Connect with us

ফুটবল

AFC Cup: মোহনবাগানের এএফসি কাপ জয়ের স্বপ্ন পূরন করতে চান জুয়ান ফেরান্দো

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্কঃ জুয়ান ফেরান্দো, মোহনবাগানের শুধু কোচ নন, সবুজ মেরুন সমর্থকদের নয়নমণি। ইতিমধ্যেই দু-দুটি ট্রফির মালিক। গত মরশুমে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন করেছেন দলকে। চলতি মরশুমে শুরুতেই ডুরান্ড কাপ জয় প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই জুয়ান ফেরান্দোকে নিয়েই কিন্তু স্বপ্ন দেখছে মোহনবাগান। ইতিমধ্যেই এএফসি কাপের ম্যাচ খেলতে ভুবনেশ্বরে পা রেখেছে গোটা দল। মঙ্গলবার শক্তিশালী ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামবে জুয়ান ফেরান্দো এন্ড কোম্পানি। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানালেন এএফসি কাপ জেতাই তাদের মূল লক্ষ্য। এএফসি কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতার কথা মাথায় রেখেই দল গঠন করেছে মোহনবাগান।

জুয়ান ফেরান্দোর বিশ্বাস চেষ্টা করতে করতেই একদিন সাফল্য আসবে। আর সেই সাফল্য পাওয়ার সময় হয়তো চলে এসেছে। তাই মাঠে নিজেদের সেরাটা উজার করে দিতে প্রস্তুত দিমি-কামিংসরা। সবুজ মেরুনের বিদেশি ব্রিগেডে এবারের অন্তর্ভুক্তি জেসন কামিংস, হেক্টর ইউস্তা, আর্মান্দো সাদিকুরাও কিন্তু মুখিয়ে আছেন এএফসি কাপ জয়ের জন্য। তবে প্রতিপক্ষ ওড়িশা এফসিকেও কিন্তু যথেষ্ট সমীহ করছেন বাগান কোচ। ওড়িশার এফসির কোচ সার্জিও লোবেরা কিন্তু জানেন কিভাবে কঠিন ম্যাচে পাল্টা চাপ দিতে হয়। তাদের দলেও কিন্তু রয় কৃষ্ণা, আহমেদ জাহুর মতো ফুটবলাররা রয়েছেন।

রয় কৃষ্ণা জুয়ান ফেরান্দো কোচিং স্টাইলটাও জানেন। সুতরাং তাদের কিন্তু কিছুটা সুবিধা হবে তা বলাই যায়। ওড়িশা এফসির দলে রয়েছে আরও এক প্রাক্তন মোহনবাগান ফুটবলার, লেনি রডরিগেজ৷ তবে জয়ের ব্যপারে যথেষ্ট আশাবাদী মোহনবাগান ফুটবলাররা। বাগান রক্ষণের অন্যতম ভরসা ব্রেন্ডন হ্যামিল এদিন জানিয়ে দিলেন তাদের দল একটা লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে। ডুরান্ড কাপ জয়ের ফলে সকলের মধ্যেই আত্মবিশ্বাস এসেছে। কিন্তু তারা মাটিতে পা রেখেই খেলতে চান। ডুরান্ড জয়ের উচ্ছাস ভুলে নতুন প্রতিযোগিতা নতুন ভাবেই শুরু করতে চায় মোহনবাগান।

ইস্টবেঙ্গল

AFC CHALLENGE LEAGUE: নেজমেকে হারাতে নিজেকে উজাড় করে দেবেন নন্দ…

Published

on

সৌরভ মুখার্জী ও শুভম মন্ডল, থিম্পু: ইতিমধ্যেই হারের খরা কাটিয়ে, জয়ের সরণিতে ফিরেছে ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা কিংসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে, এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার আশা জিইয়ে রেখেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেখানে গোল পেয়েছেন তারকা উইঙ্গার নন্দকুমার সেকারও। ম্যাচের পর বুধবার সকালে রে স্পোর্টজকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নন্দকুমার। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তার সমস্ত বক্তব্য:

প্রশ্ন: প্রথম ম্যাচে ভাল ছন্দে না থাকলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে বাম প্রান্ত থেকে যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলে দলকে জিতিয়েছেন। এর পিছনের রহস্য কী?

