Connect with us

ফুটবল

মুম্বই মিথ ভেঙে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে মোহনবাগান

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্কঃ পরিসংখ্যানের বিচারে অনেকটা পিছিয়ে থেকেই ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টারে মুম্বই সিটি এফসির মুখোমুখি হয়েছিল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। তবে সব ম্যাচ পরিসংখ্যান দিয়ে বিচার হয়না, সেটা আবারও প্রমাণ করলেন জুয়ান ফেরান্দো। শক্তিশালী মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে চার বিদেশিকে নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। রক্ষণে ব্রেন্ডন হ্যামিল না থাকায় সবুজ মেরুন জার্সিতে আবারও ভরসা দিলেন সদ্য মোহনবাগানে যোগ দেওয়া হেক্টর য়ুস্তে। পাঁচবার মোহনবাগানকে হারান মুম্বইকে কার্যত দাঁড়াতেই দিলনা কামিংস, হুগো বুমোসরা। ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণ প্রতি আক্রমণের খেলায় গোল তুলে নেয় মোহনবাগান। আশিক কুরুনিয়ানের থ্রু বল কাজে লাগিয়ে একক দক্ষতায় মুম্বাইয়ের পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়েন জেসন কামিংস। তাকে ফাউল করতে বাধ্য হয় বিপক্ষ ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি অস্ট্রেলিয়ান বিশ্বকাপার। ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় এগিয়ে গিয়ে মুম্বই রক্ষণে আরও চাপ বাড়াতে থাকে মোহনবাগান ফুটবলাররা। মরিয়া প্রতি আক্রমণে সুযোগের অপেক্ষায় ছিল মুম্বই সিটি এফসি। ২৭ মিনিটের মাথায় নাগুয়েরার পাশ থেকে গোল করে সমতা ফেরান পেরেরা দিয়াজ।

তবে বেশিক্ষণ সেই সময়া বজায় রাখতে পারেনি মুম্বই রক্ষণ। মাত্র ৩ মিনিটের মধ্যে মানবীর সিংয়ের হেড দ্বিতীয়বারের জন্য ম্যাচে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে মোহনবাগানকে। ম্যাচের তৃতীয় গোলটি এল ৬৩ মিনিটের মাথায়। হুগো বুমোসের কর্ণার মুম্বই রক্ষণের এক ফুটবলারের মাথা ছুঁয়ে চলে যায় আশিক কুরুনিয়ানের পায়ে। ডান প্রান্ত থেকে নিখুঁত একটি সেন্টার রাখেন তিনি। সেই বল মাথা ছুঁইয়ে জালে জড়ালেন আনোয়ার আলি। এরপর আর খুঁজেই পাওয়া গেলনা পেরেরা দিয়াজ, গ্রেগ স্টুয়ার্টদের। মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ তৈরির চেষ্টা করলেও বারবার বাঁধা পেল সবুজ মেরুনের রক্ষণে। তবে সবুজ মেরুনের পক্ষে আরও ব্যবধান বাড়ালে অবাক হওয়ার কিছু ছিলনা। বেশ কয়েকবার গোলমুখ প্রায় খুলে ফেলেও ফিনিশিংয়ের অভাবে বঞ্চিত হল মোহনবাগান। গোটা ম্যাচ জুড়ে অনবদ্য দায়িত্ব সামলালেন মানবীর সিং। উইং থেকে রক্ষণ একাই সামলে দিলেন পুরোটা। বিপিন সিংকে বল নিয়ে বক্সের মধ্যে জায়গা করতেই দিলেননা। আরও বেশি নজর কাড়লেন আশিক কুরুনিয়ান, সাহাল আব্দুল সামাদরা।

সদ্য মোহনবাগানে যোগ দিয়েছেন হেক্টর য়ুস্তে। এএফসি কাপের ম্যাচে সামান্য ঝলক দেখিয়েছিলেন আজ মোহনবাগান রক্ষণে শক্ত হাতে লড়াই করলেন আনোয়ার আলির সাথে। আনোয়ার-হেক্টর যুগলবন্দী বক্সের বাইরেই রেখে দিলেন নাগুয়েরা, স্টুয়ার্ট, পেরেরাদের। বহুদিন পর মুম্বই গাঁট পেরোল মোহনবাগান। শেষ ৮ বারের সাক্ষাতে জয় পায়নি তারা। আজ জয় দিয়ে মুম্বই সিটি এফসির দর্প চুর্ণ করল জুয়ান ফেরান্দোর ব্রিগেড।

