ক্রিকেট

বিরাট সূর্যোদয়ে বুমরাহর হার্দিক শুভেচ্ছা

Published

on

সৌরভ রায়, বার্বাডোজ, ২৯ জুন – বার্বাডোজের কেঙসিনটোন ১৩ বছর পর বিশ্বসেরা হয়ে মাঠে ভারতীয় সমর্থকরা তখন আনন্দে উদ্বেল। ঠিক তখন টিভি ক্যামেরায় ম্যাচের সেরা বিরাট কোহলি টি-২০ ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিলেন। বিশ্বকাপ ফাইনালের মঞ্চে ম্যাচের সেরা হয়ে দলকে জিতিয়ে বিদায় জানানোর সুযোগ বোধহয় কিংবদন্তিরাই পান। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের সামনে তখন পরপর আউট হয়ে যাচ্ছেন রোহিত শর্মা, ঋষভ পান্থ, সূর্য কুমার যাদব। ঠিক তখন ক্রিজের একদিক আঁকড়ে থাকলেন বিরাট। প্রথমে অক্ষর পটেল এবং পরে শিবম দুবেকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করার জায়গায় পৌঁছে দিলেন ভারতকে। ৫৯ বলে ৭৬। ৬টা চার, ২টা ছয়‌। কোহলির রত্নখোচিত মুকুটে নতুন পালক এই বিশ্বকাপ জেতার ইনিংস।

তবে বিরাটকে থেকে যেতে হতো ট্র্যাজিক হিসেবেই। যদি বল হাতে দুরন্ত না হয়ে উঠতেন জসপ্রীত বুমরাহ এবং হার্দিক পান্ডিয়া। ৩০ বলে তখন ৩০ রান দরকার দক্ষিণ আফ্রিকার। ব্যাটিং করছেন সেট হয়ে যাওয়া ক্লাসেন এবং মিলার। বাধ্য হয়েই শেষ ওভারের জন্য রেখে দেওয়া বুমরাহর হাতে বল তুলে দিলেন রোহিত। শেষ চেষ্টা। ১৬ তম ওভারে বুমরাহ দিলেন মাত্র ৪ রান। পাল্টা চাপ শুরু দক্ষিণ আফ্রিকার উপর। সেই চাপকে কাজে লাগিয়ে ১৭ তম ওভারে হার্দিক ফিরিয়ে দিলেন ক্লাসেনকে। ম্যাচ ঘোরা শুরু। ১৮ তম ওভারে মাত্র দুরান দিয়ে বুমরাহ ফেরালেন জানসেনকে। ১৯ তম ওভারে চাপ বজায় রাখলেন অর্শদীপও। তবে শেষ ওভারের প্রথম বলে ডেভিড মিলারকে ফিরিয়ে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করালেন ভীষণভাবে সমালোচিত এবং ব্যক্তিগত জীবনে ঝড় বয়ে যাওয়া হার্দিক পান্ডিয়া।‌ আর ব্যাট হাতে ব্যর্থ সূর্য কুমার যে ক্যাচটা ধরলেন, তার দাম কোটি টাকা। বাউন্ডারি লাইনে তাঁর অনবদ্য ক্ষীপ্রতা কাপের কাছে পৌঁছে দিল ভারতকে।
তাই বলাই যায়, ফাইনাল জয়ে ‘বিরাট’ কৃতিত্বে অংশীদার বুমরাহ, হার্দিক, সূর্য কুমারও। এরা সবাই ফাইনালের নায়ক। দেশের নায়ক। ‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version