ফুটবল
মোহনবাগান দিবসে রাজকীয় অভ্যর্থনা ম্যাকলারেনদের
রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: ফুটবলের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির বহু আবেগ এবং ইতিহাস। আর সেই ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলার শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব মোহনবাগানের নাম। ২৯ জুলাই, মোহনবাগান দিবসের বিশেষ দিনকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছিল মোহনবাগান ক্লাব তাঁবু। প্রত্যেক বছরের মত এই বছরেও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হল ঐতিহাসিক মোহনবাগান দিবস। এবারের উৎসবের বিশেষ সংযোজন ছিল মোহনবাগান লেন থেকে মোহনবাগান ক্লাব পর্যন্ত অমরজ্যোতি নিয়ে পদযাত্রা। অমর একাদশকে শ্রদ্ধা জানাতে ক্লাব প্রাঙ্গনে প্রজ্জ্বলিত হল অমরজ্যোতি।
ঐতিহাসিক মোহনবাগান দিবসের সকালেই অনুশীলনে নেমে পড়লেন জেমি ম্যাকলারেন, জেসন কামিন্সরা। রবিবার শহরে এসেছেন কোচ মোলিনা সহ মোহনবাগানের অধিকাংশ ফুটবলার। দীর্ঘ বিমানযাত্রার ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে মোহনবাগান দিবসের সকালে সমর্থকদের সঙ্গে আবেগে ভাসলেন বাগান ফুটবলাররা। পুষ্পবৃষ্টি, স্মোক বোম্ব আর সমর্থকদের গগনভেদী স্লোগানের মধ্যে দিয়ে মাঠে নামলেন জেমি ম্যাকলারেনরা। প্রথম দিনের অনুশীলনে রাজকীয় অভ্যর্থনা পেলেন অজি তারকা বিশ্বকাপার। প্রথম দিনেই প্রায় দেড় ঘন্টার কাছাকাছি অনুশীলন করলেন বাগান ফুটবলাররা। মূলত শারীরিক অনুশীলনের উপরেই জোর দিলেন বাগান কোচ হোসে মোলিনা।
পাশাপাশি এদিন ছিল জেমি ম্যাকলারেনের জন্মদিন। অনুশীলন শেষে মাঠেই সতীর্থদের সঙ্গে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করলেন তিনি। অনুশীলন শেষে বলে গেলেন “এই জন্মদিন পালন আমার কাছে স্বপ্নের মতো।” অনুশীলন শেষে হাসিমুখে সমর্থকদের সেলফি আবদার মেটালেন কামিন্স-শুভাশিষরা। গত মরশুমের অধিনায়ক শুভাশিস বোসকে ঘিরে স্লোগান উঠল “ক্যাপ্টেন-ক্যাপ্টেন”। আপুইয়া থেকে মনবীর, জেমি ম্যাকলারেন থেকে টম অলড্রেড, সকলেই সমর্থকদের ভালোবাসা গায়ে মেখে মাঠ ছাড়লেন।
এদিন সন্ধ্যায় মোহনবাগান ক্লাবের পক্ষ থেকে মোহনবাগান রত্ন তুলে দেওয়া হল ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর হাতে। মোহনবাগান রত্ন পেয়ে গর্বিত সৌরভ বললেন “মোহনবাগান এমন একটা ক্লাব, যেখানে কোনদিন মোহনবাগান রত্ন দেওয়ার মানুষের অভাব হবে না।” অন্যদিকে, মোহনবাগান ক্লাবের পক্ষ থেকে বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হলেন দিমিত্রি পেত্রাতস, বর্ষসেরা ফরোয়ার্ডের পুরষ্কার পেলেন মনবীর এবং সেরা উদীয়মান ফুটবলার সুহেল বাট।
ফুটবল
ন্যাশনাল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জিতল অসম
রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: এবারের সাব জুনিয়র ন্যাশনাল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজিত হয়েছিল অসমে। ফাইনালে ১১-০ গোলে হরিয়ানাকে হারালো অসম। প্রথমার্ধেই ৭-০ গোলে এগিয়ে ছিল তারা। দ্বিতীয়ার্ধে আসে আরও চারটি গোল।
ম্যাচের শুরু থেকেই অসম্ভব আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল অসম। ফলে ম্যাচের ৬ মিনিটেই তমাশ ডাইমারীর গোলে এগিয়ে যায় তারা। দলের অধিনায়ক তন্ময় বরুয়া ১২ মিনিটে আরেকটি গোল করেন। চার মিনিট বাদে আবার গোল করেন অরূপ কর্মকার। ম্যাচের ১৯ এবং ২১ মিনিটে ফের গোল তুলে আনেন তমাশ। আবার ২৫ মিনিটে গোল করেন তন্ময় এবং ৩১ মিনিটে গোল করেন অরূপ। এর ফলে প্রথমার্ধেই ৭-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে সাজঘরে ফেরে অসম।
দ্বিতীয়ার্ধেও তমাশ তার অনবদ্য খেলা চালিয়ে যান এবং ম্যাচের ৫৪, ৫৯ এবং ৭৮ মিনিটে আরও তিনটি গোল করেন। অবশেষে পরিবর্ত খেলোয়াড় হয়ে আসা নিভির প্রতিম বর্গোহাইন ৬২ মিনিটে গোল করে ব্যবধান ১১-০ করে ফেলেন। ফলে খুব সহজেই হরিয়ানাকে হারিয়ে সাব জুনিয়র ন্যাশনাল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ নিজেদের ঘরেই রাখতে পারল অসম।
আন্তর্জাতিক ফুটবল
UCL: দশ জনের বার্সেলোনাকে হারাল মোনাকো
রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: যেখানে লামিন ইয়ামাল গোল করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসের দ্বিতীয় কম বয়সী গোলদাতা হলেন, সেখানেই খেলার ১০ মিনিটে ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়ার লাল কার্ড দেখায় তাদের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ থেকে পয়েন্ট নষ্ট করল বার্সেলোনা।