আইএসএল

ISL 2024/25: অজস্র গোল মিসের খেসারত দিতে হল ইস্টবেঙ্গলকে

Published

on

নিজস্ব প্রতিনিধি, জামশেদপুর: বিনো জর্জের তত্ত্বাবধানে ভাল ফুটবল খেললেও বহু প্রত্যাশিত পয়েন্ট থেকে আজও বঞ্চিত রইল ইস্টবেঙ্গল। অজস্র গোলের সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে ব্যর্থ হন ক্লেইটন-তালালরা। আর সেই মিসের খেসারতই দিতে হল তাদের। আইএসএলে টানা চার ম্যাচে হারের মুখ দেখল লাল-হলুদ ব্রিগেড। অপরদিকে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ২-০ গোলে ম্যাচ জিতল খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসি। এর ফলে লিগ টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এল রেড মাইনার্সরা।

এদিন ম্যাচের ১০ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন ইস্টবেঙ্গলের মাঝ মাঠের ফুটবলার মাদিহ তালাল। প্রভাত লাকড়ার বাড়ান বল অল্পের জন্য বার ঘেষে চলে যায় বাইরে। তার পরেও মুহুর্মুহু আক্রমণ চালায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ১৫ মিনিটে জর্ডান মারের নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক দেবজিত মজুমদার। ম্যাচের শুরু থেকেই বলের উপর আধিপত্য রেখেই ফুটবল খেলছিল গোটা ইস্টবেঙ্গল দল। কিন্তু ম্যাচের গতির বিপরীতে গিয়েই ২০ মিনিটে, বক্সের বাইরের দূরপাল্লা শটে বল জালে জড়িয়ে দেন রেই তাচিকাওয়া। ম্যাচের ৩১ মিনিটে সহজ একটা সুযোগ বার উঁচিয়ে বাইরে মেরে বসেন ক্লেইটন সিলভা। আবারও ৩৫ মিনিটে সহজ গোল মিস করেন সেই ক্লেইটন সিলভা। ৪৪ মিনিটে গোল রক্ষককে একা পেয়ে গিয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন নন্দকুমার সেকার। অজস্র গোল মিসের কারণে প্রথমার্ধ শেষে ০-১ গোলে পিছিয়ে থাকে লাল-হলুদ ব্রিগেড।

আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধের খেলা। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে প্রায় গোলমুখ খুলে ফেলেছিল জামশেদপুর। ইমরানের ভাসানো ক্রস সরাসরি গিয়ে লাগে পোস্টে। ৬৩ মিনিটে বক্সের ভেতরে পেনাল্টি আদায় করে নেন ক্লেইটন সিলভা। কিন্তু পেনাল্টি মিস করেন সউল ক্রেস্পো। ৬৫ মিনিটে ক্লেইটনের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। কোনভাবেই গোলমুখ খুলতে পারছিলেণ না লাল-হলুদ ফুটবলাররা। তারই মধ্যে ম্যাচের ৭০ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে বসেন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার লালচুংনুঙ্গা। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় জামশেদপুর এফসি। তার পরেও বেশ কয়েকটা সুযোগ হাতছাড়া করে ইস্টবেঙ্গল। মাদিহ তালালের একটি দুরন্ত শট সেভ করেন জামশেদপুর গোলরক্ষক অ্যালবিনো গোমজ। তারপরে ইস্টবেঙ্গলের পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে আসা পিভি বিষ্ণু এবং আমান সিকেও অনেক চেষ্টা করেও গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ হন। অবশেষে ০-২ গোলে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় বিনো জর্জের দলকে।

Continue Reading

আন্তর্জাতিক ফুটবল

কোমোকে হারিয়ে প্রথম স্থান ধরে রাখল নাপোলি

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: লুকাকুর একটি গোল এবং জোড়া অ্যাসিস্টে ভর করে কোমোকে ৩-১ গোলে হারিয়ে, সিরি আ’য় প্রথম স্থানে উঠে এল নাপোলি। মাত্র চার পয়েন্টের ব্যবধানে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, লিগের আরেক শক্তিশালী দল জুভেন্টাস।

