ফুটবল

Durand Cup: দশ জনের মোহনবাগানই বাজিমাত করল ডুরান্ড কাপের ফাইনালে…

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: অঙ্কটা এরকম ছিলনা। মরশুমের প্রথম ডার্বি জয় দিয়েই শুরু করেছিল কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। ধারেভারে এগিয়ে থাকলেও মানসিক দিক থেকে পছিয়েই ছিল মোহনবাগান। তবে রবিবাসরীয় যুবভারতীতে বল গড়ানোর পর সেটা বোধহয় আর বুঝতে দিলেননা হুগো বুমোস, দিমিত্রিরা। একে বড় ম্যাচ, তাও আবার ডুরান্ড কাপ ফাইনাল। তাই শুরু থেকেই নিজেদের কিছুটা গুটিয়ে রেখেছিল দুই প্রধান। আর এখন বড় ম্যাচ মানে শুধুই তো ডার্বি নয়, দুই স্প্যানিশ হেড স্যারের মস্তিষ্কের লড়াই। আর এবারের লড়াইটা জিতে নিলেন জুয়ান ফেরান্দো। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহুর্তে মোহনবাগান এগিয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছুই ছিলনা। ডান প্রান্ত থেকে দিমিত্রি পেত্রাতসের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় দুই পক্ষ। আক্রমণ প্রতি আক্রমণের খেলায় জমে ওঠে ডার্বির উত্তেজনা। সময় যত গড়িয়েছে বড় ম্যাচের উত্তাপ ক্রমশই বেড়েছে।

গোটা ম্যাচ জুড়ে কতবার যে রেফারিকে কার্ড বের করতে হল তা খাতায় কলমে অঙ্ক কষে বলতে হবে। অহেতুক উত্তেজিত হয়ে ৫৬ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখলেন লাল হলুদের কোচ কুয়াদ্রাত। এরপর হঠাৎই যেন ছন্দপতন মোহনবাগানের। ৬১ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখার দরুন অনিরুদ্ধ থাপাকে মার্চিং অর্ডার দিলেন রেফারি। ঘন কালো অন্ধকার নেমে এল সবুজ মেরুন গ্যালারি জুড়ে। দশজনের মোহনবাগানকে বাগে পেয়ে ম্যাচ বেড় করে নিতে পারতেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। তবে ঘটলো ঠিক তার বিপরীত। দশজনের মোহনবাগান আরও ভয়ানক হয়ে উঠল। থাপা মাঠ ছাড়ার ঠিক দশ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেন দিমিত্রি পেত্রাতস। প্রায় কুড়ি গজ দূর থেকে অনবদ্য শটে পরাস্ত করলেন প্রভসুখন গিলকে। যদিও শেষ কুড়ি মিনিট মরণকামড় দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। আনোয়ার আলি, হেক্টর ইউস্তার ঠান্ডা মাথার রক্ষণে অটুট থাকে সবুজ মেরুন দূর্গ।

এক গোলে আগুয়ান থেকে দশজনের দল নিয়েও লিড ধরে রাখল মোহনবাগান। থাপার অনুপস্থিতি ভরাট করতে দুর্দান্ত চাল চাললেন জুয়ান ফেরান্দো। হুগো বুমোসকে তুলে নিয়ে মাঝমাঠে জুড়ে দিলেন গ্লেন মার্টিনেজকে, তার সাথে মাঠে নামলেন লিস্টন কোলাসো এবং জেসন কামিংস। তারপরেও যখন দেখলেন সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে লাল হলুদ ফুটবলাররা, তখন রক্ষণ সামলাতে নামিয়ে দিলেন ব্রেন্ডন হ্যামিলকে। শেষ কয়েক মিনিট মুহুর্মুহ আক্রমণ করেও গোল তুলে আনতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে লাল হলুদ ব্রিগেডকে হারিয়ে মরশুমের প্রথম ট্রফিটা ঘরে তুললেন জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। সেই সঙ্গে মরশুমের প্রথম ডার্বি হারার সুমধুর বদলা নিয়ে নিলেন, তাও মাত্র ২১ দিনের মথায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version