাপ খেলি আমার মতে তখন সব থেকে কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল টাটা ফুটবল একাডেমি। আর টিম ম্যানেজার হিসেবে মনে করি কত বছর এফসি গোয়া ফাইনালে সবথেকে কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল আমাদের।

৪: ডুরান্ড কাপ শুরু হচ্ছে কলকাতা ডার্বি দিয়ে। আপনার মতামত?

দীপেন্দু: যেহেতু ডুরান্ড কাপ এ বছর ডার্বি ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে তাই এর একটা ভাল দিক আছে। এবারের টুর্নামেন্টটা খুব সহজেই গোটা দেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে পৌঁছে যাবে কারণ ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান প্রথম ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে।

৫: ডুরান্ড কাপ তখন এবং এখন। আপনার মতামত?

দীপেন্দু: দেখুন আগে ডুরান্ড কাপ শুধুমাত্র দিল্লি কেন্দ্রিক অনুষ্ঠিত হত। আর এই টুর্নামেন্টটা প্রধানত শীতকালে খেলা হত। তবে বর্তমানে ডুরান্ড কাপ কোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই বলাই যায় এবারের ডুরান্ড কাপ অন্য সব বারের থেকে অনেকটাই আলাদা এবং অনেকটাই বড়।

৬: আপনার মনে হয় ডুরান্ড কাপ প্রতিযোগিতা সকল যুব ফুটবলারদের কাছে নিজেদের প্রমাণ করার একটা বড় মঞ্চ?

দীপেন্দু: এই কারণেই ডুরান্ড কাপ হলো খুবই স্পেশাল জুনিয়ার ফুটবলারদের কাছে। যখন আমরা টাটা ফুটবল একাডেমিতে ছিলাম তখন আমরা এই টুর্নামেন্টটাকে পাখির চোখ করতাম ভারতীয় ফুটবলে নিজেদের চেনানোর জন্য। আমি, দীপক, মহেশ, রেনেডি সকলেই ডুরান্ড কাপ থেকেই উঠে এসেছি। ‌‌ আর এবারে ফুটবল মরশুম শুরু হচ্ছে ডুরান্ড কাপ দিয়ে। তাই জুনিয়র ফুটবলাররা এখানে নিজেদের জাত চেনাতে পারেন এবং আইএসএলে নিজেদের স্থান পাকা করতে পারেন।

আইএসএল

ISL 2024/25: প্লেঅফ খেলা নিয়ে এখনও আশাবাদী বিনো জর্জ

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ইতিমধ্যেই আইএসএলে টানা চার ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গল দলকে। কার্লেস কুয়াদ্রাতের চলে যাওয়ার পর দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ বিনো জর্জ। তার তত্ত্বাবধানে শনিবার জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ভালো ফুটবল খেলেও ২-০ গোলে ম্যাচ হারতে হয় লালহলুদ ফুটবলারদের। তারই মাঝে খেলার শেষে ইতিবাচক বার্তা দিলেন ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান কোচ বিনো জর্জ।

দলের টানা চতুর্থ ম্যাচে হারের পরেও বিনো জর্জ বলছেন, “আমার দলের প্রতি আমার পূর্ণ ভরসা রয়েছে। এবং আমি আশাবাদী দল ঘুরে দাঁড়াবেই”। এমনিতেই অজস্র গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছে তার দল। সাউল ক্রেস্পো পেনাল্টি মিস করেন। অপরদিকে ক্লেইটন সিলভা এবং রক্ষণের খেলোয়াড় হেক্টর ইউস্তের শট বাড়ে লাগায়, সেই গোল থেকেও বঞ্চিত হয় তাঁরা। ম্যাচের শুরুতেই রেই তাচিকাওয়ার দূরপাল্লা শটে এবং দ্বিতীয়ার্ধে লালচাংনুংগার আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে তাঁর দল। তবে তিনি মনে করছেন সুযোগের সদ্ব্যবহার না করতে পারাতেই ম্যাচ থেকে হেরে ফিরতে হয় তাদেরকে।

