আইপিএল

ঘনঘন চোট আর বিশ্রাম, ভারতীয় বোলারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রবি শাস্ত্রী

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে এর আগেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী। আর এবার তার সুরে ধরা পড়ল হতাশা এবং বিরক্তি। এত ঘনঘন চোট এবং ফলস্বরূপ বিশ্রাম, তাহলে কি ভারতীয় বোলারদের ফিটনেস এর মাত্রা এতটাই নিম্নমানের? এবার সেই প্রশ্নই তুললেন রবি শাস্ত্রী।

মূলত দীপক চাহারের চোট পাওয়ার পরেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন কোচ। চলতি মরশুমের আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এর বিরুদ্ধে চেন্নাই সুপার কিংস এর হয়ে খেলতে নেমে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান দীপক চাহার। আর তারপরেই তাকে নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেন রবি শাস্ত্রী। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বিষয়টা এভাবে দেখা যেতে পারে যে বিগত কয়েক বছরে ভারতের বেশ কিছু ক্রিকেটার ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে উঠেছেন। আমার তো মনে হয় খুব তাড়াতাড়ি ওরা পাকাপাকিভাবে থাকার জন্য লাইসেন্সও পেয়ে যাবে, যাতে যখন খুশি সেখানে যেতে পারে এবং ইচ্ছামত সময় কাটাতে পারে। যেটা মোটেই ভালো বিষয় নয়।” কিন্তু এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। বিরক্তির সুরে রবি শাস্ত্রী বলেন, “এমন কিছু বেশি ম্যাচও খেলে না ওরা। পরপর চারটে ম্যাচ খেলতে পারে না? কেন বারবার যেতে হচ্ছে ন্যাশনাল অ্যাকাডেমিতে? কি লাভ যদি ফিরে আসার পর তিনটে ম্যাচ খেলে আবার সেখানেই ফিরে যেতে হয়? খেলতে আসার আগে এমন মাত্রায় নিজেকে ফিট রাখা প্রয়োজন, যাতে একবার এলে আর যেতে না হয়। কারন এটা খুবই হতাশাজনক। শুধুমাত্র দল নয়, দলের বাকি সদস্য, বিসিসিআই, আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি, খুব ভদ্রভাবে বলতে গেলে সবার কাছেই বিষয়টা খুব বিরক্তিকর। আর তাছাড়া গুরুতর চোট আমি মানতে পারি। কিন্তু প্রতি চার ম্যাচ অন্তর যদি কেউ চোট পায়, এবং তাকে বিশ্রাম দেওয়া আবশ্যক হয়ে পড়ে, তখন আমি ভাবতে বাধ্য হই যে এরা তাহলে কেমন ট্রেনিং করছে? এমনও নয় যে এরা প্রত্যেকেই প্রচুর পরিমাণে ক্রিকেট খেলে। মাত্র চারটে ওভার, ৩ ঘন্টা। সেটুকুও করা সম্ভব নয়?”

বিগত প্রায় দেড় বছর ধরেই নানাভাবে চোটের সমস্যায় ভুগছেন চাহার। একাধিকবার প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকেও যেতে হয়েছে তাকে। বিষয়টা তার জন্যেও যে মানসিকভাবে কতটা কঠিন সেটা আগেই জানিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার। প্রসঙ্গত যশপ্রীত বুমরাহ, নভদীপ সাইনি, কুলদীপ সেন, মহসিন খান প্রমুখরাও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের নিজেদের চোটের সাথে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version