ফুটবল
ট্রফি জিততে মরিয়া মোলিনা
রে স্পোর্টজের প্রতিবেদন: শনিবার ঘরের মাঠে ট্রফি ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে নামছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমিফাইনালে তিন কাঠির নিচে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন বিশাল কাইথ। জোরা পেনাল্টি বাঁচিয়ে ম্যাচের নায়ক তিনি। জোভানোভিচের শট টা আটকে দিতেই, দর্শকদের উদ্দেশ্যে আকাশের দিকে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে বিশাল একটা লাফ দিলেন। আর তাতেই বোঝা গেল কতটা সন্তুষ্ট তিনি।
দলকে ফাইনালে পৌঁছে দিয়ে বিশাল বললেন “আমার কাজ গোল বাঁচানো, আমি সেই কাজটাই করেছি। টাইব্রেকারে আমি আছি ভেবে সতীর্থরা ভরসা পায়। আমি প্রতি মুহুর্তে উন্নতি করার চেষ্টা করছি।” পরপর দুই ম্যাচে পেনাল্টি বাঁচিয়ে কাইথ বললেন “টাইব্রেকারে আমার নিজের উপর বিশ্বাস ছিল। জানতাম একটা বা দুটো শট সেভ করতে পারলেই আমরা ম্যাচে ফিরতে পারব। আমি সেই কাজটাই করেছি।”
দিমিত্রি পেত্রাতস থেকে শুভাশিস বোস সকলেই বিশালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ম্যাচ শেষে শুভাশিস বললেন “বিশাল এই মুহুর্তে দেশের সেরা গোলরক্ষক। প্রতিনিয়ত ও মাঠে সেটা প্রমাণ করছে। আজ না হোক কাল, জাতীয় দলের জার্সিতে ওকে দেখা যাবেই।” মোহনবাগানের হয়ে প্রথম ট্রফি জিততে মরিয়া স্প্যানিশ কোচ জোসে মোলিনা। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতে, সাফল্যের কৃতিত্ব তিনিও বিশালকেই দিলেন। মোলিনা বললেন “বেঙ্গালুরুর মত শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিততে পেরে আমি খুব খুশি। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। ট্রফি জেতার জন্য আমরা মুখিয়ে রয়েছি।”
তবে ম্যাচ জিতলেও এদিনও দলের রক্ষণ চিন্তায় রাখল বাগান কোচকে। যদিও তা নিয়ে খুব একটা ভাবতে চাইছেন না মোলিনা। তবে সেমিতে রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বাগান কোচ। প্রথমার্ধে বেঙ্গালুরুর পেনাল্টি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। তবে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে নিজেদের কিছু ভুল ছিল বলেও মানছেন বাগান করছে। ফাইনালে মাঠে নামার আগে সেই ভুল দ্রুত শুধরে নিতে হবে বলেই মনে করছেন তিনি।