ইস্টবেঙ্গল
ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়ে কী বললেন উচ্ছ্বসিত বোরহা হেরেরা?
রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্কঃ গতকালই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ইমামি ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নতুন মরশুমে লাল হলুদের জার্সি গায়ে চাপাতে চলেছে হায়দ্রাবাদের প্রাক্তন ফুটবলার। আসন্ন মরশুমের জন্য ঘর গোছাতে মাঠে নেমেছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। লাল হলুদে সই করে বোরহা জানালেন নতুন মরশুমে লাল হলুদের জার্সি পড়ে মাঠে নামতে মুখিয়ে আছেন তিনি। ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বললেন “গত মরশুমে হায়দ্রাবাদের হয়ে আমি ভালো সময় কাটিয়েছি। এবার কলকাতায় যাওয়ার পালা। আমরা সকলেই জানি ভারতের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ইস্টবেঙ্গল। যখনই ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তাব আমার কাছে এসেছিল আমি দ্বিতীয়বার ভাবিনি।”
কলকাতা ডার্বিতে খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন বোরহা। তিনি ধন্যবাদ জানালেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতকে। ইমামি গ্রুপ এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তাদেরও ধন্যবাদ জানাতে ভুললেননা। আসন্ন মরশুমে ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে নিজেকে মেলে ধরতে মরিয়া স্প্যানিশ ফুটবলার বোরহা হেরেরা।
আইএসএল
ISL 2024/25: অজস্র গোল মিসের খেসারত দিতে হল ইস্টবেঙ্গলকে
নিজস্ব প্রতিনিধি, জামশেদপুর: বিনো জর্জের তত্ত্বাবধানে ভাল ফুটবল খেললেও বহু প্রত্যাশিত পয়েন্ট থেকে আজও বঞ্চিত রইল ইস্টবেঙ্গল। অজস্র গোলের সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে ব্যর্থ হন ক্লেইটন-তালালরা। আর সেই মিসের খেসারতই দিতে হল তাদের। আইএসএলে টানা চার ম্যাচে হারের মুখ দেখল লাল-হলুদ ব্রিগেড। অপরদিকে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ২-০ গোলে ম্যাচ জিতল খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসি। এর ফলে লিগ টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এল রেড মাইনার্সরা।
এদিন ম্যাচের ১০ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন ইস্টবেঙ্গলের মাঝ মাঠের ফুটবলার মাদিহ তালাল। প্রভাত লাকড়ার বাড়ান বল অল্পের জন্য বার ঘেষে চলে যায় বাইরে। তার পরেও মুহুর্মুহু আক্রমণ চালায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ১৫ মিনিটে জর্ডান মারের নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক দেবজিত মজুমদার। ম্যাচের শুরু থেকেই বলের উপর আধিপত্য রেখেই ফুটবল খেলছিল গোটা ইস্টবেঙ্গল দল। কিন্তু ম্যাচের গতির বিপরীতে গিয়েই ২০ মিনিটে, বক্সের বাইরের দূরপাল্লা শটে বল জালে জড়িয়ে দেন রেই তাচিকাওয়া। ম্যাচের ৩১ মিনিটে সহজ একটা সুযোগ বার উঁচিয়ে বাইরে মেরে বসেন ক্লেইটন সিলভা। আবারও ৩৫ মিনিটে সহজ গোল মিস করেন সেই ক্লেইটন সিলভা। ৪৪ মিনিটে গোল রক্ষককে একা পেয়ে গিয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন নন্দকুমার সেকার। অজস্র গোল মিসের কারণে প্রথমার্ধ শেষে ০-১ গোলে পিছিয়ে থাকে লাল-হলুদ ব্রিগেড।
আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধের খেলা। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে প্রায় গোলমুখ খুলে ফেলেছিল জামশেদপুর। ইমরানের ভাসানো ক্রস সরাসরি গিয়ে লাগে পোস্টে। ৬৩ মিনিটে বক্সের ভেতরে পেনাল্টি আদায় করে নেন ক্লেইটন সিলভা। কিন্তু পেনাল্টি মিস করেন সউল ক্রেস্পো। ৬৫ মিনিটে ক্লেইটনের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। কোনভাবেই গোলমুখ খুলতে পারছিলেণ না লাল-হলুদ ফুটবলাররা। তারই মধ্যে ম্যাচের ৭০ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে বসেন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার লালচুংনুঙ্গা। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় জামশেদপুর এফসি। তার পরেও বেশ কয়েকটা সুযোগ হাতছাড়া করে ইস্টবেঙ্গল। মাদিহ তালালের একটি দুরন্ত শট সেভ করেন জামশেদপুর গোলরক্ষক অ্যালবিনো গোমজ। তারপরে ইস্টবেঙ্গলের পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে আসা পিভি বিষ্ণু এবং আমান সিকেও অনেক চেষ্টা করেও গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ হন। অবশেষে ০-২ গোলে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় বিনো জর্জের দলকে।
আইএসএল
ISL 2024/25: নিজের দল নিয়ে আশাবাদী বিনো
রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ইতিমধ্যেই কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন লাল-হলুদের হেড স্যার কার্লেস কুয়াদ্রাত। তার পরিবর্তে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বিনো জর্জ। তার তত্ত্বাবধানেই শনিবার জেআরডি টাটা স্পোর্ট কমপ্লেক্সে, শক্তিশালি জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল।
বিনো জর্জের তত্ত্বাবধানেই কলকাতায় তিনদিন অনুশীলন করে জামশেদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল দল। শক্তিশালী জামশেদপুরের বিরুদ্ধে পয়েন্ট পেতে মরিয়া বিনো। ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, “দলের ফুটবলারদের ওপর আমার সম্পুর্ণ ভরসা আছে। তাঁরা যথেষ্ট ভাল মানের ফুটবলার। এটা ঠিক যে গত তিনটি ম্যাচে আমরা ভাল ফল করতে পারিনি। তবে আমি জানি আমার ছেলেরা ঘুরে দাঁড়াতে জানে এবং তারা সেটা করবেও। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, একটা ম্যাচ জিতলেই ইস্টবেঙ্গল আবারও ছন্দে ফিরবে। আমাদের কাজ হল দলের ফুটবলারদের উজ্জীবিত করা এবং ওদের থেকে সেরাটা বের করে আনা”।
টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পরেও বিনো মনে করেন এই লিগে এখনও অনেকটা পথ যাওয়া বাকি রয়েছে। তিনি বলেছেন, “আইএসএল একটা লম্বা লিগ। এখনও ২১টা ম্যাচ বাকি রয়েছে আমাদের। আমরা এই বছর একটা ভাল দল তৈরি করেছি এবং ফুটবলাররাও নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি করছে। আমরা আশা করি, জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ভালো ফুটবল খেলব এবং ম্যাচটা জিতব।” তার পাশাপাশি সমর্থকদেরও দলের পাশে থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন বিনো। তিনি বলছেন, “সমর্থকেরা সবসময়েই আমাদের পাশে থেকেছেন। তার জন্য সমর্থকদের অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে সমর্থকদের বলব জামশেদপুরে এসে মাঠ ভরাতে। আমরা আমাদের একশো শতাংশ দেব”। এবারে দেখার জামশেদপুর থেকে পুরো তিন পয়েন্ট নিয়ে কলকাতায় ফিরতে পারে কিনা সউল ক্রেসপো, মাদিহ তালাল, ক্লেইটন সিলভারা।
আইএসএল
সমাজমাধ্যমে আবেগঘন বার্তা কুয়াদ্রাতের
রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: ইতিমধ্যেই ইস্টবেঙ্গল দলের হেড কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। কয়েকদিন কলকাতায় থাকার পরে, শুক্রবার সকালের বিমানে নিজের দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তিনি। তারই মাঝে নিজের সমাজমাধ্যমে ইস্টবেঙ্গল দলের খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ এবং সমর্থকদের নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিলেন প্রাক্তন হেড কোচ কুয়াদ্রাত।
