Connect with us

ইস্টবেঙ্গল

দুই বঙ্গতনয়ের গোলে মসৃণ জয় ইস্টবেঙ্গলের

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্কঃ জয় এলো, তবে স্বস্তি ফিরল না ইস্টবেঙ্গলে। এই নিয়ে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলল এবারের কলকাতা লিগে। তবুও বোঝাপড়া হল না লাল হলুদ ফুটবলারদের মধ্যে। কলকাতা লিগের তৃতীয় ম্যাচে খিদিরপুর স্পোর্টিং ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছিল বিনো জর্জের ইস্টবেঙ্গল। খিদিরপুরের ফুটবলাররা প্রথমার্ধের শুরুর দিকে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে চাপে রাখলেও, সময় যত গড়ালো ম্যাচে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। বাম প্রান্ত থেকে মুহূর্মুহু আক্রমণ তুলে আনল তারা। দ্বীপ সাহা, সঞ্জীব ঘোষরা অনেক বেশি সক্রিয় ছিল আজ। ম্যাচের ১১ মিনিটের মাথায় প্রথম খিদিরপুরের জালে বল জড়িয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গল। যদিও অফসাইডের কারনে সেই গোলটি বাতিল হয়। প্রথমার্ধেই বেশ কয়েকটা আক্রমণ তৈরি করেছিল খিদিরপুরের আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড়রা। লাল হলুদ গোলরক্ষকের তৎপরতায় যাত্রায় রক্ষা পায় ইস্টবেঙ্গল।

ম্যাচের বয়স যখন ৩৩ মিনিট তুহিন দাসের অনবদ্য গোলে এগিয়ে যায় লাল হলুদ ব্রিগেড। একক মুন্সিয়ানায় বল নিয়ে গিয়ে বক্সের সামনে থেকে গোলমুখী শট নেন তুহিন। জোরালো শটে খিদিরপুর গোলরক্ষক প্রিয়ান্তকে পরাস্ত করেন তিনি। ম্যাচের ৩৫ মিনিটের মাথায় বিপদ বাড়িয়ে ফেলেছিলেন প্রিয়ান্ত। লাল হলুদের আক্রমণ সামলাতে গোল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। সম্পূর্ণভাবে বল ক্লিয়ার করতে না পারায় সুযোগ চলে আসে ইস্টবেঙ্গলের কাছে। যদিও সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবধান বাড়াতে পারেননি তারা। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে ফ্রিকিক পায় ইস্টবেঙ্গল। সোভিকের শট সামান্যের জন্য বার উঁচিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল আক্রমণের দাপট বজায় থাকলেও আরো বেশি ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারতেন তারা।

দ্বিতীয়ার্ধে হঠাৎই খেলা থেকে হারিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। সেই সুযোগে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় খিদিরপুর। খিদিরপুরের হয়ে অনিবার্য পতন রোধ করলেন প্রিয়ান্ত। নিয়াশের শট গোল লাইন সেভ করে দলকে খেলায় রাখলেন তিনি। ইস্টবেঙ্গল আক্রমণের অন্যতম ধারালো অস্ত্র কুশ ছেত্রী মাঠে থাকলেও তাকে যেন আজ খুঁজেই পাওয়া গেলনা। ৭০ মিনিটের মাথায় সঞ্জীবের বাড়ানো ক্রস থেকে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন কুশ। ম্যাচের বয়স তখন ৭৫ ছুঁই ছুঁই, হঠাৎই সুযোগ চলে এসেছিল খিদিরপুরের কাছে। লাল হলুদের গোলরক্ষক নিশাদ আচমকাই বল ক্লিয়ার করতে গোল ছেড়ে বেড়িয়ে এলেন। নিশাদের মিস পাসে বল পেয়ে যায় খিদিরপুর। যদিও ফাঁকা গোলে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন তারা।

খিদিরপুরের হয়ে পরিবর্ত হিসাবে মাঠে আসেন ফ্রিকিক স্পেশালিষ্ট তীর্থংকর সরকার। তার অন্তর্ভুক্তিতেই হঠাৎ জেগে ওঠে খিদিরপুর। ব্যাক টু ব্যাক কর্ণার থেকে চাপ বাড়াতে শুরু করে তারা। যদিও শেষ পর্যন্ত কাজের কাজটা করে উঠতে পারেননি তারা। ৯০ মিনিটের মাথায় অক্সিজেন পেল ইস্টবেঙ্গল। কর্ণার থেকে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করলেন শ্যামল বেশরা। ২-০ গোলে খিদিরপুরকে হারিয়ে স্বস্তিতে ইস্টবেঙ্গল শিবির। পরের ম্যাচ ঘরের মাঠে ২৪শে জুলাই। তার আগেই ফাঁকফোকোর গুলো ঢেকে ফেলতে চাইবেন কোচ বিনো জর্জ।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইস্টবেঙ্গল

চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত কুয়াদ্রাত

Published

on

রে স্পোর্টজ: ইন্ডিয়ান সুপার লিগ শুরু হতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তবে ১৪ সেপ্টেম্বর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরু এফসির মুখোমুখি হওয়ার আগে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মনে একটাই শঙ্কা কাজ করছে। তা হল বেশ কিছু স্বদেশি এবং বিদেশি তারকা ফুটবলারের চোট। কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল সউল ক্রেসপো, মাদিহ তালাল, দিমিত্রিয়স দিমানতাকোসরা চোটের তালিকায় রয়েছেন। তবে কলকাতায় আয়োজিত আইএসএলের মিডিয়া ডে অনুষ্ঠানে সমর্থকদের অভয় দিলেন লাল-হলুদ হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি সমর্থকদের আবেগ ভালোমতই বুঝি। আমি সকলকে বলতে চাই নিশু কুমার এবং প্রভাত লাকড়া ছাড়া প্রত্যেকে ফিট। দলের বেশ কিছু ভারতীয় ফুটবলার নানা কারণবশত অনুশীলনে ছিলেন না। পাশাপাশি জাতীয় দলে খেলার জন্য বেশ কয়েকজন ফুটবলার চলে গেছেন। এছাড়া অনেকে আবার প্রাক মরশুমে ঠিকঠাক প্রস্তুতির মধ্যে ছিল না। সেই কারণেই একটা ছোট সমস্যা তৈরি হয়েছিল, তবে বর্তমানে গোটা দল প্রস্তুত এবং আমি তাতে খুশি।”

ইস্টবেঙ্গল বেশ কয়েক বছর আইএসএল খেললেও, কোনওবারই প্লে-অফে পৌঁছতে পারেনি। সেই ব্যাপারে উত্তর দিতে গিয়ে কুয়াদ্রাত বলেন, “শেষ পাঁচ বছরে এই প্রথমবার দল একটা ভালো সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আইএসএলে এটা আমাদের পঞ্চম বছর। এই প্রথম পরপর দু’বছর কোচ একই রয়েছে। দল এবার একটু থিতু হয়েছে। গত বছরের বেশ কিছু ফুটবলার এবারেও দলে রয়েছেন। দীর্ঘ কয়েক বছর পরে একজন কোচ টানা ৩৫টি ম্যাচে দলকে পরিচালনা করার সুযোগ পাচ্ছে। দল একেবারে সঠিক পথে চলছে, আর আমরা প্রত্যেকে আসন্ন আইএসএলে কঠিন চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য তৈরি।” এখন দেখার কার্লেস কুয়াদ্রাত তাঁর দলকে প্রথমবারের জন্য আইএসএলের প্লে-অফে নিয়ে যেতে পারেন কিনা।

Continue Reading

ইস্টবেঙ্গল

ইস্ট-মোহনের আন্দোলনে সামিল ক্যাপ্টেন শুভাশিস

Published

on

রে স্পোর্টজ নিউজ ডেস্ক: বিকেল সারে পাঁচটা, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে তখন শুধুই কালো মাথা। আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদে একসঙ্গে মিছিলে পা মেলালো বাঙাল-ঘটি। ইস্ট-মোহনের যৌথ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হলেন ক্যাপ্টেন শুভাশিস। ডার্বি বাতিলের প্রতিবাদে এবং ন্যায় বিচারের দাবিতে এত মানুষের সমাগম দেখে আপ্লুত বাগান অধিনায়ক। তিনি বললেন “আজ আমি সাধারণ হিসাবে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। আমি চাই দোষীদের শাস্তি হোক। আর যতদিন না আমরা জাস্টিস পাচ্ছি, ততদিন এই লড়াই চলবে। দুই প্রধানের সমর্থকদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন শুভাশিস।

