Uncategorized
ফলাফল বদলাতে চান কুয়াদ্রাত
রে স্পোটজ নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই মহারণ। দীর্ঘ ৯ বছর পরে ফের একবার এএফসির কোনও প্রতিযোগিতায় নামতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এই ম্যাচে নামার আগে একেবারেই প্রতিশোধের কথা ভাবছেন না ইস্টবেঙ্গল হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। ২০১৮ সালে তিনি যখন বেঙ্গালুরু এফসির হেড কোচ ছিলেন, তখন এই আল্টিন আসিরের বিরুদ্ধেই এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে হেরেছিল বেঙ্গালুরু।
এই ম্যাচটা কি তাহলে প্রতিশোধের? উত্তরে হাসি মুখে লাল-হলুদ হেড কোচ বললেন,”আমি একেবারেই প্রতিশোধের কথা ভাবছি না। এখানে আসার আগেই আমার ওদের কোচের সঙ্গে দেখা হল। ওরা প্রায় প্রতিটা এএফসি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। শেষবার ওদের বিরুদ্ধে আমার দল বড় ব্যবধানে হেরেছিল। তবে এবারে আমি সেই ফলাফল বদলাতে চাই।”
তাঁর দলে বেশ কয়েকজন বিদেশি ফুটবলার থাকলেও, প্রতিপক্ষের স্কোয়াডে একজন বিদেশি ফুটবলারও নেই। এতে তাঁর দলের বাড়তি কোনও সুবিধা হবে কিনা, প্রশ্নের উত্তরে কুয়াদ্রাত বলেন, “বিদেশি ফুটবলার দলে থাকলে তা সব সময় দলকে সাহায্য করে। বর্তমান সময়ে সব দলই, একটা সেরা স্কোয়াড তৈরির চেষ্টা করে। আমরাও একটা ভালো স্কোয়াড তৈরির চেষ্টা করছি।”
দুটি প্রতিযোগিতা একসাথে খেলার কারণে, এএফসি কাপ এবং ডুরান্ড ডার্বি মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে খেলতে হবে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। যদিও কার্লেস এই ব্যাপারে চিন্তিত নন। তিনি বলেন, “এএফসি কাপ এবং ডার্বি পরপর হওয়ায় আমরা একেবারেই চিন্তিত নই। আমাদের এইরকম ম্যাচ খেলার জন্যই প্রস্তুতি নিতে হয়। আমার দলের ফুটবলাররা প্রত্যেকেই তৈরি। তবে বর্তমানে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য এএফসি কাপের ম্যাচে ভালো ফলাফল করা। তারপরে আমরা ডার্বি নিয়ে ভাবব।”
ইস্টবেঙ্গলে মরশুমের শুরু থেকেই চোট আঘাত লেগেই রয়েছে। যদিও বুধবারের ম্যাচের জন্য তাঁর স্কোয়াড যে পুরোপুরি তৈরি তা জানিয়ে দিলেন কুয়াদ্রাত। “জিকসন সহ সব ফুটবলাররাই স্কোয়াডে থাকবে। নিশু কুমার ছাড়া সকলেই এই ম্যাচের জন্য প্রস্তুত। তবে আমাদের দলের সব ফুটবলাররা ৯০ মিনিট খেলার জন্য প্রস্তুত নয়। সেই ফুটবলারদের প্রয়োজন মতো আমি ব্যবহার করব।”
পাশাপাশি সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের দলকে আন্ডারডগ বলে গেলেন লাল-হলুদ হেড কোচ। “আল্টিন এই দলটা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে রেখেছে। শুধু তাই নয় ওরা পরপর এএফসি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণও করেছে। তাই আমি মনে করি এই ম্যাচে আমরা আন্ডারডগ হয়েই নামব।”