Connect with us

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

অধিনায়কসহ গোটা অস্ট্রেলিয়া দলকে তুলোধোনা করলেন গ্রেগ চ্যাপেল

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম দুটি টেস্টেই হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। আর তার জেরেই এবার গোটা অস্ট্রেলিয়া দলকে তুলোধোনা করলেন গ্রেগ চ্যাপেল।

বরাবরই স্পষ্ট কথা বলতে পছন্দ করেন গ্রেগ চ্যাপেল। আর এবারেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সরাসরি গোটা দলের পরিকল্পনার অভাবকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার। “আমার মনে হয় প্রথম বলটা করার অনেক আগেই অস্ট্রেলিয়া দল নিজেই নিজেকে থাপ্পড় মেরেছে। পরিকল্পনা করা এক জিনিস আর সেই পরিকল্পনাকে লাভ নেই জেনেও বাস্তবে রূপ দিতে চাওয়া একটা ব্যর্থ প্রচেষ্টা মাত্র। সিরিজ জেতার জন্য অস্ট্রেলিয়ার উচিত ছিল নিজেদের শক্তিশালী দিকগুলোর ওপর জোর দেওয়া। স্পিন বোলিং কখনোই আমাদের শক্তিশালী দিকের মধ্যে পড়ে না। ভারতে জেতার জন্য শুধুমাত্র রাখতে হবে বলেই দলে কতগুলো স্পিনার রাখা মোটেই কাজের কথা নয়” বলেন চ্যাপেল।

তিনি আরো বলেন, “আমাদের উচিত ছিল নিজেদের বোলারদের ওপর ভরসা রাখা এবং ব্যাটিংটাকে আরো গুছিয়ে নেওয়া। আর তারজন্য আমাদের দলের সেরা বোলারদের নিলেই কাজটা অনেক সহজ হত।” অধিনায়ক প্যাট কামিন্সেরও কঠোর সমালোচনা করেছেন চ্যাপেল। “গোটা দুটো ম্যাচেই শর্ট বলকে ব্যবহার করতে পারেনি কামিন্স। বারবার আন্ডার বোলিং করেছে। যেখানে বাউন্সের উইকেট ছিল সেখানে এই কাজটা করা একটা বড় ভুল। আর অদ্ভুতভাবে দলের কেউ সেটা ওকে বলার প্রয়োজন বোধ করেনি। অন্যদিকে স্পিনিং কন্ডিশন মাথায় রেখে খেলা বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু এর পাশাপাশি মনে রাখতে হবে যে অন্যান্য বলেও রান করার সুযোগ থাকে। এবং অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় সেগুলোয় ঝুঁকিও কম। কিন্তু ব্যাটাররা এই কথাটা প্রায় ভুলতেই বসেছে। ভারতে খেলার সময় সবথেকে বড় সুবিধে হল অনেকটা বেশি সময় পাওয়া যায়। প্রথম কয়েকটা ওভার যদি কাটিয়ে দেওয়া যায় এবং স্ট্রাইক পরিবর্তন করা যায় নিয়ম করে তাহলেই চ্যালেঞ্জ অনেকটা কমে আসে। এটাই গোটা দলের প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল।”

এখান থেকে অস্ট্রেলিয়াকে ঘুরে দাঁড়াতে গেলে অবশ্যই দলে পরিবর্তন আনতে হবে বলে মনে করছেন চ্যাপেল। তার বিশ্বাস এখনও সময় আছে দলে বেস্ট বোলারদের নিতে হবে। কাজটা সহজ হবে না ঠিকই, তবে পরিকল্পনামাফিক চললে খুব একটা শক্ত হবে না বলে আশা করেন তিনি। আর এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট অনুরাগীদের মধ্যে যে ক্ষোভ, হতাশা এবং অস্বস্তি টানা বাঁধবে সেটাই স্বাভাবিক বলে মনে করেন চ্যাপেল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

