ইস্টবেঙ্গল

Super Cup 2024: কথা রাখলেন কুয়াদ্রাত! বছরের প্রথম ডার্বি জিতল ইস্টবেঙ্গল

Published

on

সৌরভ রায়, ভুবনেশ্বর: সুপার কাপের মেগা ডার্বির আগের সন্ধ্যেতেই কার্লেস কুয়াদ্রাত বলে গিয়েছিলেন মোহনবাগানকে হারিয়েই সেমিফাইনালে যেতে চান তিনি। শুক্রবার ম্যাচ শেষে কুয়াদ্রাতের মুখের হাসি আরও চওড়া হল। সময় যত গড়াচ্ছে লাল-হলুদ সমর্থকদের ভরসার নাম হয়ে উঠছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। তিনি যেন সত্যি এক ম্যাজিশিয়ান। যাঁর যাদু কাঠির ছোঁয়ায় জীবন্ত হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের যাবতীয় রূপকথা।

কথায় আছে যার শেষ ভাল, তার সব ভাল। আজ সেই কথা ভুবনেশ্বরের মাঠে ফের একবার সেটাই করে দেখান ইস্টবেঙ্গল। আজ ম্যাচের প্রথমার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করে মোহনবাগান। বৃহস্পতিবারে দলের অনুশীলন দেখে ঠিক এটাই মনে হয়েছিল। প্রথম থেকেই অনবদ্য ফুটবল খেলছিলেন হুগো বুমোস। একের পর এক কর্নার পেতে থাকে মোহনবাগান। ১৮ মিনিটের মাথায় ওপেন হেডার মিস করেন হেক্টর ইউস্তে। তবে তার পরক্ষণেই তাঁর গোলেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান। সবুজ-মেরুনের তৈরি করার চাপ ধরে রাখতে ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স। বক্সের মধ্যে দিমিত্রি পেত্রাতোসের থেকে বল পেয়ে লাল-হলুদ ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে ফ্লিকে প্রথম পোস্ট দিয়ে বল গোলে ঢুকিয়ে দেন ইউস্তে। যদিও এর পরই ধীরে ধীরে খেলায় ফিরতে থাকে লাল-হলুদ ব্রিগেড। সৌভিকের প্রায় মাঝ মাঠ থেকে নেওয়া একটি শট ক্রসবারে লেগে নন্দকুমারের কাছে গেলে ইস্টবেঙ্গলের কাছে সমতা ফেরানোর এক দারুণ সুযোগ এসে যায়। তবে বাঁদিকে থাকা নন্দকুমার বলে ঠিকঠাক শট নিতে না পারায় বিপদ কাটে মোহনবাগানের। অবশেষে ২৪ মিনিটে অধিনায়ক ক্লেইটন সিলভার অনবদ্য গোলে ম্যাচে ফেরে ইস্টবেঙ্গল। বক্সের বাইরে জটলার মধ্যে বল পেয়ে যান ক্লেইটন। বল পায়ে কিছুটা এগিয়েই ডান পায়ের দুরন্ত শটে মোহনবাগানের জাল কাঁপিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। টাল সামলাতে না পেরে হিজাজি পড়ে যাওয়ার সময় বক্সের মধ্যে কিয়ানের শট তার হাতে লাগলে রেফারি পেনাল্টি দেন। দিমিত্রি শট নিলে বল গোলে ঢুকলেও রেফারি তা বাতিল করেন। দেখা যায় দিমিত্রির শট নেওয়ার সময় বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েছেন হুগো। এরপর দিমিত্রির দ্বিতীয় শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। প্রথমার্ধ ১-১ গোলে শেষ হয়।

দ্বিতীয়ার্ধের ৬০ মিনিটের মাথাতেই ১০ জন হয়ে যাওয়ার কথা মোহনবাগানের। সৌভিককে একটি জঘন্য ফাউল করেন গ্লেন মার্টিন্স। তিনি প্রথমার্ধেই একটি হলুদ কার্ড দেখেছিলেন। রেফারির দক্ষিণ্যে এই যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। তারপরেই তাঁকে তুলে নিয়ে জেসন কামিন্সকে নামায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। একটি দু’মিনিটের মাথায় নন্দকুমারের গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। পরিবর্তন হিসেবে নামা রবি রানা ভেবেছিলেন তিনি বলটি ক্লিয়ার করে দেবেন। তবে তার থেকে চকিতে বল কেড়ে নেন বোরহা। লাল-হলুদের স্প্যানিশ মিডফিল্ডার বল গোলে রাখার চেষ্টা করলে তা পোস্টে লেগে ফিরলে নন্দকুমার গোলে বল ঠেলে দেন। ৮০ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। বক্সের বাইরে থেকে একটি ক্রস হিজাজি মাহেরের কাছে এলে তার হেড সরাসরি বাগান গোলরক্ষক আর্শ আনোয়ারের হাতে এলেও, বল তার হাত থেকে ছিটকে বেরিয়ে এলে গোল করতে ভুল করেননি ক্লেইটন। ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। একেবারে শেষ মুহূর্তে লাল হলুদ ব্রিগেড গোল সংখ্যা আরও বাড়িয়ে নিতে পারত। তবে পরিবর্ত হিসেবে নামা অজয় ছেত্রীর শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version