ইস্টবেঙ্গল
ফর্মেশনের চক্রব্যূহে আল্টিন বধের ছক
রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: বুধবার এসিএল দুইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথম একাদশে থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণভাগের দুই স্তম্ভ অধিনায়ক ক্লেইটন সিলভা এবং দিমিত্রিয়স দিমানতাকোসের! এই কথাটা শুনেই হয়তো লাল-হলুদ সমর্থকদের হৃদস্পন্দন কিছুক্ষণের জন্য থেমে যাবে। তবে রাজারহাটে বুধবার লাল-হলুদের অনুশীলন দেখে সেটাই মনে হল এটাই হতে চলেছে। দলকে মঙ্গলবার দুই রকম ফর্মেশনে অনুশীলন করালেন হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। আক্রমণের সময় ৩-৪-৩ ফর্মেশনে অনুশীলন করলেন ফুটবলাররা। তখন ডিফেন্সে রইলেন মার্ক জো, হিজাজি মাহের, লালচুংনুঙ্গা। মাঝ মাঠে মহেশ, সউল, সৌভিক এবং রাকিপ। আর আক্রমণ ভাগে নন্দকুমার, তালাল এবং ডেভিড। ডিফেন্সের সময় আবার ৫-২-৩ ফর্মেশনে চলে গেলেন ফুটবলাররা। ডিফেন্সকে সাহায্য করতে তখন বাম দিকে নিচে নেমে এলেন নাওরেম মহেশ সিং এবং ডানদিকে রাকিপ। মহেশকে প্রধানত এই ম্যাচ উইং ব্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন কুয়াদ্রাত।
অনুশীলন দেখে যা মনে হল হিজাজির পায়ে অল্প হলেও চোট রয়েছে। সেই কারণেই যদি প্রতিপক্ষের আক্রমণের সময় যদি তিনি ঠিকমতো সামলাতে না পারেন, তাই সেই সময় পাঁচ ডিফেন্সে গিয়ে আল্টিনের আক্রমণ ভোঁতা করার পরিকল্পনা করছেন কুয়াদ্রাত। অন্যদিকে আক্রমণে মাদিহ তালালের উইথড্রল স্ট্রাইকারে খেলার সম্ভাবনা। পরে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামতে পারেন ক্লেইটন এবং দিমিত্রিয়স। তবে জিকসন প্রায় সুস্থ হয়ে গেলেও, এই ম্যাচে তাঁর মাঠে নামার সম্ভাবনা খুবই কম।
ফলে বোঝাই যাচ্ছে একদম নতুন একটি ফর্মেশনে আল্টিনের বিরুদ্ধে দল নামানোর পরিকল্পনা করছেন কার্লেস। তবে মনে করা হচ্ছে সামনেই যেহেতু ডুরান্ড ডার্বি তাই ক্লেইটন, দিমিকে প্রথম থেকে না খেলিয়ে পরে নামাতে চাইছেন লাল-হলুদ হেড কোচ। এদিকে মাঠ ছাড়ার আগে এএফসির মঞ্চে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা নন্দকুমার বলে গেলেন,”আমার প্রথম ডার্বিতে গোল করেছিলাম, এবারে এএফসির প্রথম ম্যাচেও গোল করতে চাই।”