মোহনবাগান

মোহনবাগান দিবসে উলুবেড়িয়ার মোহনবাগান পরিবারে অভিনব অন্নপ্রাশন

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্কঃ এক সামাজিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন উলুবেড়িয়ার মোহনবাগান দম্পতি। অরিন্দম এবং সুপর্ণা দুজনেই আদ্যান্ত মোহনবাগানী। আর তাদের সন্তান যে মোহনবাগান সমর্থক হয়েই জন্ম নেবেন সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। মোহনবাগান মানেই যেন আবেগ, ভালোবাসা, ঐতিহ্য এবং পরম্পরার মেলবন্ধন। মোহনবাগান মানে প্রাণ ঢালা আবেগ। সেই আবেগের রেশ ধরেই ২৯ জুলাই মোহনবাগান দিবসে হাওড়া উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা তথা মোহনবাগান ক্লাব সদস্য অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যমজ সন্তান পুত্র অগ্নীশ্বর (লিও) ও কন্যা দেবপর্ণার (ওলি)-র অন্নপ্রাশন হল। আর সমগ্র অনুষ্ঠানটিতে ছিল রীতিমত সবুজ মেরুনের ছোঁয়া। “সবুজ-মেরুন” দম্পতি তাঁদের যমজ পুত্র-কন্যার অন্নপ্রাশনের কার্ড থেকে শুরু করে ডেকরেশন সবেতেই তুলে ধরেছিলেন মোহনবাগানকে।

অরিন্দম জানান, “মোহনবাগান পরিবারে জন্মগ্রহণ মানেই জন্মগতভাবে মোহনবাগানী হয়েই জন্মানো। আমাদের সন্তানদের জন্য সেই পরম্পরার ভিত প্রস্তুত হলো আজ।” উল্লেখ্য, অরিন্দম ও সুপর্ণার পুত্র অগ্নীশ্বরের নিয়মমাফিক অন্নপ্রাশন হয় গত ২৮ জুন আর কন্যা দেবপর্ণার অন্নপ্রাশন হয় একমাস পর চলতি মাসের ২৭ তারিখ। তারপর মোহনবাগান দিবসের সন্ধ্যায় এমন অভিনব আনুষ্ঠানিক আয়োজন।

অরিন্দমের স্ত্রী সুপর্ণা দেবী জানান, “আমাদের পুত্র ও কন্যা একসঙ্গে হবার পর থেকেই অনেকে বলেছিলেন একসঙ্গে ওরা জন্মগ্রহণ করলেও মুখেভাত হবে আলাদা আলাদা। এবং আমাদের পুত্রের নান্দীমুখ বা বৃদ্ধি সংস্কার হলেও কন্যার কোনও নান্দীমুখ হবে না। যা হবে সেই বিবাহের সময়। নান্দীমুখ আদতে একটি অন্নপ্রাশনের সংস্কার। যা আমাদের সমাজে কেবলমাত্র পুত্রসন্তান জন্ম হলেই হয়ে আসে। আর এটার ফলে পিতৃকুল ও মাতৃকুলের তিন পুরুষ জল পান এবং তারা স্বর্গ থেকে আশীর্বাদ করেন। এটি শোনার পর থেকে আমরা ভাবতে থাকি তবে কি আমাদের শুধুই পুত্রের নান্দীমুখ ও বৃদ্ধি সংস্কার হবে আর তার সময় আমাদের পূর্ব পুরুষ জল পাবে? সমাজের এই লোকাচার নিয়ম আমরা শাস্ত্রমতেই ভাঙতে সক্ষম হই আমাদের কন্যার অন্নপ্রাশনে। আসলে আমাদের শাস্ত্রে পরিষ্কার উল্লেখ আছে কন্যা সন্তান হলেও তারও নান্দীমুখ ও বৃদ্ধি সংস্কার সম্ভব। কিন্ত অনেকেই এই নিয়ম না মেনে কন্যা হলে তার নান্দীমুখ সেই বিবাহের সময়েই করে। আমরা আমাদের কন্যার নান্দীমুখ অন্নপ্রাশনে করে একটা সামাজিক বার্তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যে, কন্যা হলেও শাস্ত্রমতেই তার এই সংস্কার করা উচিত।”

প্রিয় দলের জন্য আবেগ বোধহয় একেই বলে। জীবনের প্রতিটি চলার পথে ব্যাতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়ে মোহনবাগান আবেগ বুকে করে জীবন তরী পার করছে কোটি কোটি সবুজ মেরুন সমর্থক। তাদেরই এক প্রতিনিধি অরিন্দম-সুপর্ণা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version