নন্দকুমার: আমরা যথেষ্ট ভাল দল। আমাদের কোচ এবং কোচিং স্টাফেরা আমাদের সব সময় ভাল খেলার জন্য উজ্জীবিত করেন। আমরা গত তিনটে ম্যাচেই ভাল ফুটবল খেলেছি এবং আশা করছি এমনভাবেই ভাল খেলব আগামীতেও এবং পরের ম্যাচ থেকেও তিন পয়েন্ট তুলে আনতে পারব।

প্রশ্ন: নতুন কোচের তত্ত্বাবধানে কি আপনি নিজের ফর্ম ফিরে পাচ্ছেন?

নন্দকুমার: অবশ্যই ফিরে পাচ্ছি। তিনি আমায় সেই স্বাধীনতাটা দিচ্ছেন খেলার এবং আমি সেটাকে কাজে লাগাচ্ছি।

প্রশ্ন: বসুন্ধরার বিরুদ্ধে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে জয় পেলেন। এই জয়টা কি শক্তিশালী নেজমেহর বিরুদ্ধে ম্যাচে বাড়তি সুবিধে দেবে?

নন্দকুমার: অবশ্যই। এছাড়াও ৪-০ গোলে জয়ের পাশাপাশি মরশুমের প্রথম ক্লিনশিটও পেয়েছি আমরা। দলের বাকি ফুটবলাররাও তৈরি রয়েছে নেজমে ম্যাচে ভাল ফুটবল খেলার জন্য।

প্রশ্ন: সমর্থকদের জন্য কী বার্তা দিতে চান?

নন্দকুমার: অবশ্যই সমর্থকরা মাঠে আসুন। আমাদের সমর্থন করুন। পরের ম্যাচটা আমরা জিতলে চ্যালেঞ্জ লিগের পরের রাউন্ডে যোগ্যতা অর্জন করব। তাই সমর্থকেরা আসুন এবং আমাদের সমর্থন করুন।

প্রশ্ন: অনেক সমর্থকেরা ভুটান থেকে ফিরে গেছেন। শেষ ম্যাচে মাঠে সমর্থকেরা অনেক কম ছিল। তাদেরকে কি মিস করছেন?

নন্দকুমার: সমর্থকেরা শেষ ম্যাচটা মিস করেছেন। তাছাড়া শুধু খারাপ সময়তেই নয় আমরা চাই আপনারা আমাদের ভাল সময়তেও আমাদের পাশে থাকুন। আমরা নিজের ২০০% দেওয়ার চেষ্টা করব এবং পরের ম্যাচে ভাল ফল করে আপনাদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করব।

Continue Reading

আন্তর্জাতিক ফুটবল

রোনাল্ডোর পেনাল্টি মিসে কিংস কাপ থেকে বিদায় আল নাসেরের

Published

on

রে স্পোর্টজ ওয়েব ডেস্ক: এর আগে আল নাসেরের হয়ে প্রতিটি পেনাল্টিতেই গোল করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। ফলে কিংস কাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে, আল তাউনের বিরুদ্ধে ০-১ গোলে ম্যাচ হেরে গেল আল নাসের। অপরদিকে রোনাল্ডোর মারা পেনাল্টি শটে ভেঙেছে এক সমর্থকের মোবাইল ফোনও।

এখনও অবধি আল নাসেরের হয়ে কোনও বড় ট্রফি জেতেনি রোনাল্ডো। মঙ্গলবার কিংস কাপেও সেই ভাগ্য বদল হল না। ম্যাচের ২০ মিনিটে ওয়ালিদ আল-আহমাদের গোলে এগিয়ে যায় আল তাউন। কিন্তু ম্যাচের সংযোজিত সময়ে সেই আল-আহমাদই বক্সে ফাউল করে পেনাল্টি দেন আল নাসেরকে। সেই পেনাল্টি মারতে আসেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তার সেই শট চলে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। অপরদিকে তাঁর পেনাল্টির মুহূর্ত ভিডিও করছিলেন এক সমর্থক। তবে রোনাল্ডোর জোড়ালো শট গিয়ে সোজা সেই সমর্থকের ফোনে লাগায় ভেঙে যায় তাঁর ফোন।

