ইস্টবেঙ্গল

ঘরের মাঠে ডায়মন্ড হারবার এফসিকে বিধ্বস্ত করল ইস্টবেঙ্গল

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্কঃ কলকাতা লিগের চ্যাম্পিয়ন ইতিমধ্যেই নির্ধারণ হয়ে গিয়েছে। তাই লিগ পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই লিগের জৌলুশও হারিয়েছে। যদিও মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের এখনও বেশ কিছু ম্যাচ বাকি। সোমবার ঘরের মাঠে ডায়মন্ড হারবার এফসির মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। লিগের গুরুত্ব না থাকলেও এই ম্যাচ গলিকে একেবারেই হালকা ভাবে নিচ্ছেনা লাল হলুদ টিম ম্যানেজমেন্ট। নিজেদের ডেরায় শক্তিশালী ডায়মন্ড হারবার এফসিকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে গোলের খাতা খোলে লাল হলুদ ব্রিগেড। জেসিন টিকের গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। গোল হজম করতেই পালটা আক্রমণ শুরু করে ডায়মন্ড হারবার। ৪২ মিনিটে আদিত্য পাত্রর অনবদ্য সেভ ইস্টবেঙ্গলের গোল দূর্গ অক্ষুণ্ণ রাখে।

যদিও খুব বেশিক্ষণ পিছিয়ে থাকতে হয়নি কিবু ভিকুনার দলকে। প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান রাহুল পাসোয়ান। সুপ্রতীপ বারুইয়ের সেন্টার থেকে গোল করেন রাহুল। দ্বিতীয়ার্ধের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে অনক আগেই ম্যাচ পকেটে পুরে ফেলতে পারত বিনো জর্জের ছেলেরা। কিন্তু দ্বিতীয়বার ম্যচে লিড নেওয়ার জন্য ইস্টবেঙ্গলক অপেক্ষা করতে হল ৫৮ মিনিট পর্যন্ত। ডান প্রান্ত থেকে রোশাল সিং যখন বল নিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকছিলেন তখন তাকে অবৈধ ভাবে ফাউল করে বসেন পাপুইয়া। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিতে এক মুহুর্ত দেরি করেননি রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে দ্বিতীয় বারের জন্য এগিয়ে দেন মোহিতোষ রায়। এরপর যে ডায়মন্ড হারবার এফসি একেবারেই ম্যাচে ফেরার সুযোগ পায়নি সেটা বললে ভুল হবে।

৭৩ মিনিটের মাথায় রাহুল পাসোয়ানের হেড ক্রসবারে না লাগলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতেই পারত। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে খুব ধীর গতির ফুটবল খেলতে শুরু করন লাল হলুদ ফুটবলাররা। ঠিক সময় বল জাল জড়াতে না পারলে চাপে পড়তেই পারতেন বিনো জর্জ। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে তৃতীয় এবং চতুর্থ গোলটি করলেন তুহিন দাস এবং অভিষেক কুঞ্জাম। গোল দুটি এল যথাক্রমে ৭৮ এবং ৯০ মিনিটে। গোটা দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে খুব অগোছালো ফুটবল খেললেন লাল হলুদের ফুটবলাররা। যদিও শেষ পর্যন্ত তিন পয়েন্ট নিয়ে হাসি মুখে মাঠ ছাড়লেন ইস্টবেঙ্গল কোচ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version