ফুটবল
বিশালের হাতেই ভাসল মোহন তরী
সৌরভ মুখার্জী, জামশেদপুর: বৃষ্টিস্নাত জামশেদপুরে নাটকীয় জয় মোহনবাগানের। জামশেদপুরের জেআরডি টাটা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের স্টেডিয়ামে শেষ চারে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে পঞ্জাব এফসির মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান। শুরু থেকেই গোল পালটা গোলের নাটকীয়তায় জমে ওঠে ম্যাচ। নির্ধারিত সময়ে খেলার নিষ্পত্তি না হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেও অপ্রতিরোধ্য দুই দল। শেষ পর্যন্ত সাডেন ডেথে বিশাল কাইথের দস্তানায় ভর করে ডুরান্ড কাপে সেমিফাইনালের টিকিট পাকা করল মোহনবাগান।
এদিন সকাল থেকেই জামশেদপুরে আকাশের মুখ ভার। কয়েক পশলা বৃষ্টিও হয়ে গেছে। এদিনের আবহাওয়ার মত শুরুতে যেন একটু ঝিমিয়েই ছিল মোহনবাগান। সকলকে চমকে দিয়ে নক আউটের ম্যাচে প্রথম একাদশে একাধিক পরিবর্তন করেছিলেন মোলিনা। শুভাশিস, জেসন কামিন্স, মনবীরদের বেঞ্চে রেখে দীপেন্দু, সুহেলদের মত তরুণ ফুটবলারদের উপরেই ভরসা রেখেছিলেন বাগান কোচ। ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারে সেভাবে আক্রমণ তৈরি করতে পারেনি মোহনবাগান। ১৬ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে ভিনিত রাইকে ফাউল করেন আলবার্তো রদ্রিগেজ। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ১৭ মিনিটে বিশাল কাইথকে উল্টোদিকে ফেলে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লুকা ম্যাজেন। এরপরেই নড়েচড়ে বসে মোহনবাগান। ২২ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। স্টুয়ার্টের পাস ধরে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন লিস্টন। লিস্টনের শট তিন কাঠির মধ্যে থাকলে বিপদে পড়তে পারতেন পঞ্জাবের গোলরক্ষক। বিরতিতে যাওয়ার আগেই সমতায় ফেরে মোহনবাগান। লিস্টনের বাড়ানো বলে গোলমুখী শট নিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট। হালকা টোকায় সেই বল জালে জড়িয়ে দেন সুহেল বাট।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সুপার সাব হয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মনবীর। তবে সেই অগ্রগমণ ধরে রাখতে পারেনি মোহনবাগান। ৬৩ মিনিটে সমতা ফেরায় পঞ্জাব এফসি। ৮ মিনিটের ব্যবধানে পঞ্জাবকে এগিয়ে দেন ভিদাল। ম্যাচের শেষ কোয়ার্টারে পঞ্জাব এফসির রক্ষণে মরণকামড় দেন দিমিত্রি-কামিন্সরা। শেষ পর্যন্ত ৭৯ মিনিটে দুরন্ত গোলে মোহনবাগানকে আবারও সমতায় ফেরান কামিন্স। নির্ধারিত সময়ে খেলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। প্রথম পেনাল্টি মিস করে দলকে চাপে ফেলে দেন কামিন্স। পঞ্জাব এফসির শেষ পেনাল্টি পোস্টে লেগে প্রতিহত হলে ম্যাচ গড়ায় সাডেন ডেথে। সাডেন ডেথে দ্বিতীয় শট বাঁচিয়ে দিয়ে মোহনবাগানকে জয়ের রাস্তা করে দেন বিশাল কাইথ। শেষ শটে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি টম অলড্রেড।