ফুটবল

চোখের জলে বিদায় “সোনার সুনীলের”

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক – শেষ বাঁশি বাজতেই হতাশায় ভেঙে পড়লেন সুনীল ছেত্রী। কুয়েতের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে যাওয়া কঠিন হল ভারতের জন্য। সেই সঙ্গে সুনীলের জাতীয় দলের হয়ে শেষ ম্যাচ স্বরণীয় করে রাখতে পারলেন না, তাঁর সতীর্থরা। ম্যাচ শেষ হতেই সুনীল হাত জোর করে এগিয়ে গেলেন গ্যালারির দিকে। তারপর একাই গোটা মাঠ প্রদক্ষিণ করলেন। তখন যুবভারতীর গ্যালারি জুড়ে শুধু একটাই শব্দ “সুনীল – সূনীল”। সতীর্থরা যখন তাঁকে গার্ড অফ অনার দিচ্ছে, আর চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না সুনীল। দু’হাতে মুখ ঢাকলেন, চোখের জ্বলে মাঠ ছাড়লেন ভারতীয় ফুটবলের নক্ষত্র সুনীল ছেত্রী।

বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই কলকাতার রাজপথে একের পর এক নীল জার্সির গন্তব্য ছিল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। তারপর উত্তাল যুবভারতীতে শুধুই “সুনীল” আবেগের ঢেউ। তিনি মাঠে পা রাখতেই শুরু হল সমুদ্র গর্জন। খেলা শুরুর আগেই টিফোর বন্যা যুবভারতীর গ্যালারিতে। “তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো, ছেড়ে দেব না” – এটাই আপামর ভারতীয় ফুটবল সমর্থকের মনের কথা। সকলের মুখে সুনীলের মুখোশ। আট থেকে আশি সকলেই দূর দূরান্ত থেকে যুবভারতীতে এলেন সুনীলের খেলা দেখতে। ৭৮ বছরের হাসিরানি নাগ, সুদূর খরদহ থেকে সুনীলের খেলা দেখতে এলেন। তিনি বললেন “সুনীলের শেষ ম্যাচে ভারত জিতলে এত দূর থেকে খেলা দেখতে আসার ক্লান্তিটা সার্থক হবে।” আবার এন্টালি থেকে সুনীলের জন্য ছুটে এলেন সুফল দাস। দু-পায়ে হাঁটার শক্তি নেই। হুইলচেয়ারই ভরসা সুফলের। তবুও আবেগে একটুও খামতি নেই তাঁর।

এদিন সুনীল ছেত্রীর শেষ ম্যাচের সাক্ষী হয়ে থাকলেন আইএম বিজয়ন এবং রেনেডি সিং। বিজয়ন বললেন “সুনীল সঠিক সময় অবসর নিচ্ছে। দেশের জন্য অনেক কিছু দিয়েছে৷” অন্যদিকে রেনেডি সিং বললেন “৩৯ বছর বয়সে বল পায়ে মাঠে নামা সহজ কথা নয়। প্রবল ইচ্ছাশক্তি এবং ফিটনেস সুনীলের সাফল্যের চাবিকাঠি।” সম্প্রতি টনি ক্রুজের অবসরের প্রসঙ্গ টেনে বললেন “বড় প্লেয়াররা জানে কখন সরে দাঁড়াতে হয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version