ফুটবল

লিগের দ্বিতীয় ড্র। গোকুলাম কেরালার কাছে আটকে গেল মহামেডান স্পোর্টিং

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়ামে গোকুলাম কেরালার মুখোমুখি হয়েছিল মহামেডান স্পোর্টিং। সাত ম্যাচের মধ্যে ছয়টি ম্যাচে জিতে লিগ তালিকায় শীর্ষে থেকেই মাঠে নেমেছিল সাদা কালো ব্রিগেড। এডি, এলেক্সিসদের সামনে রেখে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেন চেরনিশভ। ম্যাচের আগে শেষ মুহূর্তের অনুশীলনে চোট পেয়ে ছিটকে যান ইরশাদ। তার জায়গায় দলে সুযোগ করে নেন সামাদ আলি। ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারে এন্ড টু এন্ড ফুটবলে দুই দলই গোলের খোঁজে ছিল। ২৯ মিনিটের মাথায় সবচেয়ে সহজ সুযোগ চলে এসেছিল মহামেডান স্পোর্টিংয়ের কাছে। বক্সের মধ্যে সুন্দর বল পেয়েও শট নিতে দেরি করে ফেলেন এলেক্সিস।

প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে ম্যাচের বয়স যখন ৪০ মিনিট এলেক্সিসের বাঁক খাওয়ানো কর্ণার বিপক্ষ গোলরক্ষককে পরাস্ত করে সরাসরি জালে জড়িয়ে যায়। এক গোলে আগুয়ান মহামেডান স্পোর্টিং আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। এগিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ চলে এসেছিল মহামেডান স্পোর্টিংয়ের কাছে। অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় এডির হেড। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় মহামেডান স্পোর্টিং। তবে পিছিয়ে থাকেনি গোকুলাম কেরালা। একের পর এক আক্রমণ তুলে আনে মহামেডান স্পোর্টিং রক্ষণে। ৫৩ মিনিটের মাথায় বক্সের সামান্য বাইরে ফ্রি কিক পায় গোকুলাম কেরালা। এডু বেডিয়ার শট গোলে থাকলে বিপদে পড়তে পারতেন মহামেডান স্পোর্টিংয়ের গোলরক্ষক পাদাম ছেত্রী। ৫৬ মিনিটের মাথায় আবারও সুযোগ চলে এসেছিল গোকুলাম কেরালার কাছে।

পরপর দুবার সমতায় ফেরার সুযোগ নষ্ট করে গোকুলাম কেরালার ফুটবলাররা। অবশেষে ৬৪ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান শ্রীকুট্টান। অনবদ্য শটে বিপক্ষ গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। ম্যাচে সমতা ফেরার দু’মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ চলে এসেছিল মহামেডান স্পোর্টিংয়ের কাছে। বক্সের মধ্যে একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতেও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন এডি। তবে ম্যাচে সমতায় ফেরার পর আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে গোকুলাম কেরালা। সাদা কালো ব্রিগেডের আত্মবিশ্বাসী রক্ষণে বারবার বাঁধা পায় গোকুলাম কেরালার আক্রমণ। ম্যাচের ভাগ্য বদলাতে ৭৭ মিনিটের মাথায় এডির পরিবর্তে মাঠে আসেন ডেভিড। ৮১ মিনিটের মাথায় আবারও সুযোগ চলে এসেছিল গোকুলাম কেরালার কাছে। দলের হয়ে অনিবার্য পতন রোধ করলেন গোলরক্ষক পাদাম ছেত্রী। রক্ষণের ভুলেই বল পেয়ে যান বিপক্ষ দলের ফুটবলার ফ্রান্সিস্কো বর্জেস। গোলের গন্ধ পেয়ে একেবারে দূরপাল্লার শট রেখেছিলেন তিনকাঠিতে। গোলরক্ষকের একক দক্ষতায় সে যাত্রায় রক্ষা পায় সাদা কালো ব্রিগেড।

পরিবর্ত হয়ে এসে কাজের কাজটাও করে ফেলেছিলেন ডেভিড। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের বাকি তখন প্রায় পাঁচ মিনিট। বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়ে বাম প্রান্ত থেকে গোল লক্ষ্য করে শট রাখেন। আবারও গোলের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় গোলরক্ষকের দস্তানা। দেভাংসের বিশ্বস্ত হাতে রক্ষা পায়ে গোকুলাম কেরালা। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে অমীমাংসিত ভাবেই ম্যাচ শেষ হয়। শেষ বাঁশি বাজার আগেও সুযোগ চলে এসেছিল গোকুলাম কেরালার কাছে। তবুও সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তারা। পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়ল দু’পক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version