ইস্টবেঙ্গল
সমর্থকদের ভালোবাসার মর্যাদা দেব: তালাল
সৌমজিৎ দে: মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে তখন সবে ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলন শেষ হয়েছে। গাড়িতে বেরিয়ে গেছেন লাল-হলুদের হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত সহ বাকি সাপোর্ট স্টাফেরা। তারপরেই ধীরে ধীরে এগিয়ে আসতে দেখা গেল তাঁকে যার জন্য অধীর আগ্রহে অনুশীলনের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলেন বেশ কিছু ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। তিনি মাদিহ্ তালাল। হাসিমুখে মাঠ ছাড়ার সময় দাঁড়িয়ে থাকা সকল লাল-হলুদ সমর্থকদের সঙ্গে সেল্ফি তোলার পাশাপাশি, বেশ কিছু খুদের জার্সিতে সইও করলেন তিনি।
মঙ্গলবার প্রায় মধ্যরাতে কলকাতায় এসেও, এদিন বিকেলে মূল দলের সঙ্গে চুটিয়ে অনুশীলন করলেন তালাল। বিমানবন্দরে প্রচন্ড ভিড়ের কারণে কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলেও, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুশীলন শেষে রে স্পোর্টজের সঙ্গে একান্তে কথা বললেন লাল-হলুদের এই বিদেশি মিডফিল্ডার। তার কথা শুনে মনে হল বিমানবন্দরে পাওয়া দারুণ আতিথিয়তার ঘোর এখনও কাটেনি তালালের। তিনি বলেন,”আমি এমন অভ্যর্থনা কোথাও পাইনি। অত রাতেও এতজন মানুষ বিমানবন্দরে আমার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন। এই ভালোবাসা আমি কোনওদিন ভুলবো না। ওদের ভালোবাসার মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করব।”
এদিন অনুশীলনেও চূড়ান্ত ফিট লাগল এই ফরাসি প্লে-মেকারকে। সেই রহস্য ফাঁস করে তালাল নিজেই জানালেন,”আমি ফ্রান্সেও নিজের ফিটনেস ধরে রাখার জন্য নিয়মিত অনুশীলন করেছি। তাই জেট ল্যাগ থাকা সত্ত্বেও মাঠে নেমে পুরো অনুশীলন করলাম। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে নিজের সেরাটা দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য। এখন আমার প্রথম টার্গেট হল ডুরান্ড কাপ।” প্রসঙ্গত গত মরশুমে পঞ্জাব এফসির হয়ে নিজের শেষ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে অন্যতম বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তালাল। সেই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,”এখন আর ওসব মনে নেই। ওই ঘটনা আমার কাছে এখন অতীত। এবারে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে বাকিদের হারানোই আমার প্রধান লক্ষ্য।”
অন্যদিকে মঙ্গলবার অনুশীলনের শুরুতেই তালালকে বিশেষ অভ্যর্থনা জানান তাঁর নতুন সতীর্থরা। তারপরেই কিছুক্ষণ ফিজিকাল ট্রেনিং করে মূল দলের সঙ্গে জোরকদমে অনুশীলন শুরু করে দেন এই বিদেশি মিডফিল্ডার। সেট পিস থেকে বেশকিছু গোলও করতে দেখা যায় তাঁকে।