তিনি বলেন, “জামশেদপুর ভালো ফুটবল খেলেছে। তবে তাঁরা তাদের সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে। ম্যাচে তারা যেই দুটো সুযোগ পেয়েছে সেই দুটো থেকেই গোল তুলে নিতে পেরেছে তাঁরা। তবে আমরা আজকে যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলেছি। বলের উপরে দখলও আমাদের অন্য ম্যাচের তুলনায় এই ম্যাচে বেশি ছিল। তবে হ্যাঁ, পয়েন্টটা দরকার যেটা আমরা পাইনি আজকের ম্যাচে”। অপরদিকে তিনি আরও বলেছেন, “ভাগ্যও একটা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। পেনাল্টি মিস করা, গোলের বল বাড়ে লাগা তার পাশাপাশি জামশেদপুর গোলরক্ষকও কিছু দারুন সেভ করেন। তবে আমরা যদি পেনাল্টি থেকে গোল করে দিতে পারতাম তাহলে আমরা ম্যাচে ফিরে আসতে পারতাম”।

তিনি আরও বলেন, “বাকি তিনটে ম্যাচের তুলনায় আমরা যথেষ্ট ভালো ফুটবল খেলেছি এবং আমি ১০০% আশাবাদী যে আমাদের দল এবারে প্রথম ছয়ে শেষ করবেই”। এছাড়াও কলকাতা লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতা জেসিন টিকে দলে থাকা সত্ত্বেও তাকে না খেলানো নিয়ে বিনো জর্জকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “জেসিনের এখন বয়স কম। আমাদের এটা বুঝতে হবে কলকাতা লীগ এবং আইএসএলের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। তাই ওকে আরও সময় দিতে হবে নিজেকে এই মঞ্চে খেলার উপযুক্ত করে তোলার জন্য। তাছাড়াও আমাদের দলে অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা রয়েছে যারা এই চাপের মুহূর্তে ম্যাচের রঙ পরিবর্তন করতে জানেন”।

Continue Reading

আইএসএল

ISL 2024/25: অজস্র গোল মিসের খেসারত দিতে হল ইস্টবেঙ্গলকে

Published

on

নিজস্ব প্রতিনিধি, জামশেদপুর: বিনো জর্জের তত্ত্বাবধানে ভাল ফুটবল খেললেও বহু প্রত্যাশিত পয়েন্ট থেকে আজও বঞ্চিত রইল ইস্টবেঙ্গল। অজস্র গোলের সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে ব্যর্থ হন ক্লেইটন-তালালরা। আর সেই মিসের খেসারতই দিতে হল তাদের। আইএসএলে টানা চার ম্যাচে হারের মুখ দেখল লাল-হলুদ ব্রিগেড। অপরদিকে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ২-০ গোলে ম্যাচ জিতল খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসি। এর ফলে লিগ টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এল রেড মাইনার্সরা।

এদিন ম্যাচের ১০ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন ইস্টবেঙ্গলের মাঝ মাঠের ফুটবলার মাদিহ তালাল। প্রভাত লাকড়ার বাড়ান বল অল্পের জন্য বার ঘেষে চলে যায় বাইরে। তার পরেও মুহুর্মুহু আক্রমণ চালায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ১৫ মিনিটে জর্ডান মারের নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক দেবজিত মজুমদার। ম্যাচের শুরু থেকেই বলের উপর আধিপত্য রেখেই ফুটবল খেলছিল গোটা ইস্টবেঙ্গল দল। কিন্তু ম্যাচের গতির বিপরীতে গিয়েই ২০ মিনিটে, বক্সের বাইরের দূরপাল্লা শটে বল জালে জড়িয়ে দেন রেই তাচিকাওয়া। ম্যাচের ৩১ মিনিটে সহজ একটা সুযোগ বার উঁচিয়ে বাইরে মেরে বসেন ক্লেইটন সিলভা। আবারও ৩৫ মিনিটে সহজ গোল মিস করেন সেই ক্লেইটন সিলভা। ৪৪ মিনিটে গোল রক্ষককে একা পেয়ে গিয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন নন্দকুমার সেকার। অজস্র গোল মিসের কারণে প্রথমার্ধ শেষে ০-১ গোলে পিছিয়ে থাকে লাল-হলুদ ব্রিগেড।

আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধের খেলা। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে প্রায় গোলমুখ খুলে ফেলেছিল জামশেদপুর। ইমরানের ভাসানো ক্রস সরাসরি গিয়ে লাগে পোস্টে। ৬৩ মিনিটে বক্সের ভেতরে পেনাল্টি আদায় করে নেন ক্লেইটন সিলভা। কিন্তু পেনাল্টি মিস করেন সউল ক্রেস্পো। ৬৫ মিনিটে ক্লেইটনের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। কোনভাবেই গোলমুখ খুলতে পারছিলেণ না লাল-হলুদ ফুটবলাররা। তারই মধ্যে ম্যাচের ৭০ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে বসেন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার লালচুংনুঙ্গা। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় জামশেদপুর এফসি। তার পরেও বেশ কয়েকটা সুযোগ হাতছাড়া করে ইস্টবেঙ্গল। মাদিহ তালালের একটি দুরন্ত শট সেভ করেন জামশেদপুর গোলরক্ষক অ্যালবিনো গোমজ। তারপরে ইস্টবেঙ্গলের পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে আসা পিভি বিষ্ণু এবং আমান সিকেও অনেক চেষ্টা করেও গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ হন। অবশেষে ০-২ গোলে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় বিনো জর্জের দলকে।

Continue Reading

আইএসএল

ISL 2024/25: নিজের দল নিয়ে আশাবাদী বিনো

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ইতিমধ্যেই কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন লাল-হলুদের হেড স্যার কার্লেস কুয়াদ্রাত। তার পরিবর্তে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বিনো জর্জ। তার তত্ত্বাবধানেই শনিবার জেআরডি টাটা স্পোর্ট কমপ্লেক্সে, শক্তিশালি জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল।

বিনো জর্জের তত্ত্বাবধানেই কলকাতায় তিনদিন অনুশীলন করে জামশেদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল দল। শক্তিশালী জামশেদপুরের বিরুদ্ধে পয়েন্ট পেতে মরিয়া বিনো। ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, “দলের ফুটবলারদের ওপর আমার সম্পুর্ণ ভরসা আছে। তাঁরা যথেষ্ট ভাল মানের ফুটবলার। এটা ঠিক যে গত তিনটি ম্যাচে আমরা ভাল ফল করতে পারিনি। তবে আমি জানি আমার ছেলেরা ঘুরে দাঁড়াতে জানে এবং তারা সেটা করবেও। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, একটা ম্যাচ জিতলেই ইস্টবেঙ্গল আবারও ছন্দে ফিরবে। আমাদের কাজ হল দলের ফুটবলারদের উজ্জীবিত করা এবং ওদের থেকে সেরাটা বের করে আনা”।

টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পরেও বিনো মনে করেন এই লিগে এখনও অনেকটা পথ যাওয়া বাকি রয়েছে। তিনি বলেছেন, “আইএসএল একটা লম্বা লিগ। এখনও ২১টা ম্যাচ বাকি রয়েছে আমাদের। আমরা এই বছর একটা ভাল দল তৈরি করেছি এবং ফুটবলাররাও নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি করছে। আমরা আশা করি, জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ভালো ফুটবল খেলব এবং ম্যাচটা জিতব।” তার পাশাপাশি সমর্থকদেরও দলের পাশে থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন বিনো। তিনি বলছেন, “সমর্থকেরা সবসময়েই আমাদের পাশে থেকেছেন। তার জন্য সমর্থকদের অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে সমর্থকদের বলব জামশেদপুরে এসে মাঠ ভরাতে। আমরা আমাদের একশো শতাংশ দেব”। এবারে দেখার জামশেদপুর থেকে পুরো তিন পয়েন্ট নিয়ে কলকাতায় ফিরতে পারে কিনা সউল ক্রেসপো, মাদিহ তালাল, ক্লেইটন সিলভারা।

Continue Reading

Trending