Connect with us

ইস্টবেঙ্গল

সমর্থকদের সুবিধার কথা ভেবে একই রাস্তায় হাঁটল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্কঃ প্রতিটি দলের সমর্থকেরা তাদের ১২ তম সদস্য। রোদে পুরে, জলে ভিজে নিজের প্রিয় দলকে সমর্থন করতে গলা ফাটায় তারাই। আর তাদের জন্য ক্লাব ভাববেনা সেটা কী হয়? আসন্ন ইন্ডিয়ান সুপার লীগ ২০২৩ – ২৪ মরশুমে ইস্টবেঙ্গল এফসি’র প্রায় প্রতিটি হোম ম্যাচ সল্টলেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে শুরু হবে রাত ৮ টা থেকে, আর শেষ হতে প্রায় রাত ১০ টা বাজবে I হাজার হাজার সভ্য সমর্থকেরা বহু দূর দূরান্ত থেকে স্থানীয় পরিবহনের মাধ্যমেই আসেন খেলা উপভোগ করতে এবং প্রিয় দলকে সমর্থন করতে I সেখানে একদিকে যেমন কম বয়সীরা থাকেন, তেমনই বহু বৃদ্ধ মানুষ, মহিলা এমন কি অনেক শিশুরাও আসেন খেলা দেখতে। রাত ১০ টায় ম্যাচ শেষ হলে স্বাভাবিক ভাবেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তাদের ফিরে যেতে যে প্রচণ্ড অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে, সেটা কল্পনারও অতীতI

সভ্য সমর্থকদের এই অসুবিধার কথা চিন্তা করে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব আজ পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় পরিবহন মন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে সমগ্র পরিস্থিতির বিষয়টি ব্যক্ত করেছে। মাননীয় পরিবহন মন্ত্রীকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে ম্যাচ শেষের পর সভ্য সমর্থকদের যাতে বাড়ি ফিরতে অসুবিধে না হয়, সেইজন্য যুবভারতী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নিম্নলিখিত স্থান গুলিতে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট সংখ্যক পরিবহনের ব্যাবস্থা রাখতেI
(এসপ্ল্যানেড, উল্টোডাঙা, গাড়িয়া, বেহালা, বারাসাত, শিয়ালদাহ স্টেশন, হাওড়া স্টেশন) এই সামগ্রিক বিষয়টি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছেও ব্যক্ত করেছে।

আইএসএল

ISL 2024/25: প্লেঅফ খেলা নিয়ে এখনও আশাবাদী বিনো জর্জ

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ইতিমধ্যেই আইএসএলে টানা চার ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গল দলকে। কার্লেস কুয়াদ্রাতের চলে যাওয়ার পর দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ বিনো জর্জ। তার তত্ত্বাবধানে শনিবার জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ভালো ফুটবল খেলেও ২-০ গোলে ম্যাচ হারতে হয় লালহলুদ ফুটবলারদের। তারই মাঝে খেলার শেষে ইতিবাচক বার্তা দিলেন ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান কোচ বিনো জর্জ।

দলের টানা চতুর্থ ম্যাচে হারের পরেও বিনো জর্জ বলছেন, “আমার দলের প্রতি আমার পূর্ণ ভরসা রয়েছে। এবং আমি আশাবাদী দল ঘুরে দাঁড়াবেই”। এমনিতেই অজস্র গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছে তার দল। সাউল ক্রেস্পো পেনাল্টি মিস করেন। অপরদিকে ক্লেইটন সিলভা এবং রক্ষণের খেলোয়াড় হেক্টর ইউস্তের শট বাড়ে লাগায়, সেই গোল থেকেও বঞ্চিত হয় তাঁরা। ম্যাচের শুরুতেই রেই তাচিকাওয়ার দূরপাল্লা শটে এবং দ্বিতীয়ার্ধে লালচাংনুংগার আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে তাঁর দল। তবে তিনি মনে করছেন সুযোগের সদ্ব্যবহার না করতে পারাতেই ম্যাচ থেকে হেরে ফিরতে হয় তাদেরকে।

