ফুটবল
সুবর্ণরেখার তীরে জয় চান মোলিনা
সৌরভ রায়, জামশেদপুর: বিকেলে জামশেদপুরের আবহাওয়া যতটা ফুরফুরে, ঠিক ততটাই ফুরফুরে বাগান ব্রিগেড। ঠিক কাঁটায় কাঁটায় বিকেল চারটেয় শুরু হল মোলিনার অনুশীলন। তখন জামশেদপুর এফসি ট্রেনিং এরিনায় মৃদুমন্দ বাতাস বইছে। এই আবহাওয়া শুক্রবার বিকেলে থাকলে, হালকা হাওয়ায় পাল তুলে দিতেই পারে সবুজ-মেরুন নৌকা। শুক্রবার জামশেদপুরের মাটিতে ডুরান্ড কাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে মোহনবাগান এবং পঞ্জাব এফসি। বুধবার সন্ধ্যায় জামশেদপুর পৌছায় গোটা দল। বৃহস্পতিবার বিকেলের অনুশীলনে দিমি-কামিন্সদের শরীরে একটুও ক্লান্তির ছোঁয়া নেই। শুরুতেই শারীরিক অনুশীলন সারলেন বাগান ফুটবলাররা। কলকাতায় শেষ অনুশীলনে যেমনটা দেখা গিয়েছিল, ঠিক তেমনই ফান গেমের মাধমে ফুটবলারদের আরও চনমনে করে তুলতে চাইছেন মোলিনা। তারই মধ্যে সতীর্থদের সঙ্গে খুনসুটিতে মাতলেন জেসন কামিন্স।
শারীরিক অনুশীলন সেরে বল পায়ে নেমে পড়লেন লিস্টন-মানবীররা। প্রথমে বেশ কিছুক্ষণ চলল পাসিং ফুটবলের মহড়া। একমনে ফুটবলারদের নীরিক্ষণ করলেন বাগান কোচ। পুরো দলকে দুটো ভাগে ভাগ করে আক্রমণ বনাম রক্ষণের অনুশীলনও করালেন তিনি। সেখানে বেশ কয়েকবার দুর্দান্ত দক্ষতায় বল জালে জড়ালেন মনবীর এবং জেসন কামিন্স। পাশাপাশি মাঝমাঠ দখল নেওয়ার দায়িত্ব থাকছে স্টুয়ার্ট এবং সাহালের উপর। নিজেদের মধ্যে জায়গা অদলবদল করে মাঝমাঠ থেকে ক্রমাগত দুজনেই বল সাপ্লাই দিয়ে গেলেন। সেখান থেকেই গোল করলেন দিমিত্রি-কামিন্সরা। মাঝমাঠে ব্লকারের দায়িত্ব পালন করলেন আপুইয়া।
আগামীকাল পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে মোলিনার দলে দুটি পরিবর্তন আসতে পারে। সুহেল এবং অভিষেক সূর্যবংশীর জায়গায় দলে জায়গা করে নিতে পারেন দিমিত্রি পেত্রাতস এবং গ্রেগ স্টুয়ার্ট। ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের বিরুদ্ধে শেষের দিকে মাঠে নেমেছিলেন স্টুয়ার্ট। আগামীকাল প্রথম একাদশে সুযোগ পেলে, নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদ অনুভব করতে পারেন তিনি। অন্যদিকে, আগামীকাল মরশুমের প্রথম ম্যাচ খেলতে চলেছেন বাগান জনতার হার্ট থ্রব দিমিত্রি পেত্রাতস। অনুশীলন শেষে তিনি জানিয়ে গেলেন “একেবারেই চাপের মধ্যে নেই আমরা। ঠান্ডা মাথায় কালকের ম্যাচটা বের করতে চাই।” পঞ্জাবের মুখোমুখি হওয়ার আগে বাগান কোচ মোলিনা প্রতিপক্ষকে যথেষ্ট সমীহ করছেন। তিনি বললেন “যেহেতু নক আউট ম্যাচ, তাই আমরা জয় ছাড়া কিছুই ভাবছি না। আমি আমার দলের খেলা নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। বিপক্ষের ফুটবলারদের নিয়ে না ভেবে আমরা নিজেদের খেলায় মনোনিবেশ করতে চাই।”