Connect with us

আইএসএল

ISL 2024/25: নিদেজের “ফেভারিট” মানতে নারাজ মোলিনা

Published

on

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাত পোহালেই আইএসএলের কলকাতা ডার্বি। যদিও প্রথম বড় ম্যাচে নামার আগে ধারে-ভারে অনেকটাই এগিয়ে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ফর্মের বিচারেও এগিয়ে রয়েছে মোলিনার দল। তবে ডার্বি যে সবসময়ই পঞ্চাশ-পঞ্চাশ, তা মানছেন বাগান হেড কোচ মোলিনা। এদিন ডার্বির আগে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হলেন হোসে মোলিনা এবং দলের অধিনায়ক শুভাশিস বসু।

পুজোর আগে মহামেডানকে অনায়াসে হারিয়েছে মোহনবাগান। তাছাড়া সাম্প্রতিক ইস্টবেঙ্গলের ফর্ম খুব একটা ভাল যাচ্ছে না। টানা চার ম্যাচে হার স্বীকার করেছে তারা। সেই বিষয়ে মোলিনাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “অতীতে কী হয়েছে, তা নিয়ে আর ভাবতে চাই না আমি। আমাদের জিততে হলে আগামীকাল ভাল করতে হবে। ডার্বি সবসময় পঞ্চাশ-পঞ্চাশ। এখানে কেউ এগিয়ে থাকে না। তবে আমরা ভাল খেলছি সেই আত্মবিশ্বাসটা আমাদের কাজে লাগবে।” অপরদিকে সমর্থকদের চাহিদা সম্পর্কেও অবগত মোলিনা। এছাড়াও চাইছেন দলের ফুটবলাররা যেন ম্যাচটা উপভোগ করে খেলেন। সেই বিষয়ে তিন বলছেন, “সমর্থকদের এবং আমাদের, সকলেরই লক্ষ্য ম্যাচ জেতা। তবে ডার্বি ম্যাচে জিততে হলে আমাদের পুরো নব্বই মিনিট অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হবে। এছাড়াও এটা আমার প্রথম ডার্বি এবং আমি এই ডার্বি উপভোগ করতে চাই। আমি চাই খেলোয়াড়রাও তাই করুক। আমরা জয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, প্রতিপক্ষকে নিয়ে বেশি ভাবতে চাইছি না।”

দল নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “গত ম্যাচে ম্যাকলারেন ও গ্রেগ গোল পেয়েছে এবং তার পাশাপাশি ডিফেন্সের প্লেয়াররাও গোল পাচ্ছে এবং ভাল ফুটবল খেলছে।” দিমির খেলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “দিমি যদি প্রথম একাদশে নাও থাকে, তাহলেও ওর মধ্যে ক্ষমতা রয়েছে বেঞ্চ থেকে এসে ম্যাচের রং বদলে দেওয়ার।” এছাড়াও চোট থেকে ফিরে আসা আশিককে নিয়েও কথা বলেছেন হেড কোচ মোলিনা। তিনি বলেছেন, “আশা করছি আশিক দ্রুত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবেন। ডার্বি ম্যাচে ওকে পাওয়া গেলেও, ও ম্যাচে খেলার জন্য এখনও পুরোপুরি তৈরি নয়।” চোট থাকলেও ডার্বিতে ভাল ফুটবল খেলতে মরিয়া থাকবে দলের বাকি ফুটবলাররা। অপরদিকে সমর্থকদের প্রত্যাশাও থাকবে জয় দিয়েই ডার্বি শেষ করার।

আইএসএল

ISL 2024/25: ডার্বিকেই ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচ হিসেবে দেখছেন বিনো জর্জ

Published

on

নিজস্ব প্রতিনিধি: এর আগে বাতিল করা হয়েছিল ডুরান্ড কাপের ডার্বি। ফলে এই মরশুমে প্রথমবারের জন্য মুখোমুখি হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। আগামীকাল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডার্বি ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার আগে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এলেন ইস্টবেঙ্গল দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ বিনো জর্জ এবং অধিনায়ক সাউল ক্রেসপো।

আইএসএলে ইতিমধ্যেই কলকাতা ডার্বির পারদ চড়ছে। মরসুমের প্রথম বড় ম্যাচ নিয়ে ইস্ট-মোহন সমর্থকেদের উত্তেজনা তুঙ্গে। যদিও আইএসএলের পয়েন্ট টেবিলে নজর রাখলে দেখা যাবে, একদম তলানিতে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। আর চার নম্বর স্থানে রয়েছে মোহনবাগান। ইতিমধ্যেই কার্লেস কুয়াদ্রাত জামানা শেষ হয়েছে লাল-হলুদে। এখন দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন কোচ বিনো জর্জ। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতা লিগের ডার্বি নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কলকাতা লিগে আমার কোচিংয়ে মোহনবাগানকে হারিয়েছি। তবে আইএসএল এবং কলকাতা লিগের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। তবে ডার্বি জিতে তিন পয়েন্ট পেতে আমরাও মুখিয়ে রয়েছি”। অপরদিকে ইস্টবেঙ্গলের নবনিযুক্ত কোচের ব্যাপারে বিনোকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “প্রতিদিন কোচের সঙ্গে দলের ব্যাপারে আলোচনা হয়। সেই মত করেই অনুশীলনও হয়েছে। তিনি নিজেও মুখিয়ে রয়েছেন দলের সঙ্গে যুক্ত হতে। আমরাও তৈরি জিততে। এবারে দেখা যাক আগামীকাল মাঠে কী হয়”।

