Connect with us

আন্তর্জাতিক ফুটবল

UCL: ফের একবার লিভারপুলের স্বপ্ন ভঙ্গ করে রেকর্ড ১৪তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল রিয়াল মাদ্রিদ…

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: লিভারপুলের তারকা ফরোয়ার্ড মহাম্মদ সালাহ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনাল জেতার পরে বলেছিলেন যে ফাইনাল
তিনি প্রতিপক্ষ হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদকে চান এবং তাদের তিনি হারাতে চান। আর তার এই প্রতিশোধ স্পৃহার প্রধান কারণ ছিল ২০১৮ সালের ইউসিএল ফাইনাল রিয়ালের কাছে হেরে গিয়েছিল লিভারপুল। শনিবার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ কে
সামনে পেয়েও ভারতে পারলেন না সালাহরা এবং ফের একবার স্বপ্নভঙ্গ হল প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা দলের। ফাইনালে দিন লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়ে দেয় রিয়াল মাদ্রিদ। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে শনিবার রাতে দাপট দেখিয়ে খেলেও গোলের দেখা পেলেন না সালাহ-মানেরা।

প্রসঙ্গত এদিন খেলার গতির বিরুদ্ধেই গোল করে দলকে এগিয়ে এনে দেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়াস জুনিয়র। এছাড়া দুর্দান্ত সব সেভ করে নায়ক হন গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়াও। তাতেই ১-০ গোলে জয় পেয়ে রেকর্ড ১৪তম ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন হল রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের পরিসংখ্যান দেখলে যে কারও চোখ কপালে উঠবে। লিভারপুলের আক্রমণের সামনে রীতিমত হাবুডুবু খাচ্ছিল রিয়াল। মোট ২৪টি শট নেয় লিভারপুল, যার ৯টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে মাত্র ৪ শটের দুটি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল রিয়াল। একটিতে তারা গোল করে, অন্য শটটিও জালে জড়িয়েছিল, তবে তা অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। এদিন মাঠ জুড়ে দাপিয়ে খেলে লিভারপুল আর সুযোগের সদ্ব্যবহার করে শেষ হাসি হাসে রিয়াল। কার্লো আনসেলোত্তির তুখোড় বুদ্ধির কাছে হার মানলেন য়ুর্গেন ক্লপ। অন্যদিকে এদিন সমর্থকদের মাঠে ঢুকতে দেরি হওয়ার কারণে ৩৬ মিনিট দেরিতে শুরু হয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল। প্যারিসে ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে লিভারপুলের আক্রমণের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি রিয়াল। তবে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন থিবো কর্তোয়া।

ম্যাচের ১৬ মিনিটের মাথায় মহম্মদ সালাহর ক্লোজ রেঞ্জ শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ফেরান রিয়াল গোলরক্ষক। ২১ মিনিটে সাদিও মানে তো গোল করেই দিচ্ছিলেন প্রায়, এবারও কর্তোয়ার কারণে বেঁচে যায় রিয়াল। তার হাত দিয়ে সরানো বল গিয়ে লাগে পোস্টে। ৪২ মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো থ্রু বল একদম এলিসনের সামনে পেয়ে গিয়েছিলেন বেঞ্জেমা। দুই তিনবার লিভারপুল গোলরক্ষককে কাটিয়ে শট নেওয়ার জায়গা পাননি, পড়ে যাওয়ার সময় আলতো করে বল ঠেলে দেন ভালভার্দের দিকে। ভালভার্দেও ঠিকমতো শট নিতে পারেননি, বল গড়িয়ে আবার চলে যায় বেঞ্জেমার পায়ে। এবার আর ভুল করেননি ফরাসি ফরোয়ার্ড, বল জড়িয়ে দেন জালে।

তবে অফসাইডের কারণে গোলটি পায়নি রিয়াল। ‘ভার’-এ সিদ্ধান্তটি নিতে অনেক সময় লেগেছে রেফারির। শেষ পর্যন্ত গোলটি বাতিল করেন তিনি। গোলশূন্য ড্র অবস্হায় বিরতিতে যায় দুই দল।দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধারা ধরে রাখে লিভারপুল। রিয়ালের ত্রাতা ছিলেন সেই কর্তোয়া। ৫৪ মিনিটে আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাতে বাইরে বের করে দেন রিয়াল গোলরক্ষক। এর কিছুক্ষণ পরেই খেলার গতির বিরুদ্ধে গোল তুলে নেয় রিয়াল। ৫৯ মিনিটে ভালভার্দের পাস বক্সের মাঝে বেঞ্জেমাকে টপকে যায় ভিনিসিয়াস জুনিয়রের পায়ে। আলতো ছোঁয়ায় সেটি জাল ঠেলে দেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ১-০তে এগিয়ে যায় রিয়াল।

গোল শোধে মরিয়া লিভারপুল আক্রমণের পর আক্রমণ করতে থাকে। ৬৪ মিনিটে সালাহর বাঁ পায়ের বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান কর্তোয়া। ৮২ মিনিটে বল পায়ে নিয়ে গিয়ে কর্তোয়াকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন মিসরীয় ফরোয়ার্ড।

এবারও অতিমানবীয় এক সেভ করেন রিয়াল গোলরক্ষক। সালাহর ডান পায়ের শট চোখের পলকে এক হাতে কোনোমতে বাইরে বের করে দেন কর্তোয়া। আরও একবার নিশ্চিত বিপদ থেকে বাঁচে রিয়াল।

শেষ পর্যন্ত আর গোল করতে পারেনি লিভারপুল। প্রতিশোধও নেওয়া হয়নি তাদের। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের একমাত্র গোলে রেকর্ড ১৪তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে নেয় রিয়াল।

আন্তর্জাতিক ফুটবল

UCL: দশ জনের বার্সেলোনাকে হারাল মোনাকো

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: যেখানে লামিন ইয়ামাল গোল করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসের দ্বিতীয় কম বয়সী গোলদাতা হলেন, সেখানেই খেলার ১০ মিনিটে ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়ার লাল কার্ড দেখায় তাদের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ থেকে পয়েন্ট নষ্ট করল বার্সেলোনা।

প্রথম থেকেই ভালো ফুটবল খেলা শুরু করেছিল বার্সেলোনা। কিন্তু ম্যাচের ১০ মিনিটে গোলরক্ষক টারস্টেগানের ভুলের জন্য, মোনাকোর খেলোয়াড়কে ফাউল করে বসেন এরিক গার্সিয়া। সেই কারণের জন্য প্রথমে রেফারি হলুদ কার্ড দেখালেও, পড়ে সেটিকে পরিবর্তন করে লাল কার্ড দেখান এরিককে। তার পর থেকে দশ জনে খেলতে হয় বার্সেলোনাকে। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে মোনাকো। খেলার ১৬ মিনিটেই আকলিয়াচের বক্সের ভেতর বাঁ পায়ের শটে ১-০ গোলে এগিয়ে যান তারা। তারপর থেকে ডিফেন্সকে সজাগ রেখে আক্রমণে উঠে আসতে থাকে বার্সা। খেলার ২৮ মিনিটে গোল করে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসের দ্বিতীয় সবচেয়ে কমবয়সী গোলদাতা হলেন লামিন ইয়ামাল। প্রথমার্ধে ১-১ ফলাফল নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই মোনাকো ক্রমাগত বার্সা ডিফেন্সের উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে প্রায় গোলের মুখ খুলে ফেলেছিল মোনাকো। কিন্তু অনবদ্য দক্ষতায় সেই গোল বাঁচিয়ে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টারস্টেগান। ৭১ মিনিটে খেলার বিপরীতে গিয়ে গোল তুলে নেয় মোনাকো। পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসেবে আসা লেনিখেনার জোড়ালো শটে গোল পেয়ে ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে যায় এএস মোনাকো।

Continue Reading

আন্তর্জাতিক ফুটবল

UCL: ড্র করল ম্যানচেস্টার সিটি, জিতল পিএসজি ও ডর্টমুন্ড

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: গতবছর এই ইন্টার মিলানকে হারিয়েছিল পেপ গুয়ার্দিওলার দল ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু বুধবার রাতে ইউসিএলের গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে ঘরের মাঠে আটকে যায় ইন্টারের কাছে। ০-০ গোলে ড্র হয় ম্যাচ। গোল করতে ব্যার্থ হন আর্লিং হালান্ড। অপরদিকে জয় দিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিযান শুরু করল পিএসজি এবং ডর্টমুন্ড।

