Connect with us

ইস্টবেঙ্গল

মরশুমের প্রথম ট্রফি ঘরে তুলতে মরিয়া দুই প্রধান

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্কঃ একদিকে প্রতিশোধের লড়াই, অন্যদিকে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চ্যালেঞ্জ। কঠিন পরিক্ষার মুখোমুখি দুই স্প্যানিশ হেড স্যার। মরশুমের প্রথম ডার্বিতে মস্তিষ্কের লড়াইতে টেক্কা দিয়েছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। এবার কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে চাইবেন জুয়ান ফেরান্দো। ডার্বি মানেই মর্জাদার লড়াই, আর সেটা যখন ডুরান্ড কাপের ফাইনাল তখন তার গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। ১৯ বছর আগে শেষ বার ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতার দুই প্রধান। তখন অবশ্য শেষ হাসি হেসেছিল লাল হলুদ ব্রিগেড। এবার তথ্য বদলে ফেলার পালা। ডুরান্ড ট্রফি জয় দিয়ে বাগান জনতার মুখে হাসি ফোটাতে চাইবেন জুয়ান ফেরান্দো। এখনও পর্যন্ত দুটি দলই ১৬ বার করে ডুরান্ড কাপ জিতেছে। আজ যারা ট্রফি ঘরে তুলবে তারাই কিন্তু এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

শেষ ১০ দিনের মধ্যে ৪ টি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে হচ্ছে মোহনবাগানকে। সুতরাং, একটু হলেও ক্লান্ত জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল কিন্তু বেশ অনেকটা সময় বিশ্রাম পেয়েছে। ফাইনালের আগে নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। তবে ফাইনালে কার্ড সমস্যার জন্য মাঠে থাকতে পারবেন সৌভিক চক্রবর্তী। তিনি কিন্তু গত ডার্বিতে মাঝমাঠে অনেকটা দায়িত্ব নিয়েছিলেন। মোহনবাগানের সুবিধা, গোলের মধ্যে রয়েছেন কামিংস, সাদিকুরা। তবে ময়দানে একটা কথা প্রচলিত আছে “বড় ম্যাচে কেউ এগিয়ে থাকে না, সবটাই ৫০-৫০।” লাল হলুদ শিবিরে কিন্তু দীর্ঘদিনের ট্রফি খড়া চলছে। সুতরাং, ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররাও জমি ছেড়ে দেবেনা।

ইতিমধ্যেই ডার্বির টিকিট নিয়ে চলছে হাহাকার। প্রিয় দলের ম্যাচ দেখতে মাঠে আসতে চান সবাই। কিন্তু সমর্থকদের অভিযোগ সঠিকভাবে টিকিট বন্টন করছেনা ডুরান্ড কমিটি। এই নিয়ে শনিবার দুই প্রধানের সমর্থকেরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিবাদ করলেন। রবিবার শহরের সব রাস্তাই গিয়ে মিলবে যুবভারতী ক্রিড়াঙ্গনে। শহর কলকাতা ভাগ হবে দুই দিকে। সব কিছু মিলিয়ে ডার্বির উন্মাদনার পারদ কিন্তু চড়ছে। রবিবাসরীয় যুবভারতীতে একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখার অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা।

ইস্টবেঙ্গল

বেজে গেল ডুরান্ড কাপের দামামা

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: অলিম্পিক্সের আবহেই শুরু হচ্ছে ডুরান্ড কাপ, আসন্ন মরশুমের প্রথম সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপ শুরু হবে ২৭ জুলাই এবং চলবে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার ডুরান্ড কমিটির পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ডার্বি সহ তিন প্রধানের সব ম্যাচের টিকিট বন্টন নিয়ে বিস্তারিত ঘোষণা হল। ১৮ অগাস্ট ডুরান্ড কাপের ডার্বি। ইস্ট-মোহনের ডার্বি ম্যাচে দুই ক্লাবকে ৫ হাজার করে টিকিট দেওয়া হবে। পাশপাশি আইএফএকে দেওয়া হবে ১২০০ টিকিট। ডার্বি ছাড়াও যুবভারতীতে তিন প্রধানের খেলা থাকেলই একই সংখ্যক টিকিট বন্টন করা হবে। ২৭ জুলাই উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গল প্রথম ম্যাচে নামবে ২৯ জুলাই।

Continue Reading

ইস্টবেঙ্গল

নতুন মরশুমে মাঠ কাঁপাতে তৈরি ইমামি ইস্টবেঙ্গল

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: একদিকে সাউন্ড বক্সে বাজছে ইস্টবেঙ্গলের গান। অন্যদিকে, সিঁড়ি দিয়ে একের পর এক নেমে আসছেন লাল-হলুদ তারকারা। অভিনব কায়দায় আসন্ন মরশুমের দলকে প্রকাশ্যে আনলেন ইমামি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। এর আগে এমন দৃশ্য কলকাতা ফুটবল দেখেছে বলে মনে হয় না। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইমামি ইস্টবেঙ্গলের দুই কর্তা আদিত্য আগরওয়াল এবং বিভাস আগরওয়াল, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার এবং ক্লাব সচিব রূপক সাহা ছিলেন। এছাড়াও লাল-হলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতও উপস্থিত ছিলেন।

ইমামি ইস্টবেঙ্গলের এই গর্বের দিনে কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বললেন “সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। গত মরশুমে দলের সাফল্যটা ছিল সমর্থকদের কাছে একটা সারপ্রাইজ। কিন্তু এই বছর সমর্থকদের প্রত্যাশা বেড়েছে। আমরা আমাদের পূর্ণ শক্তি প্রস্তুত করছি। আমার কোচিং কেরিয়ারে ইস্টবেঙ্গল অন্যতম সেরা ক্লাব।”

ইমামি কর্তা আদিত্য আগারওয়াল বললেন “আমরা একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। সেই লক্ষ্যের দিকে আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের গৌরবময় অতিত ফিরিয়ে আনতে চাই আমরা। এই বছর অনেক শক্তিশালী দল গঠন করেছি আমরা। আশা রাখছি সাফল্য আসবেই।”

Continue Reading

ইস্টবেঙ্গল

সমর্থকদের ভালোবাসার মর্যাদা দেব: তালাল

Published

on

সৌমজিৎ দে: মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে তখন সবে ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলন শেষ হয়েছে। গাড়িতে বেরিয়ে গেছেন লাল-হলুদের হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত সহ বাকি সাপোর্ট স্টাফেরা। তারপরেই ধীরে ধীরে এগিয়ে আসতে দেখা গেল তাঁকে যার জন্য অধীর আগ্রহে অনুশীলনের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলেন বেশ কিছু ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। তিনি মাদিহ্ তালাল। হাসিমুখে মাঠ ছাড়ার সময় দাঁড়িয়ে থাকা সকল লাল-হলুদ সমর্থকদের সঙ্গে সেল্ফি তোলার পাশাপাশি, বেশ কিছু খুদের জার্সিতে সইও করলেন তিনি।

মঙ্গলবার প্রায় মধ্যরাতে কলকাতায় এসেও, এদিন বিকেলে মূল দলের সঙ্গে চুটিয়ে অনুশীলন করলেন তালাল। বিমানবন্দরে প্রচন্ড ভিড়ের কারণে কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলেও, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুশীলন শেষে রে স্পোর্টজের সঙ্গে একান্তে কথা বললেন লাল-হলুদের এই বিদেশি মিডফিল্ডার। তার কথা শুনে মনে হল বিমানবন্দরে পাওয়া দারুণ আতিথিয়তার ঘোর এখনও কাটেনি তালালের। তিনি বলেন,”আমি এমন অভ্যর্থনা কোথাও পাইনি। অত রাতেও এতজন মানুষ বিমানবন্দরে আমার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন। এই ভালোবাসা আমি কোনওদিন ভুলবো না। ওদের ভালোবাসার মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করব।”

এদিন অনুশীলনেও চূড়ান্ত ফিট লাগল এই ফরাসি প্লে-মেকারকে। সেই রহস্য ফাঁস করে তালাল নিজেই জানালেন,”আমি ফ্রান্সেও নিজের ফিটনেস ধরে রাখার জন্য নিয়মিত অনুশীলন করেছি। তাই জেট ল্যাগ থাকা সত্ত্বেও মাঠে নেমে পুরো অনুশীলন করলাম। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে নিজের সেরাটা দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য। এখন আমার প্রথম টার্গেট হল ডুরান্ড কাপ।” প্রসঙ্গত গত মরশুমে পঞ্জাব এফসির হয়ে নিজের শেষ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে অন্যতম বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তালাল। সেই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,”এখন আর ওসব মনে নেই। ওই ঘটনা আমার কাছে এখন অতীত। এবারে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে বাকিদের হারানোই আমার প্রধান লক্ষ্য।”

অন্যদিকে মঙ্গলবার অনুশীলনের শুরুতেই তালালকে বিশেষ অভ্যর্থনা জানান তাঁর নতুন সতীর্থরা। তারপরেই কিছুক্ষণ ফিজিকাল ট্রেনিং করে মূল দলের সঙ্গে জোরকদমে অনুশীলন শুরু করে দেন এই বিদেশি মিডফিল্ডার। সেট পিস থেকে বেশকিছু গোলও করতে দেখা যায় তাঁকে।

Continue Reading

Trending