এছাড়া বিনো জর্জের তত্ত্বাবধানে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “শেষ ম্যাচে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে আমরা যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলেছি। অনেক আক্রমণের পরেও গোল আসেনি। এটাই ফুটবল। আমরা যদি গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারতাম, তাহলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হত”।

অপরদিকে ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক সউল ক্রেসপোকে ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এই মরশুম আইএসএলে আমাদের প্রথম তিন পয়েন্ট প্রয়োজন। তাই এই ম্যাচে পুরো ফোকাস করছি”। অপরদিকে মোহনবাগান দল নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “আমরা নিজেদের খেলায় ফোকাস করছি। ওদের আক্রমণভাগ সম্পর্কে আমরা জানি। তবে আমাদের দলে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা সকলেই মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলেছে। তাই আমরা ভালো ফুটবল খেলতে পারলে অবশ্যই তিন পয়েন্ট অর্জন করতে পারব”। এবারের আইএসএলে পয়েন্ট তালিকায় সবার শেষে থাকলেও ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া লাল-হলুদ ব্রিগেড। এবারে দেখার শনিবারের কলকাতা ডার্বি জিতে জয়ের সরণিতে ফিরতে পারে কিনা ইস্টবেঙ্গল।

Continue Reading

আইএসএল

ISL 2024/25: প্লেঅফ খেলা নিয়ে এখনও আশাবাদী বিনো জর্জ

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ইতিমধ্যেই আইএসএলে টানা চার ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গল দলকে। কার্লেস কুয়াদ্রাতের চলে যাওয়ার পর দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ বিনো জর্জ। তার তত্ত্বাবধানে শনিবার জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ভালো ফুটবল খেলেও ২-০ গোলে ম্যাচ হারতে হয় লালহলুদ ফুটবলারদের। তারই মাঝে খেলার শেষে ইতিবাচক বার্তা দিলেন ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান কোচ বিনো জর্জ।

দলের টানা চতুর্থ ম্যাচে হারের পরেও বিনো জর্জ বলছেন, “আমার দলের প্রতি আমার পূর্ণ ভরসা রয়েছে। এবং আমি আশাবাদী দল ঘুরে দাঁড়াবেই”। এমনিতেই অজস্র গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছে তার দল। সাউল ক্রেস্পো পেনাল্টি মিস করেন। অপরদিকে ক্লেইটন সিলভা এবং রক্ষণের খেলোয়াড় হেক্টর ইউস্তের শট বাড়ে লাগায়, সেই গোল থেকেও বঞ্চিত হয় তাঁরা। ম্যাচের শুরুতেই রেই তাচিকাওয়ার দূরপাল্লা শটে এবং দ্বিতীয়ার্ধে লালচাংনুংগার আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে তাঁর দল। তবে তিনি মনে করছেন সুযোগের সদ্ব্যবহার না করতে পারাতেই ম্যাচ থেকে হেরে ফিরতে হয় তাদেরকে।

তিনি বলেন, “জামশেদপুর ভালো ফুটবল খেলেছে। তবে তাঁরা তাদের সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে। ম্যাচে তারা যেই দুটো সুযোগ পেয়েছে সেই দুটো থেকেই গোল তুলে নিতে পেরেছে তাঁরা। তবে আমরা আজকে যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলেছি। বলের উপরে দখলও আমাদের অন্য ম্যাচের তুলনায় এই ম্যাচে বেশি ছিল। তবে হ্যাঁ, পয়েন্টটা দরকার যেটা আমরা পাইনি আজকের ম্যাচে”। অপরদিকে তিনি আরও বলেছেন, “ভাগ্যও একটা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। পেনাল্টি মিস করা, গোলের বল বাড়ে লাগা তার পাশাপাশি জামশেদপুর গোলরক্ষকও কিছু দারুন সেভ করেন। তবে আমরা যদি পেনাল্টি থেকে গোল করে দিতে পারতাম তাহলে আমরা ম্যাচে ফিরে আসতে পারতাম”।

