Connect with us

ইস্টবেঙ্গল

ট্রফি জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মঙ্গলবার কন্যাশ্রী কাপে অভিযান শুরু করছে মহিলা ইস্টবেঙ্গল দল…

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: ঘোষিত হল ইমামি ইস্টবেঙ্গল এফসির মহিলা দল। এই দল আগামী মঙ্গলবার রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে নামতে চলেছে কন্যাশ্রী কাপে। সেখানে প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। আর সেই কারণেই এই টুর্নামেন্ট এবং আসন্ন মরশুমের জন্য ২৯ সদস্যের মহিলা দল ঘোষণা করল লাল হলুদ ব্রিগেড। এই দলকে নেতৃত্ব দেবেন স্ট্রাইকার মিনা খাতুন এবং এই দলে তার ডেপুটি নির্বাচিত হয়েছেন নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার সঙ্গীতা দাস।

প্রসঙ্গত এর আগে মহিলা দল নামিয়ে কালিয়াগঞ্জ এমএলএ কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মহিলা ইস্টবেঙ্গল দল। সেখানে তারা এমএলএ কালিয়াগঞ্জ দলকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছিল।

অন্যদিকে শেষবার কন্যাশ্রী কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সাদার্ন সমিতি, যদিও এই দলকেই কয়েকদিন আগে নিজেদের ঘরের মাঠে একটি প্রীতি ম্যাচে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়ে দেয় ইমামি ইস্টবেঙ্গল মহিলা দল। এর পাশাপাশি গত সপ্তাহে শ্যামনগরের দল আদিবাসী ইউনাইটেড ফুটবল একাডেমিকে একটি প্রীতি ম্যাচে ১১-০ গোলে হারিয়ে দেয় লাল হলুদ মহিলা ব্রিগেড।

কন্যাশ্রী কাপ শুরু হওয়ার আগে ইমামি ইস্টবেঙ্গল মিডিয়া টিমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দলের হেড কোচ সুজাতা কর জানিয়েছেন,”দেখুন আমাদের এটা মনে রাখা উচিত যে কালিয়াগঞ্জ এমএলএ কাপ এবং কন্যাশ্রী কাপের মধ্যে কোনরকম তুলনা হয় না। এর প্রধান কারণ আগের টুর্নামেন্টটি ছিল একটি জেলাভিত্তিক প্রতিযোগিতা। আমরা সেখান থেকে দু তিনজনকে এই দলে নিয়েছি এবং বাকিদের ট্রায়ালের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরো যোগ করেন,”দেখুন মেয়েরা অনেকদিন ধরে একসঙ্গে অনুশীলন করছে এবং শেষ তিন মাসে ওদের মধ্যে একটা দারুন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আমাদের দলে কোথায় শক্তি রয়েছে এবং কোথায় দুর্বলতা রয়েছে সেটা আমরা শেষ প্রীতি ম্যাচে দেখেছি এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি। আমি আশাবাদী যে মেয়েরা নিজেদের পুরনো ভুলগুলো শুধরে এই ঐতিহ্যবাহী কন্যাশ্রী কাপে ভাল খেলবে।”

আইএসএল

ISL 2024/25: জোড়া লাল কার্ড ইস্টবেঙ্গলের। ৯ জনে অনবদ্য লড়ে পয়েন্ট ছিনিয়ে নিলেন আনোয়ার-হিজাজিরা

Published

on

রে স্পোর্টজের প্রতিবেদন: দীর্ঘ বহুবছর বাদে আবারও ভারতীয় ফুটবলে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান স্পোর্টিং। এটাও ছিল এক ঐতিহ্যের ডার্বি। তবে এবারেই প্রথমবারের জন্য বাংলার দুই প্রধান মুখোমুখি হল আইএসএলের মঞ্চে। ম্যাচের ৩০ মিনিটে জোড়া লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় নাওরেম মহেশ সিংহ এবং নন্দকুমার সেকারকে। যার ফলে গোটা ম্যাচে ১১ জনের বিরুদ্ধে ৯ জন নিয়ে অদম্য লড়াই লড়ল ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের এই পরিস্থিতিতেও জয় তুলে নিতে পারল না মহামেডান। বরং লড়াই করে এই মরশুম আইএসএলে প্রথম পয়েন্ট তুলে নিল অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা।

