Super Cup 2024: ভাগ্যের জোরে তিন পয়েন্ট পেল মোহনবাগান

সৌমজিৎ দে, ভুবনেশ্বর: বিদেশিহীন হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে জয় পেতেও বেশ বেগ পেতে হল মোহনবাগানকে। রবিবার কলিঙ্গ সুপার কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। চোট সারিয়ে এই ম্যাচে দলে ফিরেছিলেন ব্রেন্ডন হ্যামিল এবং গ্লেন মার্টিনেজ। তবে তাদের অন্তর্ভুক্তিতে দলের শক্তি বৃদ্ধির পরিবর্তে মোহনবাগান উপহার দিল ছন্নছাড়া ফুটবল। শুরু থেকেই সবুজ-মেরুন রক্ষণে দেখা যাচ্ছিল বোঝাপড়ার অভাব। আর সেখান থেকেই ৬ মিনিটের মাথায় গোল করে এগিয়ে যায় হায়দ্রাবাদ। বাগান গোলরক্ষক আর্শ আনোয়ার এবং হ্যামিলের ভুল বোঝাবুঝি থেকে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে যান রামলুচুঙ্গা। সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি তিনি। গোটা প্রথমার্ধ জুড়েই আক্রমণের দাপিট বজায় রেখেছিল হায়দ্রাবাদ এফসি। ২৩ মিনিটের মাথায় একটি দুর্দান্ত জায়গায় ফ্রি-কিক পায় মোহনবাগান। তবে দিমিত্রি পেত্রাতোসের অনবদ্য ফ্রি-কিক শরীর ছুঁড়ে দিয়ে অসামান্য দক্ষতায় রুখে দেন কাট্টিমানি। প্রথমার্ধের শেষে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল হায়দ্রাবাদের কাছে। তবে আর্শ আনোয়ারের দক্ষতায় সে যাত্রায় বিপদ কিছু ঘটেনি৷

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও গোলের সুযোগ নষ্ট করে হায়দ্রাবাদ। সেই সময় গোল করতে পারলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। ৪৯ মিনিটের মাথায় ম্যাচের সব থেকে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সুহেল। কামিন্সের বাড়ানো পাস অল্পের জন্য শট নিতে দেরি করেন তিনি। এরপর ৭২ মিনিটের মাথায় দিমিত্রির দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ঠিক যখন সবাই ভাবতে শুরু করেছে হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে পয়েন্ট খোয়াতে চলেছে মোহনবাগান। ঠিক তখনই মোহনবাগানকে ম্যাচে ফিরিয়ে দেয় হায়দ্রাবাদ এফসি। ৮৩ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন হায়দ্রাবাদের অধিনায়ক নিম দর্জে। এরপরেই দশ জনের হায়দ্রাবাদকে পেয়ে আরও বেশি চেপে ধরে বাগান। শেষ সাত মিনিটেই ম্যাচ জিতে নেয় মোহনবাগান। ৮৭ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করেন জেরেমি। তার ঠিক দু’মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পেয়ে যায় মোহনবাগান। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি দিমিত্রি পেত্রাতোস। হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয় চাপে রাখল মোহনবাগানকে। তিন পয়েন্ট পেলেও ডার্বির আগে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের অগোছালো ফুটবল চিন্তায় রাখবে ক্লিফোর্ড মিরান্ডাকে।