ইস্টবেঙ্গল
সুপার সিক্সে গোলের বন্যা ইস্টবেঙ্গলের
রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্কঃ ম্যাচ নাকি হাইলাইট বোঝা দায়। চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই একের পর এক গোল করে গেলেন লাল হলুদের ফুটবলাররা। ৬ মিনিটের মাথায় গোলের খাতা খুলেছিল ইস্টবেঙ্গল, সেই ধারা বজায় থাকল ম্যাচের শেষ পর্যন্ত। ম্যাচের প্রথম ৪৫ মিনিটেই ইস্টবেঙ্গলের দুই ফুটবলার পিভি ভিষ্ণু এবং মোহিতোষ হ্যাট ট্রিক করলেন। ৬, ১০ এবং ৩৬ মিনিটে গোল করেন ভিষ্ণু। ৩৯, ৪৪ এবং ইঞ্জুরি টাইমে গোল করলেন মোহিতোষ রায়।
মোহিতোষ এবং ভিষ্ণু ফ্রি কিক থেকে দুটি দুর্দান্ত গোল করলেন। খিদিরপুরের প্রাপ্তি বলতে প্রদীপ পালের করা গোল। ম্যাচের বয়স যখন ৪৩ মিনিট ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষকের ভুলে গোল করে গেলেন প্রদীপ পাল। প্রথমার্ধেই ৬-১ গোলে এগিয়ে থেকে সাজঘরে গেলেন লাল হলুদের ফুটবলাররা। দ্বিতীয়ার্ধেও বজায় রইল ইস্টবেঙ্গলের গোল বৃষ্টি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নিজের চতুর্থ গোলটি করলেন পিভি ভিষ্ণু। সুহের ভিপি করলেন দুটি গোল এবং জেসিন টিকেও স্কোরশিটে নিজের নাম তুললেন।
প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও লাল হলুদ ফুটবলারদের গোলের খিদে বজায় রইল। গোটা ম্যাচ জুড়ে ইস্টবেঙ্গলের ১০ গোল। ১০-১ গোলে খিদিরপুরকে হারিয়ে নিজেদের গোল পার্থক্য বাড়িয়ে রাখল ইস্টবেঙ্গল। যেভাবে খেলে গেলেন লাল হলুদ ফুটবলাররা তাতে খিদিরপুরকে নিয়ে ছেলেখেলা করলই বলা যায়। প্রথমার্ধেই ম্যাচ জিতে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল, আর তাই দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একাধিক ফুটবলার পরিবর্তন করে নিজেদের শক্তি যাচাই করে রাখলেন বিনো জর্জ। খিদিরপুরের গোলরক্ষক অমিত মান্ডিকে পরিবর্তন করে শুভঙ্করকে নামানো হয়। তারপরেই ইস্টবেঙ্গলের গোল করার গতি কিছুটা হলেও কমে যায়। খাতায় কলমে এখনও লিগ জয়ের দৌড়ে টিকে আছে ইস্টবেঙ্গল। আর তাই গোল পার্থক্য বাড়িয়ে রেখে নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত করল বিনো জর্জের ছেলেরা।