শুরু থেকেই ম্যাচে আধিপত্য বেশিই থাকে সাদা-কালো ফুটবলারদের। তবে ইস্টবেঙ্গলও মাঝে মধ্যে উঠে আসছিল আক্রমণে। তবে আক্রমণ প্রতিআক্রমনে খেলা চললেও বিতর্ক শুরু হয় ম্যাচের ২৮ মিনিটে। মহামেডানের ফুটবলার অমরজিৎ সিং কিয়াম ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার নন্দকুমারকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তখনই নিজের মেজাজ হারিয়ে নন্দার হাত সোজা গিয়ে লাগে অমরজিতের মুখে। সঙ্গে সঙ্গে রেফারি হরিশ কুণ্ডু প্রথমে হলুদ কার্ড দেখালেও পরে সহকারী রেফারির সঙ্গে কথা বলে সোজা লাল কার্ড দেখিয়ে দেন নন্দকে। ঠিক তার পরেই আরও একটি লাল কার্ড দেখেন নাওরেম মহেশ সিংহ। মূলত নন্দার লাল কার্ড দেখা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠে পরে থাকা জলের বোতলে লাথি মারে বসেন তিনি। এর আগে একটি হলুদ কার্ড দেখেছিলেন মহেশ। এবারে রেফারি সামনে থাকায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দিয়ে মাঠের বাইরে বের করে দেন তাকে। যার ফলে ৯ জন নিয়ে গোটা ম্যাচে ফুটবল খেলে যেতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে।

৯ জনে খেলা ইস্টবেঙ্গলকে সামনে পেয়ে মুহুর্মুহু আক্রমণ সানাতে থাকে মহামেডান ফুটবলাররা। তবে তাদের সেই আক্রমণ রুখে দিতে সক্ষম হয় ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের ফুটবলাররা। অপরদিকে আজকের ম্যাচে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন লাল-হলুদ গোলরক্ষক প্রভসুখন সিং গিল। যার ফলে প্রথমার্ধে ০-০ ফলাফল রেখেই মাঠ ছাড়ে দুই দল। এছাড়াও ম্যাচ চলাকালীন দেখা যায় মহামেডান ফুটবলার কাসিমোভ ও অ্যালেক্সিস গোমেজ নিজেদের মধ্যেই ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। শেষে মহামেডান দলের বাকি ফুটবলাররা তাদেরকে শান্ত করান।

দ্বিতীয়ার্ধে অ্যালেক্সিসকে তুলে মাঞ্জোকিকে মাঠে নামান মহামেডান কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ। তার পরেও অনেকবার আক্রমণ তুলে আনছিল সাদা-কালো ফুটবলাররা। বেশ কয়েকবার ইস্টবেঙ্গল বক্সে ঢুকে শট নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তাঁরা তবে সেই সব আক্রমণ রুখে দিতে সক্ষম হয় ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ। এছাড়াও গোটা ম্যাচে অনবদ্য খেলা প্রভসুখন গিল বেশ কয়েকটি গোল বাঁচিয়ে খেলার মধ্যে রাখেন ইস্টবেঙ্গলকে। যার ফলে ০-০ ফলাফলেই ম্যাচ শেষ করে এই মরশুম আইএসএলের প্রথম পয়েন্ট অর্জন করে ফেলল অস্কার ব্রুজোর দল। অপরদিকে ৯ জনে খেলা ইস্টবেঙ্গল দলকে না হারাতে পেরে চাপের মুখে পড়লেন কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ।

Continue Reading

ইস্টবেঙ্গল

AFC CHALLENGE LEAGUE: নেজমেহকে হরান ছাড়া আর কোনও সমীকরণ দেখছেন না অস্কার ব্রোজো

Published

on

সৌরভ মুখার্জী ও শুভম মন্ডল, থিম্পু: নেজমেহর বিরুদ্ধে এই প্রতিযোগিতার সবথেকে কঠিন ম্যাচটি খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। যদিও বসুন্ধরার বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে দাপুটে জয়ের ফলে মনোবল বেড়েছে লাল-হলুদ ফুটবলারদের। তবে নেজমেহর বিরুদ্ধে জয়ের দিকেই পাখির চোখ করেছেন অস্কার ব্রুজো। বৃহস্পতিবার ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হলেন তিনি এবং দলের অধিনায়ক সাউল ক্রেসপো।

আগামীকালের ম্যাচ নিয়ে অস্কার ব্রোজোকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “অবশ্যই একটা কঠিন ম্যাচ হতে চলেছে। তবে এখানে কোনও সমীকরণের জায়গা নেই। দুই দলের কাছেই এই ম্যাচটা একটা আলাদা মাত্রা নেবে। কারণ এই ম্যাচটা যেই দলই জিতবে সেই গ্রুপের প্রথম দল হিসেবে পরের রাউন্ডে যাবে। তাই আমরাও এই ম্যাচটা জেতার জন্যই মাঠে নামব”। তিনি আরও বলেন, “আমরা কোনও প্রেসার নিচ্ছিনা। এটা আমাদের কাজ। তাই সেরকমভাবেই আমরা নিজেদের প্রস্তুতি সারছি এবং দিনের পর দিন আরও উন্নতি করছি”।

বসুন্ধরা ম্যাচে চোট পেয়েছেন দলের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার হেক্টর ইউস্তে। তার বিষিয়ে জানতে চাওয়া হলে অস্কার বলেন, “তার খেলার সম্ভবনা ৫০-৫০। আগামীকাল তার রিপোর্ট দেখে তবেই মেডিকেল টিম সিদ্ধান্ত নেবে তাকে ম্যাচে খেলতে নামান যাবে কিনা, নয়ত প্ল্যান ‘বি’ ভাবা হবে”। এছাড়া গত ম্যাচে গোটা ম্যাচেই ভাল ফুটবল খেলেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। সেই বিষয়ে অস্কার বলেছেন, “গত ম্যাচে গোটা দল খুব ভাল ফুটবল খেলেছে বিশেষত প্রথমার্ধে। ফুটবলারদের আমরা বলেছি শুধু ৪৫ মিনিট ভাল ফুটবল খেললে হবেনা, গোটা ম্যাচ ভাল খেলতে হবে। ফুটবলাররাও সেটা বুঝতে পারছে এবং তারাও যথেষ্ট তাগিদ নিয়ে খেলার চেষ্টা করছে”।

সমর্থকদের নিয়েও কথা বললেন অস্কার ব্রুজো। তিন বলেন, “সমর্থকরাই এই দলের আসল চালিকাশক্তি। তাঁরা সব সময় যেকোনও পরিস্থিতিতে দলের পাশে থাকেন। তাছাড়া প্রচুর সমর্থক ভুটানে এসেও আমাদের সমর্থন করেছেন। এবারে আমাদেরও সময় এসেছে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর। তাই আমরা চাইছি ভাল ফুটবল খেলে আগামীকাল ম্যাচ জিতে পরের রাউন্ডে কোয়ালিফাই করতে”।

এছাড়া সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত থাকা দলের অধিনায়ক সাউল ক্রেসপোকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আমরা নিজেদের আরও উন্নতি করার চেষ্টা করেছি এবং আমাদের কাছে এই প্রতিযোগিতায় ভাল ফল করাটাই মূল লক্ষ্য”। এছাড়াও বসুন্ধরা ম্যাচে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল হেক্টর ইউসস্তেকে। ফলে দলের রক্ষণ কি হবে সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সাউল জানান, “আমাদের দলে অনেক ফুটবলার রয়েছেন যারা সেই রক্ষণ, মাঝমাঠের জায়গাটায় খেলতে পারেন। তাই আসা করছি সেইটা নিয়ে খুব বেশি সমস্যা হবেনা”।

