ইস্টবেঙ্গল
ডার্বি জিতেও সংযমী ইস্টবেঙ্গল
রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: মরশুমের প্রথম কলকাতা ডার্বি জয় দিয়েই শুরু করল ইস্টবেঙ্গল। মাঠে নামার আগে খাতায়-কলমে অনেকটাই এগিয়ে ছিল বিনো জর্জের দল। মাঠেও সেটাই প্রমাণ করলেন সায়ন-বিষ্ণুরা। তুলনায় অনেকটাই সাদামাটা ফুটবল খেলল মোহনবাগান। শেষ মুহুর্তে সুহেল বাটের গোলে মানরক্ষা হলেও, ডার্বিতে শূন্য হাতেই ফিরতে হল ডেগি কার্ডোজোর দলকে।
মরশুমের প্রথম ডার্বি জিতে উচ্ছ্বসিত ইস্টবেঙ্গল রিজার্ভ দলের কোচ বিনো জর্জ। প্রথমার্ধে খেলায় চমক দেখাতে না পারলেও, দ্বিতীয়ার্ধে জ্বলে উঠেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে বড় ম্যাচের ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। তবে তিন পয়েন্টেই খুশি বিনো জর্জ। তিনি বললেন “ডার্বি শুধু একটা নব্বই মিনিটের ম্যাচ নয়, এটা একটা যুদ্ধ। সকলেই এই ম্যাচের গুরুত্বটা জানে। সেই মতোই আমার দল খেলেছে।” তবে ডার্বি জিতেও মোটেই নিশ্চিন্ত নন লাল-হলুদ কোচ। লম্বা লিগে যে কোনো সময় অঘটন ঘটে যেতে পারে। তাই হাত গুটিয়ে বসে থাকতে চান না বিনো জর্জ।
গতকাল অনুশীলনের মাঝে হাতাহাতিতে জড়িয়েছিলেন কেরালার দুই ফুটবলার আমন সিকে এবং জেসিন টিকে। তবে ডার্বির মেগা ম্যাচে সেই ছবিটা বদলে গেল। গতকালের মন কষাকষি নিমেষেই উধাও। দ্বিতীয়ার্ধে জেসিন টিকে মাঠে নামতেই বদলে গেল ইস্টবেঙ্গলের খেলা। শুধু তাই নয়, আমন সিকের পাস থেকে গোল করলেন তিনি। তারপর দুজনে সেলিব্রেশনেও মাতলেন। যদিও অন্যদিকে, ম্যাচ শেষে সল্টলেক মেট্রো স্টেশনে হাতাহাতিতে জড়ালেন দুই দলের সমর্থকেরা।
মোহনবাগান প্রথমার্ধের খেলায় নজর কাড়তে না পারলেও, দ্বিতীয়ার্ধে পরিকল্পনা মাফিক ফুটবল খেলেছে বলেই দাবি বাগান কোচ ডেগি কার্ডোজোর। তিনি বললেন “শুরুতে আমরা খেলায় প্রভাব বিস্তার করতে পারিনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমার ছেলেরা নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছিল। বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিলাম আমরা। সেগুলো কাজে লাগাতে পারলে খেলার ফলাফল অন্যরকম হতে পারত।” তবে পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাগান কোচ।