তিনি আরও বলেন, “বাকি তিনটে ম্যাচের তুলনায় আমরা যথেষ্ট ভালো ফুটবল খেলেছি এবং আমি ১০০% আশাবাদী যে আমাদের দল এবারে প্রথম ছয়ে শেষ করবেই”। এছাড়াও কলকাতা লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতা জেসিন টিকে দলে থাকা সত্ত্বেও তাকে না খেলানো নিয়ে বিনো জর্জকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “জেসিনের এখন বয়স কম। আমাদের এটা বুঝতে হবে কলকাতা লীগ এবং আইএসএলের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। তাই ওকে আরও সময় দিতে হবে নিজেকে এই মঞ্চে খেলার উপযুক্ত করে তোলার জন্য। তাছাড়াও আমাদের দলে অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা রয়েছে যারা এই চাপের মুহূর্তে ম্যাচের রঙ পরিবর্তন করতে জানেন”।

Continue Reading

আইএসএল

ISL 2024/25: স্টুয়ার্ট জাদুতে ডার্বির রঙ সবুজ-মেরুন

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: দীর্ঘ অনেক বছর বাদে কলকাতা ডার্বিতে আবারও মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান এবং মহামেডান। ডার্বিকে ঘিরে দুই দলের সমর্থকদের উন্মাদনাও ছিল আকাশছোঁয়া। সেই ডার্বিতেই সাদা-কালো ব্রিগেডকে ৩-০ গোল উড়িয়ে দিল মোহনবাগান। গ্রেগ স্টুয়ার্টের অনবদ্য একটি গোল এবং জোড়া অ্যাসিস্টে, সমর্থকদের পুজোর আগে ডার্বি জয় উপহার দিলেন তিনি। গোল পেলেন জেমি ম্যাকলারেন এবং শুভাশিস বসুও।

দুই দলই প্রথম থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করে। কিন্তু ম্যাচের ৭ মিনিটেই গোল পেয়ে যান অস্ট্রেলিয়ান তারকা জেমি ম্যাকলারেন। দুরন্ত হেডে পদম ছেত্রীকে পরাস্ত করে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। তারপর ম্যাচের ১২ মিনিটে একটি দুরন্ত শটে মহামেডান গোলরক্ষককে পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। তারপরেও মোহনবাগান বহুবার আক্রমণ তুলে আনতে থাকে মহামেডান রক্ষণে। আবারও ম্যাচের ২১ মিনিটে জেমি ও লিস্টনের যুগলবন্দিতে প্রায় দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যাচ্ছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ম্যাচের ২৮ মিনিটে আশিস রাইয়ের বাড়ানো বল থেকে নিজের এবং দলের দ্বিতীয় গোলটি প্রায় তুলে ফেলেছিলেন জেমি ম্যাকলারেন। তার পরেই ফ্রি-কিক পায় মোহনবাগান। সেই ফ্রি-কিক থেকে ম্যাচের ৩১ মিনিটে গ্রেগ স্টুয়ার্টের ভাসানো বল থেকে হেড দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন দলের অধিনায়ক শুভাশিস বসু। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে আবারও গোল পায় মোহনবাগান। গ্রেগ স্টুয়ার্টের অসামান্য শটে পরাস্ত হন মহামেডান গোলরক্ষক। মাঝে মধ্যে সাদা-কালো ফুটবলাররাও আক্রমণে উঠে আসলেও গোল তুলতে পারেননি তাঁরা। আবারও প্রথমার্ধের শেষের দিকে গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন ম্যাকলারেন, কিন্তু তাঁকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয় মহামেডান রক্ষণের ফুটবলাররা। প্রথমার্ধে সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের দুরন্ত ফুটবলে ৩-০ গোল এগিয়ে থাকে হোসে মোলিনার দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফ্রাঙ্কার জায়গায় কোচ মাঠে আনেন মানজোকিকে। তবুও শুরু থেকে আক্রমণের ধার বেশিই থাকে মোহনবাগানের। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বেশ আক্রমণাত্মক মেজাজেই ফুটবল খেলতে দেখা যায় মহামেডান ফুটবলারদের। বেশ কয়েকবার সবুজ-মেরুন রক্ষণে ঢুকে পড়েন কাসিমভ, মানজোকিরা। তবে গোল তুলে আনতে ব্যর্থ হন তাঁরা। অপরদিকে ম্যাচের ৬৩ মিনিটে, লিস্টন কোলাসোর শট রুখে দেন মহামেডান রক্ষণের খেলোয়াড়রা। ৭৮ মিনিটে প্রায় গোল পেয়ে যাচ্ছিল মহামেডান। আলেক্সিসের বাড়ানো বল থেকে বিকাশের শট অল্পের জন্য বার উঁচিয়ে চলে যায়। অপরদিকে ম্যাচের ৮০ মিনিটে, বহুদিন পর চোট সরিয়ে আবারও মোহনবাগান জার্সি পরে মাঠে নামেন আশিক কুরুনিয়ান। এবং নেমেই ম্যাচের সংযোজিত সময়ে প্রায় গোলের সুযোগ তৈরি করে ফেলেছিলেন তিনি। তবে ব্যবধান আর বাড়েনি। অবশেষে ৩-০ গোলে মহামেডানকে হারিয়ে মরসুমের প্রথম কলকাতা ডার্বি জয় সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের।

Continue Reading

Trending