Continue Reading

ইস্টবেঙ্গল

AFC CHALLENGE LEAGUE: নেজমেকে হারাতে নিজেকে উজাড় করে দেবেন নন্দ…

Published

on

সৌরভ মুখার্জী ও শুভম মন্ডল, থিম্পু: ইতিমধ্যেই হারের খরা কাটিয়ে, জয়ের সরণিতে ফিরেছে ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা কিংসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে, এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার আশা জিইয়ে রেখেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেখানে গোল পেয়েছেন তারকা উইঙ্গার নন্দকুমার সেকারও। ম্যাচের পর বুধবার সকালে রে স্পোর্টজকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নন্দকুমার। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তার সমস্ত বক্তব্য:

প্রশ্ন: প্রথম ম্যাচে ভাল ছন্দে না থাকলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে বাম প্রান্ত থেকে যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলে দলকে জিতিয়েছেন। এর পিছনের রহস্য কী?

নন্দকুমার: আমরা যথেষ্ট ভাল দল। আমাদের কোচ এবং কোচিং স্টাফেরা আমাদের সব সময় ভাল খেলার জন্য উজ্জীবিত করেন। আমরা গত তিনটে ম্যাচেই ভাল ফুটবল খেলেছি এবং আশা করছি এমনভাবেই ভাল খেলব আগামীতেও এবং পরের ম্যাচ থেকেও তিন পয়েন্ট তুলে আনতে পারব।

প্রশ্ন: নতুন কোচের তত্ত্বাবধানে কি আপনি নিজের ফর্ম ফিরে পাচ্ছেন?

নন্দকুমার: অবশ্যই ফিরে পাচ্ছি। তিনি আমায় সেই স্বাধীনতাটা দিচ্ছেন খেলার এবং আমি সেটাকে কাজে লাগাচ্ছি।

প্রশ্ন: বসুন্ধরার বিরুদ্ধে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে জয় পেলেন। এই জয়টা কি শক্তিশালী নেজমেহর বিরুদ্ধে ম্যাচে বাড়তি সুবিধে দেবে?

নন্দকুমার: অবশ্যই। এছাড়াও ৪-০ গোলে জয়ের পাশাপাশি মরশুমের প্রথম ক্লিনশিটও পেয়েছি আমরা। দলের বাকি ফুটবলাররাও তৈরি রয়েছে নেজমে ম্যাচে ভাল ফুটবল খেলার জন্য।

প্রশ্ন: সমর্থকদের জন্য কী বার্তা দিতে চান?

নন্দকুমার: অবশ্যই সমর্থকরা মাঠে আসুন। আমাদের সমর্থন করুন। পরের ম্যাচটা আমরা জিতলে চ্যালেঞ্জ লিগের পরের রাউন্ডে যোগ্যতা অর্জন করব। তাই সমর্থকেরা আসুন এবং আমাদের সমর্থন করুন।

প্রশ্ন: অনেক সমর্থকেরা ভুটান থেকে ফিরে গেছেন। শেষ ম্যাচে মাঠে সমর্থকেরা অনেক কম ছিল। তাদেরকে কি মিস করছেন?

নন্দকুমার: সমর্থকেরা শেষ ম্যাচটা মিস করেছেন। তাছাড়া শুধু খারাপ সময়তেই নয় আমরা চাই আপনারা আমাদের ভাল সময়তেও আমাদের পাশে থাকুন। আমরা নিজের ২০০% দেওয়ার চেষ্টা করব এবং পরের ম্যাচে ভাল ফল করে আপনাদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করব।

Continue Reading

Trending