ফুটবল

বাগান দূর্গের অতন্দ্র প্রহরী বিশাল

Published

on

সৌরভ রায়, জামশেদপুর: নির্ধারিত সময় পেড়িয়ে ম্যাচ গড়িয়েছে টাইব্রেকারে। তখন সবার চোখ একজনকেই খুঁজছে, তিনি হলেন সবুন-মেরুন দূর্গের অতন্দ্র প্রহরী বিশাল কাইথ। যাকে নির্দ্বিধায় ভরসা করেন মোহনবাগানের প্রতিটি ফুটবলার, প্রতিটি সমর্থক। প্রতিবার বিপক্ষ দলের ফুটবলার পেনাল্টি নিতে যাওয়ার আগেই গ্যালারি থেকে বিশালের নামে জয়ধ্বনি উঠছে। সাডেন ডেথের দ্বিতীয় শট, শরীর ছুঁড়ে বলটা আটকে দিলেন বিশাল। সবুজ-মেরুন গ্যালারির জয়ধ্বনি যেন হাউইয়ের মত আকাশ স্পর্শ করল। জয়ের রাস্তা খুঁজে পেল বাগান ব্রিগেড। টম অলড্রেডের শট জালে জড়াতেই বিশালকে কোলে তুলে নিলেন কামিন্স, গ্রেগ স্টুয়ার্টরা।

ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টার শেষ হতেই পেনাল্টি হজম করে মোহনবাগান। সেখান থেকে বিশালকে উল্টোদিকে ফেলে বল জালে জড়িয়ে দেন লুকা ম্যাজেন। পরের দুটো গোলের ক্ষেত্রে বিশালের করণীয় কিছুই ছিল না। রক্ষণের ভুলেই গোল হজম করতে হয় মোহনবাগানকে। এগিয়ে গিয়েও ভুলের মাশুল গুনতে হয় মোলিনার দলকে। তবে টাইব্রেকারে সব হিসেব কড়ায় গন্ডায় বুঝে নিলেন মোহনবাগানের গোলরক্ষক। তাঁর বিশ্বস্ত হাতই আরও একবার ট্রফি জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখল সবুজ-মেরুন শিবিরে।

ম্যাচ শেষে রে স্পোর্টজকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বিশাল বললেন “সতীর্থরা আমার উপর ভরসা রেখেছিল, আমি সেই ভরসার মূল্য দিতে পারেছি ভালো লাগছে। তবে নিজের উপর বিশ্বাস ছিল, পরিস্থিতি কঠিন হলেও কখনও হাল ছাড়িনি আমি।” তিনি আরও বলেন “প্রথম পেনাল্টি মিস হওয়ায় একটু চাপ তৈরি হয়েছিল। তবে জেসন দুর্দান্ত পেনাল্টি মারে, আজ হয়তো ওর দিন ছিলনা। কিন্তু আমরা সবাই নিজেদের সেরাটাই দিয়েছি।” আজকের ম্যাচে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড ছিল বিশালের হাতে। স্বাভাবিকভাবেই দলকে জিতিয়ে অত্যন্ত খুশি তিনি। এর আগেও সবুজ-মেরুন জার্সিতে বহুবার অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছেন তিনি। কখনও চোট পেয়েও মাঠে রয়ে গেছেন, আবার কখনও পেনাল্টি বাঁচিয়ে নায়ক হয়েছেন। তিন মরশুম ধরে মোহনবাগান জনতার বাজপাখি বিশাল কাইথ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version