প্রথমার্ধ থেকে বেশ অস্বস্তিতে মনে হচ্ছিল মাঝ মাঠের তারকা ফুটবলার কেভিন ডি ব্রুইনকে। দৌড়তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছিলেন না তিনি। মাঠের ভেতরেই তাঁর চিকিৎসা করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই আর বাড়তি চাপ নেননি পেপ। দ্বিতীয়ার্ধে ডি ব্রুইনকে আর মাঠে নামাননি তিনি। তাঁর জায়গায় নামেন ইলখাই গুন্ডোয়ান। ম্যাচের পর পেপ গুয়ার্দিওলাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, “ডি ব্রুইনের চোট কতটা গুরুতর সেটা এখনও তিনি জানেন না।” অপরদিকে অসংখ্য গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন হালান্ড এবং গুন্ডোয়ান। সেই জন্যই পুর ৩ পয়েন্ট তুলে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন গুয়ার্দিওলার দল। তাদের পরবর্তী খেলা পরের সপ্তাহে আর্সেনালের বিরুদ্ধে। ডি ব্রুইনের চোট ও অসংখ্য গোলের সুযোগ নষ্ট অবশ্যই চিন্তায় রাখবে কোচকে।

অপরদিকে জিরোনার গোলরক্ষক পাওলো গাজানিগার ভুলে ম্যাচ জিতল পিএসজি। ম্যাচের ফলাফল ১-০। নুনো মেন্ডেজের বাড়ান ক্রস তালুবন্দি করতে গিয়ে সেই বল ফসকে গাজানিগার পায়ের তলা থেকে গোলের ভেতর ঢুকে যায়। অন্যদিকে ক্লাব ব্রুজেকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ডর্টমুন্ড। বাইনো জিটেনসের জোড়া গোল এবং গুইরাসির করা গোলের সৌজন্যে ম্যাচ থেকে পুরও ৩ পয়েন্ট তুলে নেয় নুরি সাহিনের দল।

Continue Reading

আন্তর্জাতিক ফুটবল

UCL: গোলের বন্যা বায়ার্নের, জয় পেল রিয়াল

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: জয় দিয়ে ইউসিএল অভিযান শুরু করল রিয়াল মাদ্রিদ এবং বায়ার্ন মিউনিখ। এমবাপে, এন্ড্রিক এবং রুডিগারের গোলে স্টুটগার্টকে হারাল রিয়াল। অপরদিকে প্রথম ম্যাচেই ডায়নামো জাগ্রেবকে ছারখার করে দিল বায়ার্ন মিউনিখ।

ঘরের মাঠে ডায়নামো জাগ্রেবকে একেবারে দুর্মুশ করে দিল বায়ার্ন মিউনিখ। ৯-২ গোলে বিরাট জয় দিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অভিযান শুরু করল বায়ার্ন। ম্যাচের প্রথম থেকেই ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে হ্যারি কেনরা। ম্যাচের ১৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোলটি করেন হ্যারি কেন। ৩৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন গুয়েরেইরো এবং ৩৮ মিনিটে গোল করেন অলিসে। প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বায়ার্ন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুটি গোল করে ম্যাচে ব্যবধান কমায় ডায়নামো জাগ্রেব। ৪৮ এবং ৫০ মিনিটে গোল করেন পেটকোভিচ ও ওগিওয়ারা। তার পর থেকে বায়ার্নকে আর ধরা সম্ভব হয়নি। আরও তিনটি গোল করেন হ্যারি কেন, এবং একাই এই ম্যাচে মোট চারটি গোল করেন তিনি। তার মধ্যে তিনটি গোল আসে পেনাল্টি থেকে। এছাড়াও একটি করে গোল করেন সানে এবং গোরেটজকাও। দুটি গোল করেন অলিসে। ইউসিএলের প্রথম ম্যাচে গোল সংখ্যা বাড়িয়ে রেখেই শুরু করলো ভিনসেন্ট কোম্পানির দল।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অপর ম্যাচে জয় পেল রিয়াল। রিয়াল জিতল ৩-১ গোলে। শুরুর থেকেই খেলায় আধিপত্য তুলনামূলক বেশিই থাকে রিয়ালের। আক্রমণ প্রতিআক্রমণেই চলতে থাকে খেলা, কিন্তু প্রথমার্ধে গোলশূন্য অবস্থাতেই সাজঘরে যায় দুটি দল। দ্বিতীয়ার্ধের একদম শুরুর দিকে ৪৬ মিনিটে ইউসিএলে রিয়ালের হয়ে প্রথম গোলটি করে ফেলেন কিলিয়ান এমবাপে। তারপর ৬৮ মিনিটে উন্ডাভের গোলে সমতায় ফেরে স্টুটগার্ট। জয়ের লক্ষ্যে আক্রমণের চাপ বাড়ায় রিয়াল। তার ফলস্বরূপ ৮৩ মিনিটে আন্তোনিও রুদিগারের গোলে আবারও ম্যাচে এগিয়ে যায় তারা। অবশেষে সংযোজিত সময়ে এন্ড্রিকের করা গোল থেকে জয় পায় রিয়াল মাদ্রিদ।

Continue Reading

Trending