আইএসএল
ISL: একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট, জামশেদপুরের বিরুদ্ধে এক পয়েন্টেই খুশি থাকতে হল ইস্টবেঙ্গলকে
রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্কঃ পেন্ডুলামের মত দুলতে থাকা ম্যাচ শেষ হল গোলশূন্য ড্র হিসাবে। প্রথমার্ধের প্রথম কোয়ার্টার যদি লাল হলুদের হয়, তাহলে দ্বিতীয় কোয়ার্টারটি অবশ্যই জামশেদপুর এফসির। প্রথম ৪৫ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল যা সুযোগ পেয়েছিল তাতে এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে একের পর এক সুযোগ নষ্ট করলেন সিভেরিও টোরো। বাম প্রান্ত থেকে গোলের ঠিকানা লেখা পাস বাড়িয়েছিলেন মহেশ। কিন্তু সেই বলে গোল করতে ব্যর্থ হল সিভেরিও টোরো। জামশেদপুর রক্ষণে অনবদ্য খেললেন এলসিনো। একের পর এক লাল হলুদ আক্রমণ ভোঁতা হয়ে গেল এলসিনোর সামনে এসে।
সব থেকে সহজ সুযোগ টা চলে এসেছিল ম্যাচের ৪৩ মিনিটে। জামশেদপুর গোলরক্ষক টিপি রেহেনেশের তৎপরতায় ব্যাক টু ব্যাক শট বাধা পায়। বোরহা হেরেরা এবং নাওরেম মহেশের শট রুখে দিয়ে স্কোর লাইন অপরিবর্তিত রাখেন তিনি। তবে জামশেদপুর এফসি যে একেবারেই সুযোগ পায়নি তা কিন্তু নয়। ম্যাচের ৩৪ মিনিটের মাথায় প্রায় গোলমুখ খুলে ফেলেছিলেন নংডম্বা নাওরেম। বক্সের মধ্যে ডান প্রান্ত থেকে কাট করে ঢুকে পড়েছিলেন, শুধু শট নেওয়ার জায়গা পাননি।
প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ কমে যায় ইস্টবেঙ্গলের। একাধিক ফুটবলার পরিবর্তন করে ম্যাচের রাশ নিজেদের দিকে আনার চেষ্টা করেন কুয়াদ্রাত। তবে ফুটবলারদের ক্লান্তি কুয়াদ রাতের প্রচেষ্টায় জল ঢেলে দেয়। সেই সুযোগে বেশ কয়েকবার আক্রমণে উঠে আসে জামশেদপুর এফসি। প্রনয় হালদারের গোলমুখী শট দ্বিতীয় পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। ম্যাচের শেষ কোয়ার্টারে জ্বলে উঠেছিল জামশেদপুর। হাওকিপের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বিপদ ঘটেনি।
শেষ পর্যন্ত কোন পক্ষই গোল করতে না পারলেও প্রশ্ন থেকে গেল রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে। ম্যাচের অতিরিক্ত সময় ইমরানের উদ্দেশ্যে বাড়ানো বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ট্যাকেল করেন খাবরা। পেনাল্টির জোরালো আবেদন করেছিলেন জামশেদপুরের ফুটবলাররা। রেফারি সেদিকে কর্ণপাত করেননি। রেফারির আরও একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ধন্দ থেকে গেল। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহুর্তে জামশেদপুর এফসির ফুটবলার এমিল বেণিকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে সিদ্ধান্ত বদল করেন। হলুদ কার্ড দেখিয়ে তাকে আবার মাঠে ফিরত আনা হয়। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এত সাধারণ মানের রেফরিং কিন্তু চিন্তায় রাখবে প্রতিটি দলকে।