প্রথম থেকেই ভালো ফুটবল খেলা শুরু করেছিল বার্সেলোনা। কিন্তু ম্যাচের ১০ মিনিটে গোলরক্ষক টারস্টেগানের ভুলের জন্য, মোনাকোর খেলোয়াড়কে ফাউল করে বসেন এরিক গার্সিয়া। সেই কারণের জন্য প্রথমে রেফারি হলুদ কার্ড দেখালেও, পড়ে সেটিকে পরিবর্তন করে লাল কার্ড দেখান এরিককে। তার পর থেকে দশ জনে খেলতে হয় বার্সেলোনাকে। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে মোনাকো। খেলার ১৬ মিনিটেই আকলিয়াচের বক্সের ভেতর বাঁ পায়ের শটে ১-০ গোলে এগিয়ে যান তারা। তারপর থেকে ডিফেন্সকে সজাগ রেখে আক্রমণে উঠে আসতে থাকে বার্সা। খেলার ২৮ মিনিটে গোল করে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসের দ্বিতীয় সবচেয়ে কমবয়সী গোলদাতা হলেন লামিন ইয়ামাল। প্রথমার্ধে ১-১ ফলাফল নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই মোনাকো ক্রমাগত বার্সা ডিফেন্সের উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে প্রায় গোলের মুখ খুলে ফেলেছিল মোনাকো। কিন্তু অনবদ্য দক্ষতায় সেই গোল বাঁচিয়ে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টারস্টেগান। ৭১ মিনিটে খেলার বিপরীতে গিয়ে গোল তুলে নেয় মোনাকো। পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসেবে আসা লেনিখেনার জোড়ালো শটে গোল পেয়ে ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে যায় এএস মোনাকো।
আইএসএল
ISL 2024/25: জোড়া গোলে জয়ের পাশাপাশি নতুন রেকর্ড সুনীলের
রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: সম্পূর্ণ ভারতীয় স্কোয়াড নিয়ে বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠে এই মরশুমের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল হায়দ্রাবাদ এফসি। যদিও তারা পরাস্ত করতে পারেনি সুনীল ছেত্রীর দলকে। প্রথম থেকেই হায়দ্রাবাদ যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল। তবে কাজের কাজ তারা করতে পারছিলনা। বেঙ্গালুরু ৩-০ গোলে হারায় নিজামসদের। অপরদিকে মাঠে নেমেই জোড়া গোল করে নতুন রেকর্ড তৈরি করলেন সুনীল ছেত্রী। ওগবেচেকে ছাপিয়ে গিয়ে আইএসএলের সর্বোচ্চ গোলদাতার নজিরটি গড়লেন তিনি।
ম্যাচ শুরুর চার মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু এফসি। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলকে ডান পায়ের শটে জালে জড়িয়ে দেন দলের অধিনায়ক রাহুল ভেকে। ৭ মিনিটের মাথায় সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে হায়দ্রাবাদ এফসি। দেবেন্দ্র মুরগাওকারের শট বার উঁচিয়ে চলে যায়। তার পরেও আক্রমণের ধার কমায়নি নিজামসরা। কিন্তু প্রথমার্ধে গোলশূন্য ফলাফলেই সাজঘরে ফেরে দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই জোড়া গোল করেন সুনীল ছেত্রী। ৫৫ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলটি করেন পেনাল্টি থেকে। দ্বিতীয় গোলটি ম্যাচের ৯০ মিনিটের মাথায় এডগার মেন্দেজের ভেসে আসা ক্রস থেকে হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন ছেত্রী। এরই পাশাপাশি আইএসএলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়ে গেলেন সুনীল ছেত্রী। ঘরের মাঠে দ্বিতীয় জয় পেয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে এখন বেঙ্গালুরু এফসি। তারা চাইবে এই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে।
-
আইএসএল9 months ago
বড় ধাক্কা কেরালা ব্লাস্টার্সের
-
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট12 months ago
ICC CWC 2023: বিশ্বকাপে যুগ্ম দ্রুততম ১০০০ রোহিতের, ভাঙলেন ছয়ের রেকর্ড…
-
ফুটবল11 months ago
এএফসি কাপ আয়োজনের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে
-
ফুটবল9 months ago
এশিয়ান কাপের সম্ভাব্য দল ঘোষণা করল ভারত
-
ফুটবল1 year ago
কলকাতায় প্রাক মরশুম প্রস্তুতি শুরু করল ইন্টার কাশি
-
ইস্টবেঙ্গল1 year ago
দলে আমূল পরিবর্তন, তবুও সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচেই হার ইস্টবেঙ্গলের
-
ফুটবল10 months ago
ঘরের মাঠে অসহায় আত্মসমর্পণ, এএফসি কাপে স্বপ্নভঙ্গ মোহনবাগানের
-
ফুটবল1 year ago
ফিফা বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে ভারতের প্রথম দুটি হোম ম্যাচে আয়োজনের দায়িত্ব পেল ভুবনেশ্বর এবং গুয়াহাটি