ম্যাচের একদম শুরুতেই প্রায় ২৫ সেকেন্ডের মাথায়, লুকাকুর বাড়ানো বল থেকে প্রথম গোলটি তুলে নেন ম্যাক্টোমিনায়। তিন ম্যাচে ইতিমধ্যেই দুটি গোল করে ফেলেছেন স্কটিশ এই ফুটবলার। এরপর কোমোও আস্তে আস্তে খেলায় ফিরতে থাকে। প্রথমার্ধের শেষে ৪৩ মিনিটে
গ্যাব্রিয়েল স্ট্রেফেজার গোলে সমতায় ফেরে কোমো। এই গোলটির ফলে, দীর্ঘ এক মাস পর কোন ম্যাচে গোল হজম করতে হয় নাপোলিকে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও বেশ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে গোটা নাপোলি দল। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন বেলজিয়ান তারকা রোমেলু লুকাকু। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে সেই লুকাকুর ডিফেন্স চেরা পাস থেকে ম্যাচের জয়সূচক গোলটি তুলে নেন পরিবর্ত ফুটবলার হয়ে আসা ডেভিড নেরেস।

Continue Reading

আইএসএল

ISL 2024/25: ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে জয় চাইছেন খালিদ জামিল

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: শনিবার ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হতে চলেছে খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসি। ইতিমধ্যেই জামশেদপুর তাদের তিনটি ম্যাচের মধ্যে ছয় পয়েন্ট নিয়ে লীগ টেবিলের চার নম্বর স্থানে রয়েছে। অপরদিকে ইস্টবেঙ্গল এখনও তাদের প্রথম পয়েন্টের খোঁজে রয়েছে। ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন জামশেদপুর এফসির কোচ খালিদ জামিল এবং ফুটবলার মোবাশির রহমান।

পরপর দুই ম্যাচে জয় পাওয়ার পর গত ম্যাচে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচ হারতে হয় জামশেদপুরকে। সেই বিষয়ে তাদের কোচ খালিদ জামিল জানিয়েছেন, “গত ম্যাচে আমরা খুব একটা ভালো শুরু করতে পারিনি এবং আশানুরূপ ফল পাইনি। তবে আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সেই জায়গাটা শুধরে নিতে পারি।” অপরদিকে মরশুমের শুরুটা ইস্টবেঙ্গলের একদমই ভাল হয়নি। প্রথমে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়া, এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে হার এবং তারপর আইএসএলের প্রথম তিন ম্যাচেও হার দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে তাদের। তাঁর উপরে তাদের হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রতও দল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে এখন দল সামলাচ্ছেন বিনো জর্জ। তবে এই লড়াইটা ভারতীয় ফুটবলের কাছে খুব উপভোগ্যের হবে কারণ কাল লড়াই হবে দুই ভারতীয় কোচের মগজাস্ত্রের। ইতিমধ্যেই বিগত তিন ম্যাচে জামশেদপুরকে হারাতে পারেনি লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেই বিষয়ে জামশেদপুর কোচকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “আমি মনে করি প্রতিটা ম্যাচের গুরুত্ব ভিন্ন রকমের। তবে আমরা ঘরের মাঠে আমাদের সমর্থকদের সামনে ভাল ফুটবল খেলার চেষ্টা করব এবং ম্যাচ থেকে পয়েন্ট পাওয়ার জন্যই ঝাঁপাব।”

অপরদিকে ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন খেলোয়াড় মোবাশির রহমান তাদের খেলার প্রতি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। এবং তিনি সমর্থকদের জন্য জয় পেতেও মরিয়া। তিনি জানিয়েছেন, “আমরা প্রতিটা খেলায় জিততে চাই সমর্থকদের জন্য কারণ সেই জয়ের পেছনে তাদের সমর্থনের অনেকটা বড় ভূমিকা থাকে। আমরা ঘরের মাঠে খেলি বা বাইরের মাঠে, তাঁরা আমাদের নিরন্তর সমর্থন করেন। তাই আমরা চেষ্টা করব তাদেরকে জয় উপহার দেওয়ার।” এবারে দেখার ঘরের মাঠে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারেন কিনা খালিদ জামিলের ছেলেরা। নাকি বিনো জর্জ পারবেন ইস্টবেঙ্গলকে জয়ের সরণীতে ফেরতে।

Continue Reading

Trending