নতুন কোচ স্টেফানো পিয়োলির অধীনে এটাই প্রথম হার আল নাসেরের। তবে এখনও ট্রফি জেতার সুযোগ রয়েছে বলেই মনে করেন তিনি। সৌদি লিগে তাঁর দল শীর্ষে থাকা আল হিলালের থেকে আট পয়েন্টে পিছিয়ে রয়েছে। অপরদিকে এই ম্যাচে হেরে কোচ পিয়োলি জানিয়েছেন, “আমরা ম্যাচটা ভাল খেলেও জিততে পারলাম না।” এছাড়াও এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট অর্জন করেছে আল নাসের।

Continue Reading

ইস্টবেঙ্গল

AFC CHALLENGE LEAGUE: মশাল জ্বলল ভুটানে, বসুন্ধরাকে নিয়ে ছেলেখেলা করে জিতল ইস্টবেঙ্গল…

Published

on

সৌরভ মুখার্জী ও শুভম মন্ডল, থিম্পু: এর আগে টানা আট ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি ইস্টবেঙ্গল। ইতিমধ্যে আইএসএলের “লাস্ট বয়” তাঁরা। ফলে মানসিক দিক থেকেও অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন ফুটবলাররা। অবশেষে নবম ম্যাচে এসে সেই যন্ত্রণার অবসান ঘটল। বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন দল বসুন্ধরা কিংসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে, এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে বহু কাঙ্খিত জয় তুলে নিলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। গোল করলেন দিমিত্রিয়স দিমানতাকোস, সৌভিক চক্রবর্তী, নন্দকুমার সেকর এবং আনোয়ার আলি।

ম্যাচের একেবারে শুরুতেই, ৩৩ সেকেন্ডে নন্দর ক্রস থেকে দিমানতাকোসের শটে প্রথম গোল তুলে নেয় ইস্টবেঙ্গল। ২০ মিনিট পরে সৌভিক চক্রবর্তীর বক্সের বাইরে থেকে জোড়ালো শট জালে জড়িয়ে দিয়ে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। দুই গোলে এগিয়ে এগিয়ে থেকেও আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। বামপ্রান্ত থেকে নন্দকুমার বক্সের ভেতরে ঢুকে অনবদ্য গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে দুর থেকে শট নিয়ে দলের চতুর্থ গোলটি করেন আনোয়ার আলি। ফলে প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে সাজঘরে ফেরে অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দলে একটি পরিবর্তন আনেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। দিমানতাকোসের জায়গায় তিনি মাঠে নামান ক্লেইটন সিলভাকে। অপরদিকে বসুন্ধরা কোচও মাঠে নামান তাদের মাঝমাঠের ফুটবলার মিগুয়েলকে। তারপর যথেষ্ট গোলমুখি আক্রমণ চালায় বসুন্ধরা। তবে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ তা সামাল দিতে সক্ষম হয়। মাঝে মধ্যে ইস্টবেঙ্গলও আক্রমণে উঠতে থাকে ব্যবধান বাড়ানোর জন্য। একটি গোলের সহজ সুযোগ মাঠে নেমেই হাতছাড়া করেন ক্লেইটন। এছাড়াও অনেক সুযোগ নষ্ট করায় ব্যবধান আর বাড়েনি। এই ম্যাচে জয় পেয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। পরবর্তী ম্যাচে তাঁরা মুখোমুখি হবে শক্তিশালী নেজমেহ এসসির বিরুদ্ধে এবং সেই ম্যাচেই বোঝা যাবে কোন দলটি যাবে পরবর্তী রাউন্ডের জন্য। অপরদিকে দুই ম্যাচ হেরে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেল বসুন্ধরা কিংস।

Continue Reading

Trending