বড় শাস্তির মুখে বাংলাদেশ

Published

on

রে স্পোর্টস নিউজ ডেস্ক: চলতি টেস্টে ভারতকে একরকম কোণঠাসা করে দারুন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। চেন্নাইয়ে রোহিত শর্মাদের মুখোমুখি হয়ে শুরুতেই ভারতের তিন উইকেট তুলে নেয় মেহেদী হাসানরা। মাত্র ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ভারত বেশ চাপে পড়ে যায়। তবে ভারতের পাশাপাশি প্রথম দিনের শেষে বাংলাদেশের কপালেও পড়ে চিন্তার ভাঁজ। শুধুমাত্র অশ্বিন জাদেজার বিধ্বংসী ব্যাটিংই নয়, আরো একটি বড় ধাক্কা খেল বাংলাদেশ শিবির। ম্যাচের নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য খুব সম্ভবত আইসিসির কাছে জরিমানা হতে চলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের।

সূত্রের খবর এদিন টার্গেটের থেকে দশ ওভার কম বল করেছে বাংলাদেশ। মোট আধ ঘণ্টা সময় বেশি পাওয়ার পরেও ওভার সংখ্যা কম হওয়া আইসিসির চোখে একটি গুরুতর অপরাধ। গত মাসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলতে নেমেও এই একই ভুল করেছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তান টেস্টে তিন ওভার কম বল করার জন্য ইতিমধ্যেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ তালিকার সংগৃহীত পয়েন্ট থেকে ৩ পয়েন্ট কাটা গেছে তাদের। এছাড়াও ম্যাচ ফের ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ফের এই একই ভুল করল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে মাত্র ৮০ ওভার বল করেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। প্রথম সেশানে ২৩ ওভার, এরপর যথাক্রমে ২৫ এবং ৩২ ওভার বল করে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। আইসিসির বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ১৬.১১.২ ধারা অনুযায়ী, রাউন্ড স্টেজের খেলায় কোন দলের পেনাল্টি ওভারের খেসারত স্বরূপ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ তালিকায় প্রাপ্ত পয়েন্ট থেকে এক নম্বর করে কাটা হবে।

প্রসঙ্গত ভারত বনাম বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট শুরুর দিনে বাংলাদেশের এই ভুল নিঃসন্দেহে তাদেরকে অনেকটাই ব্যাকফুটে নিয়ে যাবে। ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলে এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয়টি সবার সামনে তুলে ধরেন। ‘প্রথম দিনে আধ ঘন্টা সময় অতিরিক্ত যোগ হওয়ার পরেও বাংলাদেশের মাত্র ৮০ ওভার বল করা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না’ লেখেন তিনি। এখন দেখার আইসিসির পক্ষ থেকে কী শাস্তি দেওয়া হয় বাংলাদেশের ক্রিকেট দলকে।

Continue Reading

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

“অপ্রয়োজনীয় ইনিংস”; রাহুলকে নিয়ে বিস্ফোরক মঞ্জরেকার

Published

on

রে স্পোর্টস নিউজ ডেস্ক: জাতীয় দলের কোচ হয়ে আসার পর নিজের প্রথম একাদশে কে এল রাহুলকে মিডিল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। চেন্নাইয়ের চিদম্বরম স্টেডিয়ামে ভারত বনাম বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট ম্যাচে তার এই সিদ্ধান্তকে বেশ কিছুটা প্রশ্নের মুখোমুখি ফেলে দিলেন কে এল রাহুল নিজেই। প্রথম ইনিংসে রাহুলের হতাশা জনক পারফর্মেন্স এর কারনে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সমালোচনা।

