ফুটবল
বিশাল ‘হাতে’ ফাইনালে বাগান
সৌমজিৎ দে: আরও একটা পেনাল্টি শুটআউট এবং আরও একবার রক্ষাকর্তা সেই একজনই! বিশাল কাইথ। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে দুটি অনবদ্য সেভ করে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে ফের একবার ফাইনালে তুললেন গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। ম্যাচে একসময় ০-২ গোলে পিছিয়ে ছিল মোহনবাগান। তবে পেনাল্টি থেকে দিমিত্রি পেত্রাতোস ও ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে অনিরুদ্ধ থাপার অনবদ্য গোলে ম্যাচে ফেরে বাগান।
ম্যাচ শুরুর ১২ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যাওয়ার দারুণ একটি সুযোগ হাতছাড়া করে বেঙ্গালুরু। কাউন্টার অ্যাটাকে বল নিয়ে উঠে এসে গোলরক্ষক বিশাল কাইথকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। দারুণ দক্ষতায় তা বাঁচিয়ে দেন বিশাল। ম্যাচের ২৭ মিনিটে চোট পেয়ে উঠে যান বাগান অধিনায়ক শুভাশিস।
এরপরে একের পর এক আক্রমণ গড়ে তোলে বেঙ্গালুরু। এমন আক্রমণের মুহূর্তেই ৪১ মিনিটে পেনাল্টি পায় বেঙ্গালুরু। বাগান বক্সের ডানদিক থেকে বিনীত বেঙ্কটেশ বল নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন লিস্টন। তৎক্ষণাৎ পেনাল্টি দেন রেফারি। সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি সুনীল। ৪৫ মিনিটের মাথায় পরপর দুটি সুযোগ পায় বাগান। বক্সের বাইরে থেকে লিস্টন গোলার মতো শট নিলে তা বারে লাগে। ঠিক তার পরমুহুর্তেই দিমিত্রির কর্নার থেকে বল পেয়ে, কামিন্স বাঁ পায়ে ভলি নিলে তা অল্পের জন্য বাইরে যায়। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে আলবার্তোর একটি হেডও বারে লেগে বাইরে যায়। ৫১ মিনিটে আপুইয়ার ভুলে ব্যবধান বাড়ায় বেঙ্গালুরু। আপুইয়া গোলরক্ষককে লক্ষ্য করে ব্যাক পাস দিলে, তা পেয়ে যান পেরেরা দিয়াজ। বিশাল বক্সের মধ্যে তাঁর পা থেকে বল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে, দিয়াজ তা ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা বিনিথের উদ্দেশ্যে বাড়ালে তিনি ব্যবধান ২-০ করে দেন।
৬০ মিনিটে ম্যাচের অন্যতম সহজ সুযোগ নষ্ট করেন স্টুয়ার্ট। ৬৬ মিনিটে আশিস রাই বক্সের মধ্যে মনবীরকে বল বাড়ালে তাঁকে টেনে ফেলে দেন ভেকে। পেনাল্টি দেন রেফারি। সেখান থেকে গোল করেন পেত্রাতোস। ৮৪ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বুলেট শটে গোল করে ফলাফল ২-২ করে দেন অনিরুদ্ধ থাপা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ পেনাল্টি শুটআউটে গেলে দুটি অনবদ্য সেভ করে মোহনবাগানকে ফাইনালে তোলেন গোলরক্ষক বিশাল কাইথ।