ফুটবল
AFC Cup: দিমিত্রির জোড়া গোল; ওড়িশাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে গ্রুপ পর্যায়ের অভিযান শুরু মোহনবাগানের
সৌম্যজিৎ দে, ভুবনেশ্বর: চলতি মরশুমে নিজেদের এএফসি কাপ গ্রুপ পর্বের অভিযান দারুন ভাবে শুরু করল মোহনবাগান। ওড়িশা এফসি’কে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে গুরু পর্যায়ের অভিযান শুরু করল তারা।
প্রথমার্ধে দুই দলই বেশ খানিকটা ধরে খেলার চেষ্টা করে। ঠিক যেন একে অন্যের শক্তি এবং দুর্বলতা মেপে নেওয়া। এরই মধ্যে হুগো বুমোসের একটি শট সাইড নেট হয়, এবং তার কিছুক্ষণ পরেই সাহাল একটি দারুণ বল নিয়ে ওড়িশা ডিফেন্সে ঢোকার চেষ্টা করলে তিনি বাধা পান এবং সুযোগটি নষ্ট হয়। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক তিন মিনিট আগে অর্থাৎ খেলার ৪২ মিনিটের মাথায় ম্যাচের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেয়ে এবং লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ওড়িশার নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার মুরতাদা ফল। এরপরে প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের একেবারে শুরুর মিনিটেই গোল পেয়ে যায় সবুজ মেরুন ব্রিগেড। ৪৬ মিনিটের মাথায় ডান দিক থেকে বুমোসের মাপা ক্রস থেকে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে তা জালে জড়াতে ভুল করেননি সাহাল আব্দুল সামাদ। খেলার ৫৪ মিনিটের মাথায় ফের একবার বোলের মুখ প্রায় খুলে ফেলেছিল মোহনবাগান। ডান দিক থেকে বক্সের মধ্যে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন আনোয়ার আলি। তার থেকে বল পান দিমিত্তি পেত্রাতস, তবে তার শট অল্পের জন্য বাইরে যায়। এরপর খেলার ৫৫ মিনিটের মাথায় সাদিকুর পরিবর্তে মাঠে নামেন জেসন কামিন্স। তিনি নামতে খেলার ঝাঁজ বাড়ে মোহনবাগানের।
এরপর খেলার ৬৪ মিনিটের মাথায় ম্যাচের সহজ তম সুযোগটি নষ্ট করে মোহনবাগান। ওড়িশার ডিফেন্ডারদের ভুলে বল পেয়ে যান দিমিত্রি। তার শট গোলরক্ষকের গায়ে লেগে গোলে ঢোকার সময় তা গোল লাইন সেভ করেন আহমেদ জাহু। এরপর খেলার ৬৬ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন হেক্টর ইউসতে।
খেলার ৬৮ মিনিটের মাথায় ম্যাচের দ্বিতীয় পায় সবুজ মেরুন ব্রিগেড। সাহালের বা পায়ের জোরালো শট কোনরকমে বাঁচান ওড়িশা গোলরক্ষক অমরিন্দর, তার থেকে ফিরে আসা বল ধরে নিয়ে গোল করে যান দিমিত্রি। এর কিছুক্ষণ পরে অর্থাৎ ৭৩ মিনিটের মাথায় সাহাল এবং শুভাশিসের জায়গায় মাঠে নামেন গ্লেন মার্টিনস এবং লিস্টন কোলাসো। এরপর খেলার ৭৬ মিনিটের মাথায় আরও একটি দারুণ সুযোগ পায় মোহনবাগান। লিস্টনের থেকে বল পেয়ে দিমিত্রি বল নিয়ে দারুণভাবে বক্সে ঢোকেন। সেখান থেকে তিনি মাপা পাশ বাড়ান লিস্টনের উদ্দেশ্যে। তবে তার শট দারুণভাবে সেভ করেন অমরিন্দর। খেলার ৭৯ মিনিটের মাথায় হুগোর থেকে বল পেয়ে মনবীর তা দেন লিস্টনকে। তিনি সেই বল গোলে ঠেলতে ভুল করেননি। ম্যাচের তৃতীয় গোল পায় মোহনবাগান। এরপর ৮২ মিনিটের মাথায় ওড়িশার কফিনে শেষ পেরেক পোতেন দিমিত্রি। ওড়িশার ডিফেন্ডার ভুল করলে বক্সের বাইরে বল পান দিমিত্রি। সেখান থেকে দলের হয়ে শেষ গোলটি করতে ভুল করেননি তিনি। ফলে ওড়িশাকে ৪-০ গোলে পর্যুদস্ত করে এএফসি কাপের অভিযান দারুন ভাবে শুরু করল মোহনবাগান।