ক্রিকেট
শাপমুক্তি ঘটিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
সৌরভ রায়; বার্বাডোজ, ২৯ জুন – দীর্ঘ ১৩ বছরের প্রতীক্ষার অবসান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৭ রানে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হল রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় ক্রিকেট দল। প্রথমে ব্যাট করে ভারত ৭ উইকেটে ১৭৬ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ উইকেট খুইয়ে ১৬৯ রান তুলতে সক্ষম হয়। মহেন্দ্র সিং ধোনির পরে দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতালেন রোহিত ।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। প্রথমেই ঘটে ছন্দপতন। কেশব মহারাজের বলে পর পর ফিরে যান রোহিত শর্মা (৯), ঋষভ পন্থ (০)। বেশিক্ষণ টেকেননি সূর্য কুমার যাদব (৩)। পরপর উইকেট হারিয়ে ‘প্ল্যান বি’ নেয় টিম ইন্ডিয়া। অক্ষর পটেলকে নামানো হয় পাঁচ নম্বরে। এরপরেই বিরাট কোহলির সঙ্গে জুটি বেঁধে ভারতের পতন রোধ করেন অক্ষর। অন্যদিকে কোহলিও যেন একটা দিক ধরে রাখবেন, এই শপথ নিয়েই নেমেছিলেন। অনবদ্য ব্যাটিং করে ৩১ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন অক্ষর। এরপরে কোহলিকে সঙ্গ দেন শিবম দুবে। আউট হওয়ার আগে ৫৯ বলে ৭৬ রানের অমূল্য ইনিংস খেলেন ‘কিং কোহলি’। পাশাপাশি দুবে করেন ১৬ বলে ২৭।
১৭৭ রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। হেনড্রিকসকে ৪ রানে বোল্ড করেন জসপ্রীত বুমরাহ। কিছুক্ষণের মধ্যে ফিরে যান অধিনায়ক এডেনে মার্করাম (৪)। তাঁকে ফেরান অর্শদীপ। ১২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে যখন বিপদে দক্ষিণ আফ্রিকা, তখনই দলের হাল ধরেন কুইন্টন ডিকক এবং ট্রিস্টান স্টাবস। ২১ বলে ৩১ রান করেন স্টাবস। তিনি ফিরে যাওয়ার পরে জুটি বাঁধেন ডি কক এবং হেনরিক ক্লাসেন। তাঁদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দিশেহারা হয়ে যায় ভারত।
এক সময় মনে হচ্ছিল খুব সহজেই ম্যাচ জিতে নেবে দক্ষিণ আফ্রিকা। তখনই ভারতকে আবার লড়াইয়ে ফেরান হার্দিক। ক্লাসেনকে ৫২ রানে ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপরই চাপে পড়ে যায় প্রোটিয়ারা। জেনসেন (২) রানে বুমরাহের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য তাঁদের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। সেই ওভারের প্রথম বলে ডেভিড মিলার ৬ মারতে গেলে, বাউন্ডারি লাইনে তাঁর অনবদ্য ক্যাচ ধরে ভারতের জয় নিশ্চিত করে দেন সূর্য কুমার যাদব।