প্রসঙ্গত ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার ফলে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন ঋষভ পন্থ। তার অনুপস্থিতিতে পরিবর্ত হিসেবে দলে জায়গা পেয়েছিলেন কে এল রাহুল। বাংলাদেশ টেস্টে পন্থ দলে ফিরে এলেও রাহুলকে মিডিল ওর্ডারে রেখেছিলেন কোচ গম্ভীর। কিন্তু প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে তার পারফরমেন্স একেবারেই আশানুরূপ ছিল না। মাত্র ৩৪ রানের তিন উইকেট খুইয়ে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল ভারত। রোহিত শর্মা বিরাট কোহলির পাশাপাশি এদিন ব্যর্থ হন কে এল রাহুলও। ক্যারিয়ারের ৫১তম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমে তার অবদান মাত্র ১৬। স্পিনার মেহেদী হাসানের বলে এদিন প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরেন রাহুল। আর তারপরেই তাকে নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন সঞ্জয় মঞ্জরেকার। “অপ্রয়োজনীয় ইনিংস” আখ্যা দিয়ে মঞ্জরেকার বলেন, “এটা রাহুলের প্রত্যেকবারের গল্প। হ্যাঁ টেস্টে ওর বেশ কিছু দুরন্ত ইনিংস রয়েছে, তবে আজকের খেলা দেখলে মনে হবে এই ইনিংসটা অত্যন্ত অপ্রয়োজনীয়। ওকে আজকে মাঠের দিশেহারা লাগছিল। আর এই একই সমস্যা ওর সাথে বিগত ৫০ টা ম্যাচ ধরেই হয়ে আসছে। ওর ইনিংসগুলোর দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাব এক আধটা নয় বেশ কয়েকটা সেঞ্চুরি রয়েছে। তারপরেও টেস্ট ক্রিকেটে ওর গড় মাত্র ৩৪। আর এটা ওর এক রকম অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সেটা যত তাড়াতাড়ি ও পাল্টে ফেলতে পারবে ততই ওর পক্ষে ভালো।” যদিও নিজের ক্রিকেট জীবনের স্মৃতিচারণ করে তিনি আরো বলেন যে এই ঘটনা বোধহয় প্রত্যেক ক্রিকেটারের জীবনেই ঘটে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাহুলকে এটা কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে হবে।

প্রসঙ্গত এদিন কে এল রাহুলের আউট হওয়ার পর ভারতের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ১৪৪। এরকম চাপের পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন রবিচন্দন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজা। অশ্বিনের সেঞ্চুরির পাশাপাশি জাদেজার অপরাজিত ৮৬ রানের ইনিংস সম্মান বাঁচায় ভারতের।

Continue Reading

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

IND vs BAN: অশ্বিন-জাদেজার পার্টনারশিপে প্রথম দিনের শেষে ভাল জায়গায় ভারত…

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: আজ থেকে শুরু হয়েছে ভারত বনাম বাংলাদেশের টেস্ট। চেন্নাইতে মেঘলা আবহাওয়ায় প্রথম ব্যাট করতে নামে ভারত। দীনেশ কার্তিক ম্যাচ শুরুর প্রথমে বলেন, “ওয়েদারটা অনেকটা লন্ডনের মত। তবে এখানে জোরে বোলারদের আধিপত্য বেশি থাকবে।” প্রথম দিনের খেলা শেষে আশ্বিন এবং জাদেজার অপরাজিত ১৯৫ রানের জুটিতে ৬ উইকেটে স্কোর ৩৩৯ রান ভারতের।

যদিও সকালের দিকে ভারতের ব্যাটিং খুব একটা ভাল হয়নি। বাংলাদেশের বোলার হাসান মাহমুদ ভারতের টপ অর্ডারকে প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই সাজঘরে ফিরিয়ে দেন। পরে যদিও ঋষভ পন্থ ও যশস্বীর মধ্যে একটা অর্ধ শতরানের জুটি হয়। কিন্তু সেটাও ভেঙে দেন হাসান। অপরদিকে ওপেনার যশস্বীকে ৫৬ রানে আউট করে দেন নাহিদ রানা। কেএল রাহুল আউট হয়ে যাওয়ার পর ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৪৪।

বাংলাদেশ ভেবেছিল ভারতকে ২০০ রানের মধ্যেই অলআউট করে দেবে, কিন্তু জাদেজা এবং অশ্বিন তাঁদের আশাকে চুরমার করে দিয়েছিলেন। তাদের অপরাজিত ১৯৫ রানের জুটি, যা সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি। অপরদিকে অশ্বিন, এই ফরম্যাটে তাঁর কেরিয়ায়ের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি করেন এদিন। এই সেঞ্চুরিটি অশ্বিনের ঘরের মাঠে দ্বিতীয় এবং কেরিয়ারের দ্রুততম সেঞ্চুরি। এবং জাদেজাও তাঁর শতরানের কাছাকাছি পৌঁছে যান। ভারত ৬ উইকেটে ৩৩৯ রানে প্রথম দিন শেষ করে। এবারে দেখার দ্বিতীয় দিনে খেলতে নেমে বোর্ডে আরও কত রান যোগ করতে পারেন জাদেজা ও অশ্বিনরা!

Continue Reading

Trending