ফুটবল

কঠোর পরিশ্রমকেই সফলতার চাবিকাঠি বলছেন বালা দেবী

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: শুরু হয়েছে ২০২৪ মহিলা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। আর সেই প্রতিযোগিতায় ইতিমধ্যেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ৫-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ভারতের মহিলা ফুটবল দল। সেই ম্যাচে নিজের জীবনের ৫০তম আন্তর্জাতিক গোল করে নজির গড়েছেন ভারতের “গোল মেশিন” বালা দেবী। তবে কঠোর পরিশ্রমকেই মান্যতা দিচ্ছেন এই ফুটবলার।

শুধু গোলের জন্যই নয়, ২০২০ সালে প্রথম ভারতীয় মহিলা ফুটবলার হিসেবে ইউরোপের ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বালা দেবীর। তিনি যোগ দিয়েছিলেন স্কটিশ প্রিমিয়ার লিগের দল রেঞ্জার্স এফসির মহিলা দলে যার ফলে ভারতীয় ফুটবলে একটা ছাপ তিনি ইতিমধ্যেই রেখেছেন তা বলাই যায়। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে এএফসি অলিম্পিক কোয়ালিফায়ারসের দ্বিতীয় রাউন্ডে উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার পর, দীর্ঘ দশ মাস বাদে মহিলা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার জন্য জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন তিনি।

৫০তম গোলের মাইলফলকে পৌঁছনোর ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে, নিজের মনোভাব প্রকাশ করেছেন বালা দেবী। তিনি বলেন, “আমি খুবই গর্বিত আমার দেশের হয়ে ৫০টি গোল করতে পারে। সেই মুহূর্তটা আমার কাছে খুবই স্পেশাল ছিল”। ম্যাচের পর বালা দেবী তার এই স্মরণীয় গোলটি উৎসর্গ করেছেন তাঁর বাবার উদ্দেশ্যে। সেই ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, “আমি আজকে যা হয়েছি, তা শুধুমাত্র আমার বাবার দৌলতে। বল পায়ে লাগানো থেকে গোল করা সবটাই আমায় বাবা শিখিয়েছেন। সব সময় খেলাধুলোর সঙ্গে জুড়ে থাকতে আমার উৎসাহিত করেছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে সেসব কথা ভেবেই নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি আমি”।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খুব সুন্দর গোল করেছিলেন তিনি। সেই গোলের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বালা বলেন, “কোচ বরাবর আমাদের সেটপিসের উপর জোর দিয়েছেন। পরিস্থিতি বুঝে কেউ একজন সেই কিক টা নেবে। তবে সেই মুহূর্তে আমার মনে হয়েছিল আমি সেখান থেকে শট নিতে পারব। মনীষা আমায় এসে জিজ্ঞেস করেছিল যে আমি শট নেব কিনা। আমি তাকে বলি বল টা বাড়াতে আমি ডাইরেক্ট শট নেব এবং মনীষা খুব দারুন বল বাড়িয়েছিল এবং আমি সেই বল জলে জড়াতে সক্ষম হয়েছি”।

ইউরোপে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বালা দেবীর। ফলে ভারতীয় ফুটবল এবং ইউরোপের ফুটবলের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “রেঞ্জার্সে থাকাকালীন আমি অনেক কিছু শিখেছি। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল নিজেকে সুস্থ রাখা এবং পেশাদারিত্ব বজায় রাখা। ভারতের মহিলা ফুটবল দল যত দিন যাচ্ছে তত ভাল উন্নতি করছে এবং বিদেশে খেলার সুযোগও পাচ্ছে। এআইএফএফ আমাদের যথেষ্ট সহায়তা করছে এবং তার পাশাপাশি মহিলা ফুটবলাররাও যথেষ্ট পরিশ্রম করছে। এছাড়াও সমর্থকেরাও অনেক সমর্থন করেছে আমাদের। আশা রাখছি এরম সমর্থন পেলে আমরা আগামীতে আরও ভাল ফল করতে পারব”।

সর্বশেষে সমর্থকদের নিয়ে বার্তা দিতে বলা হলে তিনি বলেন, “আমাদের সমর্থন করুন। আপনারা আমাদের যত সমর্থন করবেন, আগামী দিনে এগিয়ে জেতে আমাদের ততটাই সুবিধে হবে”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version