আইএসএল

ISL 2023-24: ঘরের মাঠে গোয়ার কাছে লজ্জার হার মোহনবাগানের…

Published

on

সৌম্যজিৎ দে: ম্যাচ শুরুর আগেই তালটা কেটেছিল! বল নিয়ে অনুশীলন করার সময় একটি ট্যাকেল ঘিরে নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন মোহনবাগান আক্রমণভাগের দুই প্রধান ফুটবলার জেসন কামিন্স এবং আর্মন্দো সাদিকু। ম্যাচেও হয়তো তারই প্রভাব পড়ল এবং এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে একপেশে ম্যাচে ৪-১ গোলে হেরে গেল মোহনবাগান। এই নিয়ে চলতি আইএসএলে টানা দ্বিতীয় হারের মুখ দেখতে হল সবুজ মেরুন ব্রিগেডকে। এই হারের পরে ৯ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের চার নম্বরে নেমে গেল মোহনবাগান। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই খেলায় বেশি প্রাধান্য ছিল গোয়ার। ৮ মিনিটের মধ্যেই পেনাল্টি থেকে ম্যাচের প্রথম গোল তুলে নেয় এফসি গোয়া। বক্সের মধ্যে মনবীর সিং হাতে বল লাগলে রেফারি তৎক্ষণাৎ পেনাল্টি দেন। ওডেই সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি। এদিনের ম্যাচে লাল কার্ডের জন্য আশিস রাই, হেক্টর ইউস্তে, লিস্টন কোলাসো ছিলেন না। ম্যাচে তাদের অভাব ধীরে ধীরে আরও প্রকট হতে থাকে। ৩৬ মিনিটে দারুন একটি সুযোগ চলে আসে মোহনবাগানের সামনে। জেসন কামিন্স বল নিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে ফাঁকায় থাকা সাদিকুকে না বাড়িয়ে নিজেই গোলে মারেন কামিন্স। বল ওডেইয়ের পায়ে লেগে গোলরক্ষকের হাতে জমা হয়। ৪২ মিনিটে ভিক্টর রদ্রিগেজ গোয়ার হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে দেন। ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজের ভাসানো বল দারুণভাবে নিজের বুক দিয়ে কার্ল ম্যাকহিউয়ের উদ্দেশ্যে বক্সের মধ্যে নামিয়ে দেন ভিক্টর। ম্যাকহিউ সেই বল আবার দারুণভাবে ভিক্টরের উদ্দেশ্যে বাড়ালে, তিনি সহজেই তা বলে রাখেন। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে নিজেদের তৃতীয় গোলটি পেয়ে যায় গোয়ার দলটি। নোয়া বল নিয়ে বাঁদিক থেকে দারুণভাবে ঢুকে পড়েন মোহনবাগান বক্সে এবং নিজের স্কিল দিয়ে দীপক টাংরিকে বোকা বানিয়ে বল গোলে রাখেন। কিছুই করার ছিল না বাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইতের। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে মোহনবাগান ফ্রি-কিক পেলে প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে অনবদ্য গোল করে সবুজ মেরুন ব্রিগেডের হয়ে ব্যবধান কমান দিমিত্রি পেত্রাতস। তার এই একক দক্ষতায় গোল ছাড়া, গোটা মোহনবাগান দলকে প্রথমার্ধে পুরোপুরি নিস্প্রভ লাগে।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ৭ মিনিটের মধ্যেই গোলের ব্যবধান ফের বাড়িয়ে নেওয়ার বড় সুযোগ ছিল গোয়ার কাছে। ব্রেন্ডন দারুন একটি বল বাড়ান নোয়ার উদ্দেশ্যে। নোয়ার জোরালো শট দারুণ দক্ষতায় বিশাল বাঁচলেও বল ফের একবার নোয়ার কাছে এলে তিনি বাইসাইকেল কিকে গোল করার চেষ্টা করলেও তা অনেকটাই বাইরে দিয়ে চলে যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই দ্বিতীয়ার্ধে দুটি একসাথে পরিবর্তন করে মোহনবাগান। জেসন কামিন্স এবং মনবীর সিং বেরিয়ে যান ও হুগো বুমোস এবং সুহেল ভাট মাঠে আসনে। নির্ধারিত সময়ের শেষ কুড়ি মিনিট মোহনবাগানকে দশজনে খেলতে হয়। সবুজ মেরুন ব্রিগেডের পাঁচটি পরিবর্তন নেওয়া হয়ে যাওয়ার পরে ৭২ মিনিটের মাথায় চোট পেয়ে উঠে যেতে বাধ্য হন ব্রেন্ডন হ্যামিল। ফলে শক্তিশালী গোয়ার বিরুদ্ধে লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে যায় জুয়ান ফেরান্দো ব্রিগেডের। ৯০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ফের গোল পায় গোয়া। বক্সের মধ্যে বিপক্ষ ফুটবলারকে ফাউল করে বসেন অনিরুদ্ধ থাপা। তৎক্ষণাৎ পেনাল্টি দেন রেফারি। সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি মার্টিনেজ। ঘরের মাঠে সবুজ মেরুন ব্রিগেডের পরের ম্যাচ আগামী ২৭শে ডিসেম্বর কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version