কার্লেস প্রথম কলকাতায় পা রাখার দিনে তাঁকে বিমানবন্দরে রাজকীয় সংবর্ধনা দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা। গতবছর বেশ সাফল্যও পেয়েছিলেন কুয়াদ্রাত। দীর্ঘ চার বছর বাদে ইস্টবেঙ্গলকে কলকাতা ডার্বি জেতানো থেকে শুরু করে, ডুরান্ড কাপের ফাইনালে পৌঁছনো এবং সুপার কাপ জয়, সবকিছুতেই দলের সাফল্যের পিছনে বড় ভূমিকা ছিল লাল-হলুদ হেড কোচের। তাঁর হাত ধরেই দীর্ঘ ১২ বছর বাদে সর্বভারতীয় স্তরে প্রথম ট্রফি এসেছিল ইস্টবেঙ্গলে। সাথে এসেছিল এশিয়ার মঞ্চে নিজেদের আবারও মেলে ধরার সুযোগ।
তবে চলতি মরশুমে খুব একটা ভাল ফল করতে পারেননি কুয়াদ্রাত। প্রায় দু’মাস আগে থেকে প্রাক মরশুম প্রস্তুতি শুরু করলেও, ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে হারতে হয়েছে আইলিগের দল শিলং লাজংয়ের কাছে। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দুইয়ের বাছাই পর্বের ম্যাচেও হারেন নন্দ কুমাররা। এছাড়াও আইএসএলের প্রথম তিন ম্যাচেই হার স্বীকার করতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। ফলে সমর্থকেরাও তাদের ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেন।
এই সবের পরেই দলের দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন কুয়াদ্রাত। গত সোমবার তিনি তার এই সিদ্ধান্ত ক্লাব কর্তাদের জানিয়ে দেন । তারপর সমাজমাধ্যমে তিনি বলেন, “ক্লাবের সমস্ত সমর্থক ও লাল-হলুদ জনতার প্রতি আমার শুভেচ্ছা রইল। ইমামি কর্তৃপক্ষ, দলের কর্মী ও সমস্ত ফুটবলারদের ধন্যবাদ জানাই। তাঁরা গত মরশুম ও এখনও পর্যন্ত প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। ক্লাবের সমস্ত সমর্থক ও লাল-হলুদ জনতার প্রতি আমার শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইল।” এছাড়াও তিনি ভারতে তার অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেছেন, “এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ভারতে আমার কোচিং করান।যার মধ্যে ২০১৯ সালে বেঙ্গালুরু এফসিকে আইএসএল খেতাব জেতানো এবং চলতি বছরের শুরুতে ইস্টবেঙ্গলকে সুপার কাপ জেতানোর সুযোগ আমি পেয়েছি। ভারতীয় ফুটবলকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। অবশেষে আমার সহকারীদের অসংখ্য ধন্যবাদ। তাদের চেষ্টা, ভালবাসা ও আন্তরিকতা ছাড়া কিছুই সম্ভব হত না। পাশাপাশি অসংখ্য ধন্যবাদ সমর্থকদের যারা, এত সুন্দর মুহূর্ত গুলি আমায় উপহার দিয়েছেন। জয় ইস্টবেঙ্গল”। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বিনো জর্জ।
-
আইএসএল10 months ago
বড় ধাক্কা কেরালা ব্লাস্টার্সের
-
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট12 months ago
ICC CWC 2023: বিশ্বকাপে যুগ্ম দ্রুততম ১০০০ রোহিতের, ভাঙলেন ছয়ের রেকর্ড…
-
ফুটবল11 months ago
এএফসি কাপ আয়োজনের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে
-
ফুটবল10 months ago
এশিয়ান কাপের সম্ভাব্য দল ঘোষণা করল ভারত
-
ফুটবল1 year ago
কলকাতায় প্রাক মরশুম প্রস্তুতি শুরু করল ইন্টার কাশি
-
ইস্টবেঙ্গল1 year ago
দলে আমূল পরিবর্তন, তবুও সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচেই হার ইস্টবেঙ্গলের
-
ফুটবল10 months ago
ঘরের মাঠে অসহায় আত্মসমর্পণ, এএফসি কাপে স্বপ্নভঙ্গ মোহনবাগানের
-
ফুটবল1 year ago
ফিফা বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে ভারতের প্রথম দুটি হোম ম্যাচে আয়োজনের দায়িত্ব পেল ভুবনেশ্বর এবং গুয়াহাটি