ফুটবল
মোহনবাগানের বিজয়রথ থামাল বসুন্ধরা কিংস
রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: এএফসি কাপে প্রথম হারের মুখ দেখল জুয়ান ফেরান্দোর দল। শুধু তাই নয় টানা ১৩ ম্যাচ পর প্রথম পরাজয় স্বীকার করল মোহনবাগান। গ্রুপ শীর্ষে থাকা সবুজ মেরুন ব্রিগেডকে হারিয়ে শীর্ষ স্থানে চলে এল বসুন্ধরা কিংস। ম্যাচের শুরু থেকেই আনোয়ার আলির অভাব বোধ করছিল মোহনবাগান। দিমিত্রি পেত্রাতসকে বেঞ্চে রেখেই আজ দল সাজিয়েছিলেন জুয়ান ফেরান্দো। তবে রক্ষণের ভুলেই আজ ভুগতে হল মোহনবাগানকে। যদিও প্রথম গোল করে এগিয়ে যায় সবুজ মেরুন ব্রিগেড। ১৭ মিনিটের মাথায় শুভাশীষের দেওয়া পাস থেকে গোলমুখী সেন্টার রাখেন জেসন কামিন্স। সেই শট গোলকিপার বাঁচিয়ে দিলেও ফিরতি বলে শট নিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন লিস্টন কোলাসো।
এগিয়ে গেলেও ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি মোহনবাগান। প্রথম গোলের চার মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরানোর সুযোগ চলে এসেছিল বসুন্ধরা কিংসের কাছে। সহজ সুযোগ হেলায় নষ্ট করেন ডোরিয়েল্টন। এরপরেও ম্যাচে ব্যবধান বাড়াতে পারত জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদি হাসানের ব্যাক টু ব্যাক সেভের কারনেই গোল করতে ব্যর্থ হন জেসন কামিন্স। গোটা ম্যাচ জুড়ে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলল বসুন্ধরা কিংস। চলতি মরশুমের সব থেকে খারাপ ম্যাচটা আজ খেলে গেল মোহনবাগান। মাঝমাঠ থেকে রক্ষণ কোন জায়গাতেই নিজেদের সেরাটা মেলে ধরতে পারেনি তারা।
বিরতির কিছু আগেই গোল করে দলকে সমতায় ফেরান মিগুয়েল। বক্সের বাইরে থেকে জোড়ালো শটে পরাস্ত করেন বাগান দূর্গের প্রহরী বিশাল কাইথকে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বসুন্ধরা কিংস। একের পর এক আক্রমণে চাপ বাড়তে থাকে মোহনবাগান রক্ষণে। বিশাল কাইথ বেশ কয়েকবার দলের অনিবার্য পতন রোধ করলেন। তা নাহলে আজ ব্যবধান আরও বেশি বাড়তে পারত। এত কিছুর পরেও জেসন কামিন্সের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। শেষ পর্যন্ত রক্ষণের প্রাচীর অক্ষুণ্ণ রাখতে পারেননি শুভাশীষ, হ্যামিলরা। ৮০ মিনিটের মাথায় বসুন্ধরা কিংসের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন অধিনায়ক ডোরিয়েল্টন।
মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জয়ের সুবাদে চার ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে উঠে এল বসুন্ধরা কিংস। সমসংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রইল মোহনবাগান। এখন যা পরিস্থিতি পরের রাউন্ডে পৌঁছানর জন্য রাস্তা খোলা রইল তিনটি দলের কাছে। মোহনবাগানের পরবর্তী ম্যাচ ঘরের মাঠে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে। লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে মাজিয়া এবং ওড়িশাকে হারাতেই হবে জুয়ান ফেরান্দোকে।