ফুটবল
গ্রুপ শীর্ষে থেকেও বসুন্ধরা কিংসকে হালকা ভাবে নিতে নারাজ বাগান কোচ
রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্কঃ সময়টা খুবই ভালো যাচ্ছে বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দোর জন্য। টানা জয়ের সরণিতে রয়েছে তার দল। মঙ্গলবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে মোহনবাগান। ইতিমধ্যেই দুই ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের শীর্ষেই রয়েছে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। তবুও আত্মতুষ্টিতে একেবারেই ভুগতে নারাজ মোহনবাগান কোচ। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি স্পষ্ট বলে গেলেন “বসুন্ধরা কিংস বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্লাব। তাছাড়া এএফসি কাপে প্রতিটি দেশের সেরা ক্লাব গুলি খেলতে আসে। তাই সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ।” এই জায়গায় দাঁড়িয়ে জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবছেননা তিনি।
মঙ্গলবার রাতে শহর কলকাতা ব্যাস্ত থাকবে কোলাকুলি আর মিষ্টিমুখ করতে। কারণ, এইদিন বিজয়া দশমী, মা দূর্গার প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় ভুবনেশ্বরে রাত ৯:৩০ মিনিটে মাঠে নামবে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। গত ৭ অক্টোবর আইএসএলে শেষ ম্যাচ খেলেছিল মোহনবাগান। প্রায় ষোলো দিনের ব্যবধানে আবার মাঠে নামবে জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। এই অবসরটাকে বেশ ভালো ভাবেই কাজে লাগিয়েছেন বলে জানালেন বাগান কোচ। এই মুহুর্তে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন বাগানের দুই বিদেশি ফুটবলার দিমিত্রি পেত্রাতস এবং জেসন কামিংস। মঙ্গলবার রাতে পদ্মাপাড়ের ক্লাবকে হারাতে হলে আবারও তাদের জ্বলে ওঠাটা খুবই জরুরী। শেষ সাক্ষাতে বসুন্ধরা কিংসকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল মোহনবাগান। যদিও অতিতের ফল নিয়ে বাড়তি মাথা ঘামাতে চান না ফেরান্দো।
এই মরশুমে বিদেশি ফুটবলারদের পাশাপাশি দারুন ছন্দে রয়েছেন সাহাল, থাপারা, যা মোহনবাগানের সাফল্যের পিছনে বড় ইউএসপি। এএফসি কাপের ম্যাচে ছয় বিদেশি খেলানোর সুযোগ থাকছে জুয়ান ফেরান্দোর কাছে। ফলে বসুন্ধরা কিংসকে বধ করতে দিমি, কামিংস, সাদিকু এবং হুগো বুমোসকে একই সাথে মাঠে দেখা গেলেও যেতে পারে। তবে কার্ড সমস্যায় রয়েছে হেক্টর ইউস্তা। ইতিমধ্যেই দুটি হলুদ কার্ড দেখে ফেলেছেন তিনি। আরও একটি হলুদ কার্ড দেখলে এক ম্যাচের জন্য নির্বাসনে চলে যেতে হবে বাগান রক্ষণের বিশ্বস্ত প্রহরীকে। তাই ইউস্তাকে দলে না রেখে শুধু হ্যামিলকে রক্ষণে রেখেই দল সাজাতে পারেন জুয়ান। যদিও এই বিষয় বাগান কোচের থেকে কোন নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। তবে বিজয়া দশমীর রাতে বাগান সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে মরিয়া সবুজ মেরুন ফুটবলাররা। উমার বিদায়ের কষ্ট বিজরিত ক্ষণে আরও একবার তরতরিয়ে এগিয়ে চলুক পাল তোলা নৌকা।