তিনি বলেন, “জামশেদপুর ভালো ফুটবল খেলেছে। তবে তাঁরা তাদের সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে। ম্যাচে তারা যেই দুটো সুযোগ পেয়েছে সেই দুটো থেকেই গোল তুলে নিতে পেরেছে তাঁরা। তবে আমরা আজকে যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলেছি। বলের উপরে দখলও আমাদের অন্য ম্যাচের তুলনায় এই ম্যাচে বেশি ছিল। তবে হ্যাঁ, পয়েন্টটা দরকার যেটা আমরা পাইনি আজকের ম্যাচে”। অপরদিকে তিনি আরও বলেছেন, “ভাগ্যও একটা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। পেনাল্টি মিস করা, গোলের বল বাড়ে লাগা তার পাশাপাশি জামশেদপুর গোলরক্ষকও কিছু দারুন সেভ করেন। তবে আমরা যদি পেনাল্টি থেকে গোল করে দিতে পারতাম তাহলে আমরা ম্যাচে ফিরে আসতে পারতাম”।

তিনি আরও বলেন, “বাকি তিনটে ম্যাচের তুলনায় আমরা যথেষ্ট ভালো ফুটবল খেলেছি এবং আমি ১০০% আশাবাদী যে আমাদের দল এবারে প্রথম ছয়ে শেষ করবেই”। এছাড়াও কলকাতা লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতা জেসিন টিকে দলে থাকা সত্ত্বেও তাকে না খেলানো নিয়ে বিনো জর্জকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “জেসিনের এখন বয়স কম। আমাদের এটা বুঝতে হবে কলকাতা লীগ এবং আইএসএলের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। তাই ওকে আরও সময় দিতে হবে নিজেকে এই মঞ্চে খেলার উপযুক্ত করে তোলার জন্য। তাছাড়াও আমাদের দলে অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা রয়েছে যারা এই চাপের মুহূর্তে ম্যাচের রঙ পরিবর্তন করতে জানেন”।

Continue Reading

আইএসএল

ISL 2024/25: অজস্র গোল মিসের খেসারত দিতে হল ইস্টবেঙ্গলকে

Published

on

নিজস্ব প্রতিনিধি, জামশেদপুর: বিনো জর্জের তত্ত্বাবধানে ভাল ফুটবল খেললেও বহু প্রত্যাশিত পয়েন্ট থেকে আজও বঞ্চিত রইল ইস্টবেঙ্গল। অজস্র গোলের সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে ব্যর্থ হন ক্লেইটন-তালালরা। আর সেই মিসের খেসারতই দিতে হল তাদের। আইএসএলে টানা চার ম্যাচে হারের মুখ দেখল লাল-হলুদ ব্রিগেড। অপরদিকে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ২-০ গোলে ম্যাচ জিতল খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসি। এর ফলে লিগ টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এল রেড মাইনার্সরা।

এদিন ম্যাচের ১০ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন ইস্টবেঙ্গলের মাঝ মাঠের ফুটবলার মাদিহ তালাল। প্রভাত লাকড়ার বাড়ান বল অল্পের জন্য বার ঘেষে চলে যায় বাইরে। তার পরেও মুহুর্মুহু আক্রমণ চালায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ১৫ মিনিটে জর্ডান মারের নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক দেবজিত মজুমদার। ম্যাচের শুরু থেকেই বলের উপর আধিপত্য রেখেই ফুটবল খেলছিল গোটা ইস্টবেঙ্গল দল। কিন্তু ম্যাচের গতির বিপরীতে গিয়েই ২০ মিনিটে, বক্সের বাইরের দূরপাল্লা শটে বল জালে জড়িয়ে দেন রেই তাচিকাওয়া। ম্যাচের ৩১ মিনিটে সহজ একটা সুযোগ বার উঁচিয়ে বাইরে মেরে বসেন ক্লেইটন সিলভা। আবারও ৩৫ মিনিটে সহজ গোল মিস করেন সেই ক্লেইটন সিলভা। ৪৪ মিনিটে গোল রক্ষককে একা পেয়ে গিয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন নন্দকুমার সেকার। অজস্র গোল মিসের কারণে প্রথমার্ধ শেষে ০-১ গোলে পিছিয়ে থাকে লাল-হলুদ ব্রিগেড।

আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধের খেলা। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে প্রায় গোলমুখ খুলে ফেলেছিল জামশেদপুর। ইমরানের ভাসানো ক্রস সরাসরি গিয়ে লাগে পোস্টে। ৬৩ মিনিটে বক্সের ভেতরে পেনাল্টি আদায় করে নেন ক্লেইটন সিলভা। কিন্তু পেনাল্টি মিস করেন সউল ক্রেস্পো। ৬৫ মিনিটে ক্লেইটনের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। কোনভাবেই গোলমুখ খুলতে পারছিলেণ না লাল-হলুদ ফুটবলাররা। তারই মধ্যে ম্যাচের ৭০ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে বসেন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার লালচুংনুঙ্গা। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় জামশেদপুর এফসি। তার পরেও বেশ কয়েকটা সুযোগ হাতছাড়া করে ইস্টবেঙ্গল। মাদিহ তালালের একটি দুরন্ত শট সেভ করেন জামশেদপুর গোলরক্ষক অ্যালবিনো গোমজ। তারপরে ইস্টবেঙ্গলের পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে আসা পিভি বিষ্ণু এবং আমান সিকেও অনেক চেষ্টা করেও গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ হন। অবশেষে ০-২ গোলে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় বিনো জর্জের দলকে।

Continue Reading

আইএসএল

ISL 2024/25: নিজের দল নিয়ে আশাবাদী বিনো

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ইতিমধ্যেই কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন লাল-হলুদের হেড স্যার কার্লেস কুয়াদ্রাত। তার পরিবর্তে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বিনো জর্জ। তার তত্ত্বাবধানেই শনিবার জেআরডি টাটা স্পোর্ট কমপ্লেক্সে, শক্তিশালি জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল।

বিনো জর্জের তত্ত্বাবধানেই কলকাতায় তিনদিন অনুশীলন করে জামশেদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল দল। শক্তিশালী জামশেদপুরের বিরুদ্ধে পয়েন্ট পেতে মরিয়া বিনো। ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, “দলের ফুটবলারদের ওপর আমার সম্পুর্ণ ভরসা আছে। তাঁরা যথেষ্ট ভাল মানের ফুটবলার। এটা ঠিক যে গত তিনটি ম্যাচে আমরা ভাল ফল করতে পারিনি। তবে আমি জানি আমার ছেলেরা ঘুরে দাঁড়াতে জানে এবং তারা সেটা করবেও। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, একটা ম্যাচ জিতলেই ইস্টবেঙ্গল আবারও ছন্দে ফিরবে। আমাদের কাজ হল দলের ফুটবলারদের উজ্জীবিত করা এবং ওদের থেকে সেরাটা বের করে আনা”।

টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পরেও বিনো মনে করেন এই লিগে এখনও অনেকটা পথ যাওয়া বাকি রয়েছে। তিনি বলেছেন, “আইএসএল একটা লম্বা লিগ। এখনও ২১টা ম্যাচ বাকি রয়েছে আমাদের। আমরা এই বছর একটা ভাল দল তৈরি করেছি এবং ফুটবলাররাও নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি করছে। আমরা আশা করি, জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ভালো ফুটবল খেলব এবং ম্যাচটা জিতব।” তার পাশাপাশি সমর্থকদেরও দলের পাশে থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন বিনো। তিনি বলছেন, “সমর্থকেরা সবসময়েই আমাদের পাশে থেকেছেন। তার জন্য সমর্থকদের অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে সমর্থকদের বলব জামশেদপুরে এসে মাঠ ভরাতে। আমরা আমাদের একশো শতাংশ দেব”। এবারে দেখার জামশেদপুর থেকে পুরো তিন পয়েন্ট নিয়ে কলকাতায় ফিরতে পারে কিনা সউল ক্রেসপো, মাদিহ তালাল, ক্লেইটন সিলভারা।

Continue Reading

Trending