ফুটবল
ঘরের মাঠে অসহায় আত্মসমর্পণ, এএফসি কাপে স্বপ্নভঙ্গ মোহনবাগানের
রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: এ যেন অচেনা মোহনবাগান। জুয়ান ফেরান্দোর তত্বাবধানে সবুজ মেরুন ব্রিগেডের এমন ফুটবল বোধহয় আশা করেননি কোন মোহনবাগান সমর্থক। ম্যাচের শুরু থেকে চেনা ছন্দেই আক্রমণ করছিল মোহনবাগান। গোলও পেয়ে গিয়েছিল ১৭ মিনিটের মাথায়। লিস্টন কোলাসোর একক দক্ষতায় বাম প্রান্ত থেকে তুলে নিয়ে আসা বলে অনবদ্য গোল করেন হুগো বুমোস। এগিয়ে গিয়েই হঠাৎ যেন ম্যাচ থেকে হারিয়ে গেল মোহনবাগান। রক্ষণের ভুলে মাত্র দু’মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল হজম করে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। ৩০ মিনিটের মাথায় গোল করে ওড়িশা এফসিকে সমতায় ফেরান রয় কৃষ্ণা। চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই দিয়েগো মরিসিওর গোলে এগিয়ে যায় ওড়িশা এফসি।
প্রথমার্ধেই ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে খেলার ঝাঁঝ বাড়ালেও গোল পেতে সময় লেগে গেল অনেকটা। সুপার সাব হয়ে এলেন কিয়ান নাসিরি। হুগো বুমোসের দুর্দান্ত একটি ক্রস থেকে হেডে গোল করে ব্যবধান কমান কিয়ান। কিয়ানের গোলের পর আক্রমণে চাপ বাড়ায় মোহনবাগান। যদিও সুযোগ তৈরি করেও শেষ পর্যন্ত গোল করতে পারেননি সবুজ মেরুন ফুটবলাররা। সংযোজিত সময় পরপর দুটি গোল করে ৫-২ গোলে মোহনবাগানকে হারিয়ে পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখল সার্জিও লোবেরার দল। প্রথম কোয়ার্টারে যে ফুটবল খেলেছিল মোহনবাগান তার রেশ ধরে রাখতে পারলেই ওড়িশা এফসিকে হারিয়ে দিত পারত তারা। কিন্তু কোথাও যেন গোটা টিমটাই কোল্যাপ্স করে গেল আজ।
দিমিত্রি পেত্রাতস এবং মানবীরের না থাকাতেই বাড়তি সমস্যায় পড়ল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্ত হিসাবে কিয়ান নাসিরিকে জুয়ান ফেরান্দো নিয়ে এলেও, সুহেল বাটের অন্তর্ভুক্তি পার্থক্য গড়ে দিতে পারত। কিন্তু সুহেল যখন মাঠে এলেন তখন রেগুলেশন টাইমের দু’মিনিট বাকি। ওড়িশার বিরুদ্ধে হেরে এএফসি কাপের স্বপ্ন শেষ মোহনবাগানের। এই মরশুমে এএফসি কাপে ভালো ফল করার লক্ষ্য নিয়েই দল গড়েছিল মোহনবাগান। সামনেই আইএসএলে হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ। তার আগে আবার নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারবেন কী জুয়ান ফেরান্দো?