ফুটবল

Super Cup 2024: পিছিয়ে থেকে ইস্টবেঙ্গলকেই ফেভারিট মানছেন ক্লিফোর্ড মিরান্ডা

Published

on

সৌমজিৎ দে, ভুবনেশ্বর: লড়াইটা হতে পারত হাবাস বনাম কুয়াদ্রাত, দুই ক্ষুরধার মস্তিষ্কের লড়াই। কিন্তু কোচ হিসাবে হাবাসের নাম রেজিষ্ট্রেশন না হওয়ায় শুক্রবার মেগা ডার্বিতে ডাগ আউটে বসবেন ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। রাত পোহালেই ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে কলকাতার দুই হেভিওয়েট দল। এটি মরশুমের তৃতীয় ডার্বি। দু’পক্ষই একটি করে ডার্বি জিতেছে। ফলাফল এখন ১-১। তাই মরশুমের তৃতীয় ডার্বি জিতে এগিয়ে যেতে চাইছে দুই দল। জুয়ান ফেরান্দোর ছাঁটাইয়ের পর ক্লিফোর্ড মিরান্ডার তত্ত্বাবধানেই ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে সুপার কাপ খেলতে গিয়েছে মোহনবাগান। দুটি ম্যাচ জিতলেও দলের যা অবস্থা তাতে পিছিয়ে থেকেই ডার্বি খেলতে নামবে মোহনবাগান। প্রথম একাদশের প্রায় ৯ জন ফুটবলারকে ছাড়াই মাঠে নামছে মোহনবাগান। লম্বা তালিকা। শুভাশিস বসু, বিশাল কেইথ, লিস্টন কোলাসো, সাহাল আব্দুল সামাদ, অনিরুদ্ধ থাপা, দীপক টাংরি, মনবীর সিংরা রয়েছেন দোহায়। এখানেই শেষ নয়, আশিক কুরুনিয়ান এবং আনোয়ার আলি চোটের জন্য মাঠে নামতে পারছেন না। যা অবস্থা তাতে না থাকা ফুটবলারদের নিয়েও একটা দল নামিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

এমতবস্থায় যে কোন দলই গুটিয়ে থেকে মেগা ডার্বি খেলতে নামার কথা। কিন্তু সবুজ-মেরুনের দায়িত্বে থাকা ক্লিফোর্ড মিরান্ডা কিন্তু ডার্বির আগে কিছুটা মাইন্ড গেম খেলছেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ক্লিফোর্ড পরিষ্কার স্বীকার করলেন এই ডার্বি ইস্টবেঙ্গল না জিতলে তিনি অবাক হবেন। পরিস্থিতির নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তবে এটা ডার্বি। এখানে কোন অঙ্ক খাটে না। সুপার কাপের পরের রাউন্ডে পৌঁছাতে হলে জিততেই হবে মোহনবাগানকে। সুপার কাপের প্রথম দুই ম্যাচেই গোল হজম করতে হয়েছে বাগান রক্ষণকে। তবুও ডার্বির আগে ক্লিফোর্ড মিরান্ডা বললেন “রক্ষণ নিয়ে আমি চিন্তিত নই। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ডার্বি জিততে হলে আমাদের সবটা গুছিয়ে মাঠে নামতে হবে। তার মধ্যে রক্ষণ একটা বিশেষ অংশ।” তবে ক্লিফোর্ড মানছেন এই দল নিয়েও ডার্বি জেতা সম্ভব। পরিকল্পনা মাফিক ফুটবল খেলে আগামীকাল ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ডার্বি জিতেই মোহনবাগান মাঠ ছাড়বে বলে তার বিশ্বাস। তবে ডাগ আউটে না থাকলেও গ্যালারিতে উপস্থিত থাকবেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। হাবাসের অন্তর্ভুক্তি দলের মনোবল ফিরিয়ে আনবে বলেই বিশ্বাস ক্লিফোর্ডের। তিনি আরও বললেন “দল এখন একটা ট্রাঞ্জিশন পিরিয়ডের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সময় দিতে হবে।”

ক্লিফোর্ড মিরান্ডা মনে করছেন দলের প্রতিটি ফুটবলার ৯০ মিনিট লড়াই করছে। আর সেই কারণেই গত ম্যাচে ৯৩ মিনিটে গিয়ে জয়সূচক গোলটি পেয়েছে মোহনবাগান। তাই পিছিয়ে থাকলেও আশা ছাড়তে নারাজ মোহনবাগানের সহকারী কোচ। বাগান রক্ষণের অন্যতম ভরসা ব্রেন্ডন হ্যামিল বললেন “ডার্বিতে খেলার জন্য আলাদা করে কোন মোটিভেশানের প্রয়োজন হয় না। আমরা একটা দল হিসাবে উন্নতি করছি। রক্ষণ থেকে আক্রমণ সব জায়গাতেই সজাগ থাকতে হবে আমাদের।” ডার্বির গুরুত্ব কতটা সেটা জানেন হ্যামিল, এই প্রতিযোগিতায় কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে মোহনবাগান সেটাও জানেন তিনি। গত ম্যাচে তার ভুল থেকেই গোল হজম করেছিল মোহনবাগান। আসন্ন সুপার কাপ ডার্বিতে রক্ষণে দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত ব্রেন্ডন হ্যামিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version