ফুটবল
হালান্ড, এমবাপেদের হারিয়ে অষ্টমবার ব্যালন ডি’অর জিতলেন লিও মেসি
রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্কঃ মেসির মুকুটে যুক্ত হল আরও একটা পালক। সাফল্যের সরণীতে মেসির দৌড় অপ্রতিরোধ্য। ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেওয়ার পর অনেকেই বলেছিলেন মেসির সাফল্য হয়তো এখানেই শেষ। কিন্তু তিনি প্রমাণ করলেন তিনি ফুরিয়ে যাননি। আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার আরলিং হালান্ড, কিলিয়ান এমবাপেকে হারিয়ে চলতি মরশুমের সোনার বল জিতে নিলেন। যে পুরষ্কার ব্যালন ডি’অর নামে পরিচিত। আর এই নিয়ে অষ্টমবার ব্যালন ডি’অর জিতলেন লিওনেল মেসি। ২০২২-২৩ মরশুমে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন তিনি। আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন। মিয়ামিতে যোগ দেওয়ার আগে প্যারিস সেন্ট জার্মানের হয়ে দূরন্ত খেলেছেন মেসি। দলকে খেতাব এনে দিয়েছেন। মিয়ামিতে যোগ দেওয়ার পরেও তার সাফল্যের দৌড় অব্যহত।
মেসি ম্যাজিকের প্রতিদান স্বরুপ তার হাতেই উঠল সোনার বল। ২০২৩ ব্যালন ডি’অর-এর সাম্ভাব্য প্রতিযোগিদের তালিকা ছিল দীর্ঘ। প্রায় ৩০ জন ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন ব্যাক্তিগত এই খেতাবি লড়াইয়ে। শেষ পর্যন্ত সেরার সেরা নির্বাচিত হলেন লিও মেসি। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রইলেন যথাক্রমে হালান্ড এবং এমবাপে। ম্যান সিটির হয়ে ৫২ গোলের মালিক আরলিং হালান্ডও হেরে গেলেন মেসির কাছে। অষ্টমবার ব্যালন ডি’অর জেতার পাশাপাশি একটা রেকর্ডও করলেন তিনি। ইন্টার মিয়ামির ফুটবলার হিসাবে এই প্রথম কোন ফুটবলার ব্যালন ডি’অর জিতলেন। লিওনেল মেসির হাতে সোনার বল তুলে দিলেন ইন্টার মিয়ামির কর্ণধার ডেভিড বেকহাম।
মহিলা ফুটবলে এই খেতাব অর্জন করলেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার এইটানা বনমাতি। তিনিও চলতি মরশুমে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন। বার্সেলোনাকে লিগা এফ চ্যাম্পিয়ন করার পিছনে তার বড় অবদান রয়েছে। মেসির সাফল্যের দিনে আরও একটা খেতাব এল আর্জেন্টিনার ঘরে। গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ জিতলেন সেরা গোলরক্ষকের খেতাব। সব থেকে বেসি বার এই খেতাব জয়ের রেকর্ড বহাল থাকল মেসির নামের পাশে। মেসির পর পাঁচ বার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। মেসির আটটি ব্যালন ডি’অর-এর মধ্যে প্রথম ছয়টি এসেছিল বার্সেলোনায় থাকাকালীন। সপ্তম খেতাব পিএসজির জার্সিতে এবং অষ্টমবার মিয়ামিতে। এখন মেসির লক্ষ্য কোপা আমেরিকা জয়। সাফল্যের চূড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেকে এখনও সেরার সেরা প্রমাণ করতে মরিয়া লিও মেসি।