Continue Reading

Uncategorized

ফলাফল বদলাতে চান কুয়াদ্রাত

Published

on

রে স্পোটজ নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই মহারণ। দীর্ঘ ৯ বছর পরে ফের একবার এএফসির কোনও প্রতিযোগিতায় নামতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এই ম্যাচে নামার আগে একেবারেই প্রতিশোধের কথা ভাবছেন না ইস্টবেঙ্গল হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। ২০১৮ সালে তিনি যখন বেঙ্গালুরু এফসির হেড কোচ ছিলেন, তখন এই আল্টিন আসিরের বিরুদ্ধেই এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে হেরেছিল বেঙ্গালুরু।

এই ম্যাচটা কি তাহলে প্রতিশোধের? উত্তরে হাসি মুখে লাল-হলুদ হেড কোচ বললেন,”আমি একেবারেই প্রতিশোধের কথা ভাবছি না। এখানে আসার আগেই আমার ওদের কোচের সঙ্গে দেখা হল। ওরা প্রায় প্রতিটা এএফসি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। শেষবার ওদের বিরুদ্ধে আমার দল বড় ব্যবধানে হেরেছিল। তবে এবারে আমি সেই ফলাফল বদলাতে চাই।”

তাঁর দলে বেশ কয়েকজন বিদেশি ফুটবলার থাকলেও, প্রতিপক্ষের স্কোয়াডে একজন বিদেশি ফুটবলারও নেই। এতে তাঁর দলের বাড়তি কোনও সুবিধা হবে কিনা, প্রশ্নের উত্তরে কুয়াদ্রাত বলেন, “বিদেশি ফুটবলার দলে থাকলে তা সব সময় দলকে সাহায্য করে। বর্তমান সময়ে সব দলই, একটা সেরা স্কোয়াড তৈরির চেষ্টা করে। আমরাও একটা ভালো স্কোয়াড তৈরির চেষ্টা করছি।”

দুটি প্রতিযোগিতা একসাথে খেলার কারণে, এএফসি কাপ এবং ডুরান্ড ডার্বি মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে খেলতে হবে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। যদিও কার্লেস এই ব্যাপারে চিন্তিত নন। তিনি বলেন, “এএফসি কাপ এবং ডার্বি পরপর হওয়ায় আমরা একেবারেই চিন্তিত নই। আমাদের এইরকম ম্যাচ খেলার জন্যই প্রস্তুতি নিতে হয়। আমার দলের ফুটবলাররা প্রত্যেকেই তৈরি। তবে বর্তমানে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য এএফসি কাপের ম্যাচে ভালো ফলাফল করা। তারপরে আমরা ডার্বি নিয়ে ভাবব।”

ইস্টবেঙ্গলে মরশুমের শুরু থেকেই চোট আঘাত লেগেই রয়েছে। যদিও বুধবারের ম্যাচের জন্য তাঁর স্কোয়াড যে পুরোপুরি তৈরি তা জানিয়ে দিলেন কুয়াদ্রাত। “জিকসন সহ সব ফুটবলাররাই স্কোয়াডে থাকবে। নিশু কুমার ছাড়া সকলেই এই ম্যাচের জন্য প্রস্তুত। তবে আমাদের দলের সব ফুটবলাররা ৯০ মিনিট খেলার জন্য প্রস্তুত নয়। সেই ফুটবলারদের প্রয়োজন মতো আমি ব্যবহার করব।”

পাশাপাশি সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের দলকে আন্ডারডগ বলে গেলেন লাল-হলুদ হেড কোচ। “আল্টিন এই দলটা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে রেখেছে। শুধু তাই নয় ওরা পরপর এএফসি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণও করেছে। তাই আমি মনে করি এই ম্যাচে আমরা আন্ডারডগ হয়েই নামব।”

Continue Reading

Trending