ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মেগা ডার্বি দেখবে শহর কলকাতা

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্কঃ প্রথম সেমিফাইনালে নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে হারিয়ে আগেই ডুরান্ড কাপের ফাইনালে গিয়ে অপেক্ষা করছিল ইস্টবেঙ্গল। বৃহস্পতিবার বাকি কাজটা সম্পূর্ণ করল জুয়ান ফেরান্দোর দল। ডুরান্ড কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শক্তিশালী এফসি গোয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট হাতে পেল মোহনবাগান। এদিন শুরু থেকেই মোহনবাগানকে চাপে রেখেছিল মানোলো মার্কোয়েজের দল। শুরুর ৮ মিনিট বলে পা ছোঁয়াতে বেশ বেগ পেতে হল কামিংস, বুমোসদের। ২৩ মিনিটের মাথায় হুগো বুমোসের ভুল থেকে মাঝমাঠে বল পেয়ে যান নোয়াহ। একাই বল নিয়ে বিপক্ষ বক্সে উঠে এসে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। হেক্টর য়ুস্তে রক্ষণে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও বিশাল কাইথকে পরাস্ত করতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি নোয়াহকে। যদিও প্রথমার্ধেই গোল পরিশোধ করে মোহনবাগান। ডান প্রান্ত থেকে বল নিয়ে গোলের দিকে ধেয়ে আসেন আশিক কুরুনিয়ান। বক্সের একেবারে মাথায় তাকে ফাউল করেন গোয়ার ডিফেন্ডার জে গুপ্তা। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিতে দ্বিধা করেননি রেফারি। তবে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি জানায় গোয়ার ফুটবলাররা। আজকের ম্যাচের রেফারি সেদিকে কর্ণপাত না করেই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। অভ্যাস মতো পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি জেসন কামিংস। এই নিয়ে চলতি মরশুমের চতুর্থ গোলটি তুলে নিলেন অস্ট্রেলিয়ান বিশ্বকাপার। যার মধ্যে তিনটি গোল এসেছে পেনাল্টি থেকে।

জয়সূচক গোলটির জন্য সবুজ মেরুন ব্রিগেডকে অপেক্ষা করতে হল ৬১ মিনিট পর্যন্ত। দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের ফলাফল যখন ১-১, ঠিক তখনই দিমিত্রি পেত্রাতসের বাড়ানো বল থেকে একটি দর্শনীয় গোল করে গেলেন আর্মান্দো সাদিকু। এরপরেও বেশ কয়েকবার প্রায় গোলমুখ খুলে ফেলেছিলেন সবুজ মেরুন ফুটবলাররা। নিজেদের ভুলে ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হন সাহাল, মানবীররা। শেষ কয়েকটা মিনিট মরণ কামর দিয়েছিল গোয়ার আক্রমণ ভাগ। মুহুর্মুহু আক্রমণ তুলে এনে আনোয়ার আলি, হেক্টর য়ুস্তেদের নাস্তানাবুদ করে ফেলে। খেলা শেষ হওয়ার কয়েক মুহুর্ত আগে বিশাল কাইথের অনবদ্য সেভই বোধহয় মোহনবাগানের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল। আরও একবার ডার্বি দেখবে শহর কলকাতা। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে খেলবে বাংলার দুই প্রধান। বড় ম্যাচ আরও একবার সত্যি সত্যিই বড় ম্যাচ হয়ে ওঠার অপেক্ষায়।