ইস্টবেঙ্গল
শতবর্ষের সিএফএল ডার্বি লাল-হলুদ
রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: শনিবারের বারবেলায় মেরেকেটে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজির হাজার দশেক সমর্থক। তাঁদের সামনেই কলকাতা লিগের শতবর্ষের ডার্বিতে চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের হয়ে গোল দুটি করেন পিভি বিষ্ণু এবং জেসিন টিকে। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে মোহনবাগানের হয়ে একটি গোল শোধ করেন সুহেল ভাট। চলতি কলকাতা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে টানা তৃতীয় জয় পেল ইস্টবেঙ্গল, অন্যদিকে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেললেও এখনও জয়ের মুখ দেখেনি সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
শনিবার দুপুরে ডার্বি অনুষ্ঠিত হওয়ায় মাঠে লোক কম হবে এমন একটা আশঙ্কা ছিলই, তবে এমন জনশূন্য ডার্বি শেষ কবে কলকাতা দেখেছে তা মনে করা দুষ্কর। আর এমন গরমে ম্যাচ বলেই হয়তো প্রথমার্ধে দুই দলকে বেশ মন্থর ফুটবল খেলতে দেখা গেল। ইস্টবেঙ্গল বেশ কয়েকবার গোলমুখ খোলার চেষ্টা করলেও, মোহনবাগান কিন্তু পুরোপুরি রক্ষণাত্মক ফুটবলই খেলে। ম্যাচ শুরুর ২ মিনিটের মাথায় অন্যতম সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন তন্ময় ঘোষ। এরপরে সহজ সুযোগ পেয়েও গোল বল রাখতে ব্যর্থ চলতি কলকাতা লিগে প্রথমবারের জন্য মাঠে নামা বিষ্ণু। এই সময় ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের মধ্যে বেশ কয়েকবার বোঝাপড়ার অভাব চোখে পড়ল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, জেসিন টিকে এবং সার্থক গলুই মাঠে নামতেই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। হাতেনাতে ফলও পায় তারা। ৫১ মিনিটে সার্থক গলুইয়ের ভাসানো বল ধরে, নিজের অসাধারণ স্কিলের নৈপুণ্য দেখিয়ে বাগান রক্ষনের দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ের শটে দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন বিষ্ণু। তার পরের গোলটি আমন সিকের পাস থেকে করে যান জেসিন টিকে। প্রসঙ্গত শুক্রবারই অনুশীলনে এই দুই ফুটবলারের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছিল। তবে শনিবারের ম্যাচে তার কোন প্রভাবই পড়ল না। লাল-হলুদ ফুটবলাররা সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে দলের গোল সংখ্যা আরও বাড়তে পারতো। ৭৭ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল দশজনে হয়ে যাওয়ায়, আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় মোহনবাগান। তবে পরিকল্পনাহীন আক্রমণের কারণে সমতায় ফেরার সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন ডেগির ছেলেরা। তবে অতিরিক্ত সময়ের একেবারে শেষ দিকে ব্যবধান কমান সুহেল ভাট। যদিও ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল।